শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

যে কারণে অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন না !

  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:৪৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আমরা অনেকেই অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহার করি। প্রিয় বন্ধু কিংবা সহকর্মীর কাছ থেকে কাজের প্রয়োজনে তার ইয়ারফোন ব্যবহার করাটা দোষের কিছু নয়। তাই তো? স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সত্যিটা তাহলে এবার জেনে নিন।

কানের ভেতরে সুরক্ষা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে শরীরের প্রাকৃতিক উপায় কানের খইল। এই মোমে ব্যাকটেরিয়া থাকলেও, তা বেশ নিরীহ গোছের।

কানে ইয়ারফোন লাগানোর পরে সেটি আপনার অন্ধকার কানের পরিবেশে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে উষ্ণ করে তোলে এবং ইতিমধ্যে যদি ইয়াফোনে কোনো জীবাণু থেকে থাকে সেটিওকেও। ফলে নির্দোষ খইল এয়ারবাডসের (ইয়ারফোনের যে অংশ কানের ভেতরে থাকে) ওপর ঘাঁটি গাড়তে পারে। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল হেলথ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কেলি রেনল্ডস বলেন, ‘এয়ারবাডসের লেয়ারে ব্যাকটেরিয়া আটকে থাকতে পারে এবং কানের ময়লা শুকিয়ে যেতে দেয় না, ফলে ব্যাকটেরিয়া বেচেঁ থাকতে পারে এবং বৃদ্ধি পেতে পারে।’

সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া হেড অ্যান্ড নেক মেডিকেল গ্রুপের ওটোল্যারিঙ্গোলজিস্ট ডা. আব্বাস আনোয়ার বলেন, ‘যদি এই ব্যাকটেরিয়া অনেক বেশি সংখ্যক হয়ে যায়, তাহলে এটি ইনফেকশনের কারণ হয়ে উঠতে পারে।’

এছাড়া কখনো কখনো এয়ারবাডস দীর্ঘ সময় যেমন ঘুম বা ব্যায়ামের সময় থাকায় ঘষা থেকে কানে সামান্য ক্ষত বা কাটা সৃষ্টি করতে পারে। এই ক্ষত বা কাটায় ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে ইনফেকশন ঘটাতে পারে এবং কানে ব্যাথার সৃষ্টি করতে পারে।

এবার ভাবুন, আপনার নিজের ক্ষেত্রে যদি অতিরিক্ত ইয়ারফোন বা হেডফোনের ব্যবহার এসব সমস্যার ‍সৃষ্টি করতে পারে, তাহলে অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলাফল কেমন হতে পারে। ডা. আব্বাস আনোয়ার বলেন, ‘অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার কানে নতুন এবং আরো অনেক ব্যাকটেরিয়া প্রবর্তন করছেন। আপনার বন্ধুরা তাদের এয়ারবাডস পরিষ্কার করেছে কিনা, তা সম্ভবত আপনার জানা নেই। তাদের টেবিলে কিংবা ব্যাগে রাখা ইয়ারফোন থেকে নতুন ‘পরদেশি’ ব্যাকটেরিয়া আপনাকে কানে ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে।’

সুতরাং অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহারের অভ্যাস বাদ দেওয়ার পাশাপাশি, আপনার নিজের ইয়ারফোনটিও আপনার কানের জন্য পরিষ্কার এবং নিরাপদ নিশ্চিত করুন।

আপনার ইয়ারফোন বা হেডফোনের এয়ারবাডস অ্যালকোহল দিয়ে মুছে রাখুন এবং শুকিয়ে পরিষ্কার রাখুন। এতে ইনফেকশন থেকে মুক্ত থাকবে কান।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

যে কারণে অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন না !

আপডেট সময় : ০১:৩৪:৪৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আমরা অনেকেই অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহার করি। প্রিয় বন্ধু কিংবা সহকর্মীর কাছ থেকে কাজের প্রয়োজনে তার ইয়ারফোন ব্যবহার করাটা দোষের কিছু নয়। তাই তো? স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সত্যিটা তাহলে এবার জেনে নিন।

কানের ভেতরে সুরক্ষা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে শরীরের প্রাকৃতিক উপায় কানের খইল। এই মোমে ব্যাকটেরিয়া থাকলেও, তা বেশ নিরীহ গোছের।

কানে ইয়ারফোন লাগানোর পরে সেটি আপনার অন্ধকার কানের পরিবেশে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে উষ্ণ করে তোলে এবং ইতিমধ্যে যদি ইয়াফোনে কোনো জীবাণু থেকে থাকে সেটিওকেও। ফলে নির্দোষ খইল এয়ারবাডসের (ইয়ারফোনের যে অংশ কানের ভেতরে থাকে) ওপর ঘাঁটি গাড়তে পারে। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল হেলথ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কেলি রেনল্ডস বলেন, ‘এয়ারবাডসের লেয়ারে ব্যাকটেরিয়া আটকে থাকতে পারে এবং কানের ময়লা শুকিয়ে যেতে দেয় না, ফলে ব্যাকটেরিয়া বেচেঁ থাকতে পারে এবং বৃদ্ধি পেতে পারে।’

সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া হেড অ্যান্ড নেক মেডিকেল গ্রুপের ওটোল্যারিঙ্গোলজিস্ট ডা. আব্বাস আনোয়ার বলেন, ‘যদি এই ব্যাকটেরিয়া অনেক বেশি সংখ্যক হয়ে যায়, তাহলে এটি ইনফেকশনের কারণ হয়ে উঠতে পারে।’

এছাড়া কখনো কখনো এয়ারবাডস দীর্ঘ সময় যেমন ঘুম বা ব্যায়ামের সময় থাকায় ঘষা থেকে কানে সামান্য ক্ষত বা কাটা সৃষ্টি করতে পারে। এই ক্ষত বা কাটায় ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে ইনফেকশন ঘটাতে পারে এবং কানে ব্যাথার সৃষ্টি করতে পারে।

এবার ভাবুন, আপনার নিজের ক্ষেত্রে যদি অতিরিক্ত ইয়ারফোন বা হেডফোনের ব্যবহার এসব সমস্যার ‍সৃষ্টি করতে পারে, তাহলে অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলাফল কেমন হতে পারে। ডা. আব্বাস আনোয়ার বলেন, ‘অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার কানে নতুন এবং আরো অনেক ব্যাকটেরিয়া প্রবর্তন করছেন। আপনার বন্ধুরা তাদের এয়ারবাডস পরিষ্কার করেছে কিনা, তা সম্ভবত আপনার জানা নেই। তাদের টেবিলে কিংবা ব্যাগে রাখা ইয়ারফোন থেকে নতুন ‘পরদেশি’ ব্যাকটেরিয়া আপনাকে কানে ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে।’

সুতরাং অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহারের অভ্যাস বাদ দেওয়ার পাশাপাশি, আপনার নিজের ইয়ারফোনটিও আপনার কানের জন্য পরিষ্কার এবং নিরাপদ নিশ্চিত করুন।

আপনার ইয়ারফোন বা হেডফোনের এয়ারবাডস অ্যালকোহল দিয়ে মুছে রাখুন এবং শুকিয়ে পরিষ্কার রাখুন। এতে ইনফেকশন থেকে মুক্ত থাকবে কান।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট