শিরোনাম :
Logo কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট Logo লক্ষ্মীপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের নগদ অর্থ প্রদান Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য র‌্যালি Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার

তদন্ত প্রতিবেদন : শিক্ষক স্বেচ্ছায় কান ধরে উঠবস করেননি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৫৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিও ফুটেজটি পর্যালোচনা করে এটাই প্রতীয়মান হয়, শিক্ষক কোনভাবেই স্বেচ্ছায় কান ধরে উঠবস করেননি। বরং এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশেই তিনি তা করতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে এমপি কোনভাবেই দায় এড়াতে পারেন না।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) শেখ হাফিজুর রহমান  তদন্ত প্রতিবেদনটি এফিডেভিট করে দাখিল করেন। প্রতিবেদনে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ৬দফা সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র মো: রিফাত হাসানকে প্রধান শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্ত গত বছরের ৮ মে মারধর করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। গত বছর ১৩ মে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালে স্থানীয় শামসুল হকের ছেলে অপুর নেতৃত্বে ১০/১২ জন সভাকক্ষে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষকে মারধর করেন বলে সত্যতা পাওয়া গেছে।

শিক্ষক শ্যামল কান্তি ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন- এ দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

গত বছরের ১৩মে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালে আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় মসজিদ হতে ঘোষণা  করা হয়, প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। কে বা কারা ওই ঘোষণা দিয়েছেন তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তবে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিরোধের কারণে এরূপ ঘোষণা হতে পারে বলে বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য গত বছরের ১০ আগস্ট নির্দেশ দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ বিষয়ে পুলিশের দেয়া প্রতিবেদন গ্রহণ না করে বিচারিক তদন্ত করে ঢাকার সিএমএমকে প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএম প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এ প্রতিবেদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, ‘শিক্ষক শ্যামল কান্তি, অন্যান্য শিক্ষক, ভিকটিম ছাত্র ও তার মা, স্থানীয় জনগণ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাক্ষ্য গ্রহণ, অডিও ও ভিডিও ক্লিপিং পর্যালোচনা করে পূর্ণাঙ্গ ৬৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি হলফনামা করে আদালতে দেয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনের ওপর আগামী রোববার শুনানি হবে।

ট্যাগস :

কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট

তদন্ত প্রতিবেদন : শিক্ষক স্বেচ্ছায় কান ধরে উঠবস করেননি !

আপডেট সময় : ১২:৫২:৫৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিও ফুটেজটি পর্যালোচনা করে এটাই প্রতীয়মান হয়, শিক্ষক কোনভাবেই স্বেচ্ছায় কান ধরে উঠবস করেননি। বরং এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশেই তিনি তা করতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে এমপি কোনভাবেই দায় এড়াতে পারেন না।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) শেখ হাফিজুর রহমান  তদন্ত প্রতিবেদনটি এফিডেভিট করে দাখিল করেন। প্রতিবেদনে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ৬দফা সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র মো: রিফাত হাসানকে প্রধান শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্ত গত বছরের ৮ মে মারধর করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। গত বছর ১৩ মে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালে স্থানীয় শামসুল হকের ছেলে অপুর নেতৃত্বে ১০/১২ জন সভাকক্ষে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষকে মারধর করেন বলে সত্যতা পাওয়া গেছে।

শিক্ষক শ্যামল কান্তি ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন- এ দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

গত বছরের ১৩মে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালে আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় মসজিদ হতে ঘোষণা  করা হয়, প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। কে বা কারা ওই ঘোষণা দিয়েছেন তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তবে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিরোধের কারণে এরূপ ঘোষণা হতে পারে বলে বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য গত বছরের ১০ আগস্ট নির্দেশ দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ বিষয়ে পুলিশের দেয়া প্রতিবেদন গ্রহণ না করে বিচারিক তদন্ত করে ঢাকার সিএমএমকে প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএম প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এ প্রতিবেদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, ‘শিক্ষক শ্যামল কান্তি, অন্যান্য শিক্ষক, ভিকটিম ছাত্র ও তার মা, স্থানীয় জনগণ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাক্ষ্য গ্রহণ, অডিও ও ভিডিও ক্লিপিং পর্যালোচনা করে পূর্ণাঙ্গ ৬৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি হলফনামা করে আদালতে দেয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনের ওপর আগামী রোববার শুনানি হবে।