শিরোনাম :
Logo বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা Logo সিন্ডিকেটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo ফিটনেসবিহীন কুবির বিআরটিসি বাসে আগুন Logo চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo খুুবি উপাচার্যের সাথে হিট প্রজেক্টপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মতবিনিময় Logo চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিটি স্তরে সেবা গ্রহীতাদের স্বস্তি Logo নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন  Logo নারী হেনস্থা ও সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ Logo চাঁদপুর মডেল থানায় ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ইবি’র দুই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে কমিটি পুনর্গঠন

হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি!

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

রাস্তা দিয়ে বীরদর্পে হেঁটে যাচ্ছে হাতি। পিঠে বসে আছেন এক তরুণ। তাঁরও রাজা রাজা ভাব। সামনে দিয়ে যে যানবাহনই যাচ্ছে সেটিকেই থামানো হচ্ছে। পথচারীদেরও থামানো হচ্ছে। তোলা হচ্ছে টাকা। কেউ দিতে না চাইলে শুঁড় তুলে হুংকার দিচ্ছে। ভয় পেয়ে সবাই পকেটে বা ব্যাগে হাত ঢোকাচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে রাজবাড়ির গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বদিউজ্জামান বেপারী পাড়া সড়কে এ ঘটনা দেখা যায়।

জানা যায় হাতির নাম ‘লাল বাহাদুর’। যানবাহন থামিয়ে হাতি দিয়ে এমন চাঁদাবাজি অনেকেই অবাক হয়ে দেখেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেন, ‘লাল বাহাদুরের’ এমন চাঁদাবাজি রোধ করার কি কেউ নেই?

রিকশায় যাত্রী নিয়ে গোয়ালন্দ বাজারে যাচ্ছিলেন চালক আব্দুর রহিম মণ্ডল। বললেন, রিকশার সামনে এমনভাবে শুঁড় উঁচিয়ে ধরছে। এক যাত্রীর পকেটে ছিলই মাত্র ৫০ টাকা। ভাঙতি না থাকায় তিনি পুরো টাকাটা দিতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি রিকশাওয়ালাকেও দিতে হয়েছে ১০ টাকা।

মোটরসাইকেলে করে অফিসের কাজে যাচ্ছিলেন আসলাম নামের এক যুবক। তিনি জানান, ‘ভাই উপায় নাই। যেভাবে সামনে এসে দাঁড়ায় বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয়।’

হাতির পিঠে থাকা তরুণ জানালেন তাঁর নাম সৈকত শেখ। তিনি ফরিদপুরের দিকে যাচ্ছেন। এত সাতসকালে আসার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা রাতভর নানা ধরনের খেলা দেখাই। খেলা শেষে সাতসকালেই ‘লাল বাহাদুরের’ (হাতির নাম) খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ি। প্রতিদিন অনেক খাবার লাগে ও টাকা খরচ হয়। তা জোগাড় করতেই সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছি।’

 

এভাবে গাড়ি ও পথচারীদের থামিয়ে টাকা তোলা এক ধরনের চাঁদাবাজি কি না জানতে চাইলে সৈকত বলেন, মানুষ হাতি দেখলে এমনিতেই খুশি হয়ে টাকা দেয়। কারও কাছ থেকে জোর করে নেওয়ার প্রয়োজন নাই। প্রতিদিন অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা খরচ হয়। তবে দিন শেষে কোনোদিন ১০ হাজার টাকা উঠে। আবার কোনো কোনো দিন এর থেকে বেশি বা কম টাকাও উঠে।

ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে গেলে তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন সৈকত শেখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি!

আপডেট সময় : ০৫:২০:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

রাস্তা দিয়ে বীরদর্পে হেঁটে যাচ্ছে হাতি। পিঠে বসে আছেন এক তরুণ। তাঁরও রাজা রাজা ভাব। সামনে দিয়ে যে যানবাহনই যাচ্ছে সেটিকেই থামানো হচ্ছে। পথচারীদেরও থামানো হচ্ছে। তোলা হচ্ছে টাকা। কেউ দিতে না চাইলে শুঁড় তুলে হুংকার দিচ্ছে। ভয় পেয়ে সবাই পকেটে বা ব্যাগে হাত ঢোকাচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে রাজবাড়ির গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বদিউজ্জামান বেপারী পাড়া সড়কে এ ঘটনা দেখা যায়।

জানা যায় হাতির নাম ‘লাল বাহাদুর’। যানবাহন থামিয়ে হাতি দিয়ে এমন চাঁদাবাজি অনেকেই অবাক হয়ে দেখেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেন, ‘লাল বাহাদুরের’ এমন চাঁদাবাজি রোধ করার কি কেউ নেই?

রিকশায় যাত্রী নিয়ে গোয়ালন্দ বাজারে যাচ্ছিলেন চালক আব্দুর রহিম মণ্ডল। বললেন, রিকশার সামনে এমনভাবে শুঁড় উঁচিয়ে ধরছে। এক যাত্রীর পকেটে ছিলই মাত্র ৫০ টাকা। ভাঙতি না থাকায় তিনি পুরো টাকাটা দিতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি রিকশাওয়ালাকেও দিতে হয়েছে ১০ টাকা।

মোটরসাইকেলে করে অফিসের কাজে যাচ্ছিলেন আসলাম নামের এক যুবক। তিনি জানান, ‘ভাই উপায় নাই। যেভাবে সামনে এসে দাঁড়ায় বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয়।’

হাতির পিঠে থাকা তরুণ জানালেন তাঁর নাম সৈকত শেখ। তিনি ফরিদপুরের দিকে যাচ্ছেন। এত সাতসকালে আসার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা রাতভর নানা ধরনের খেলা দেখাই। খেলা শেষে সাতসকালেই ‘লাল বাহাদুরের’ (হাতির নাম) খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ি। প্রতিদিন অনেক খাবার লাগে ও টাকা খরচ হয়। তা জোগাড় করতেই সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছি।’

 

এভাবে গাড়ি ও পথচারীদের থামিয়ে টাকা তোলা এক ধরনের চাঁদাবাজি কি না জানতে চাইলে সৈকত বলেন, মানুষ হাতি দেখলে এমনিতেই খুশি হয়ে টাকা দেয়। কারও কাছ থেকে জোর করে নেওয়ার প্রয়োজন নাই। প্রতিদিন অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা খরচ হয়। তবে দিন শেষে কোনোদিন ১০ হাজার টাকা উঠে। আবার কোনো কোনো দিন এর থেকে বেশি বা কম টাকাও উঠে।

ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে গেলে তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন সৈকত শেখ।