ঝিনাইদহে টানা ২ দিনের বৃষ্টিতে মহাসড়কগুলোর বেহালদশা, হরহামশেই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা

  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:১৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ

নিম্নচাপের কারণে সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও হচ্ছে অবিরাম বৃষ্টি। একটানা বৃষ্টি হওয়াতে জেলার মূল চারটি সড়ক যেমন ঝিনাইদহ-যশোর, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ- মাগুরা ও ঝিনাইদহ- চুয়াডাঙ্গা একবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে ঘুওে ফিরে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সড়ক মেরামত করতে নিম্নমানের পিচ আর পাথরের ব্যবহারের কারণে বর্তমানে তা একেবারেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম ঝুঁকি নিয়েই স্থানীয় আর দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে। এ করণেই মহাসড়কে ঘটছে নিয়মিত দুর্ঘটনা। কামাল মিয়া নামক এক ট্রাক ড্রাইভার বলেন, অনেক সময় গর্তেও গভীরতা না বুঝতে পারায় করণে তাদেও বড় গাড়ীগুলো চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সালাম উল্লাহ নামে এক বাস যাত্রী বলেন, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের শেখপাড়া, ভাটই বাজার, কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের ঈশ্বরবায় রাস্তা, ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের তেঁতুলতলা থেকে বিষয়খালী, দোকানঘর থেকে কালীগঞ্জ শহর হয়ে বারোবাজার পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, একই অবস্থা ঝিনাইদহ- চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে এসব মহাসড়কে চলাচল করছে। ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুম শেষ না হলে রাস্তায় পিচ-পাথর দেওয়া হবে না। আর দিলেও তা টিকবে না। এই জন্য যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে আমরা মাঝে মাঝে ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করে চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দুই দিনের টানা বর্ষণে তা উঠে খানা-গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে টানা ২ দিনের বৃষ্টিতে মহাসড়কগুলোর বেহালদশা, হরহামশেই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:১৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ

নিম্নচাপের কারণে সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও হচ্ছে অবিরাম বৃষ্টি। একটানা বৃষ্টি হওয়াতে জেলার মূল চারটি সড়ক যেমন ঝিনাইদহ-যশোর, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ- মাগুরা ও ঝিনাইদহ- চুয়াডাঙ্গা একবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে ঘুওে ফিরে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সড়ক মেরামত করতে নিম্নমানের পিচ আর পাথরের ব্যবহারের কারণে বর্তমানে তা একেবারেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম ঝুঁকি নিয়েই স্থানীয় আর দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে। এ করণেই মহাসড়কে ঘটছে নিয়মিত দুর্ঘটনা। কামাল মিয়া নামক এক ট্রাক ড্রাইভার বলেন, অনেক সময় গর্তেও গভীরতা না বুঝতে পারায় করণে তাদেও বড় গাড়ীগুলো চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সালাম উল্লাহ নামে এক বাস যাত্রী বলেন, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের শেখপাড়া, ভাটই বাজার, কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের ঈশ্বরবায় রাস্তা, ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের তেঁতুলতলা থেকে বিষয়খালী, দোকানঘর থেকে কালীগঞ্জ শহর হয়ে বারোবাজার পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, একই অবস্থা ঝিনাইদহ- চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে এসব মহাসড়কে চলাচল করছে। ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুম শেষ না হলে রাস্তায় পিচ-পাথর দেওয়া হবে না। আর দিলেও তা টিকবে না। এই জন্য যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে আমরা মাঝে মাঝে ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করে চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দুই দিনের টানা বর্ষণে তা উঠে খানা-গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।