বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের স্বজনরা কী সুবিধা পাবেন?

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৪৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ মার্চ ২০১৮
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত বিমানটি বাংলাদেশ থেকে উড্ডয়নের আগে সব যাত্রীর বীমা নিশ্চিত করেই বিমানে ওঠানো হয়েছিল। সে কারণে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনদের সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, নেপালে যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের চিকিৎসায় যাতে কোনও ত্রুটি না হয় আমরা তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।

মন্ত্রী জানান, ‘এই ঘটনা কেন কীভাবে ঘটলো তা তদন্ত সাপেক্ষে বের করার চেষ্টা করা হবে। ইউএস বাংলা ও বিমান মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রাখছে নেপালে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইতোমধ্যে বিমান মন্ত্রণালয় একটি হটলাইন খুলেছে। বাড়তি করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আর কোনও হটলাইনের প্রয়োজন নেই।’

ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলার একটি বিমান কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। বিমানের থাকা ৭১ যাত্রী ও ক্রর মধ্যে এ ৫০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনের সূত্র দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনের জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৭০ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় বিমানটি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি ইনডিপেন্ডেন্ট স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে জানাচ্ছে, বিমানটি কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে (দুই নং প্ল্যাটফর্ম) থেকে পাশের ফুটবল খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্লেনটি বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ মডেলের এস২-এজিইউ। বাইরে পাখাবিশিষ্ট এ ধরনের প্লেনে সর্বোচ্চ ৭১টি আসন থাকে।

নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুরেশ আচার্য্য জানিয়েছেন, প্লেনটিতে ৬৭ আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের স্বজনরা কী সুবিধা পাবেন?

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৪৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ মার্চ ২০১৮

নিউজ ডেস্ক: কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত বিমানটি বাংলাদেশ থেকে উড্ডয়নের আগে সব যাত্রীর বীমা নিশ্চিত করেই বিমানে ওঠানো হয়েছিল। সে কারণে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনদের সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, নেপালে যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের চিকিৎসায় যাতে কোনও ত্রুটি না হয় আমরা তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।

মন্ত্রী জানান, ‘এই ঘটনা কেন কীভাবে ঘটলো তা তদন্ত সাপেক্ষে বের করার চেষ্টা করা হবে। ইউএস বাংলা ও বিমান মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রাখছে নেপালে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইতোমধ্যে বিমান মন্ত্রণালয় একটি হটলাইন খুলেছে। বাড়তি করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আর কোনও হটলাইনের প্রয়োজন নেই।’

ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলার একটি বিমান কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। বিমানের থাকা ৭১ যাত্রী ও ক্রর মধ্যে এ ৫০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনের সূত্র দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনের জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৭০ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় বিমানটি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি ইনডিপেন্ডেন্ট স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে জানাচ্ছে, বিমানটি কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে (দুই নং প্ল্যাটফর্ম) থেকে পাশের ফুটবল খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্লেনটি বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ মডেলের এস২-এজিইউ। বাইরে পাখাবিশিষ্ট এ ধরনের প্লেনে সর্বোচ্চ ৭১টি আসন থাকে।

নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুরেশ আচার্য্য জানিয়েছেন, প্লেনটিতে ৬৭ আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।