শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসী আটক Logo মহেশখালীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা-বারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারিগর আটক: Logo সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা Logo বুটেক্স অ্যালামনাই ইউএসএ-এর আত্মপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মিলনমেলা ও কমিটি গঠন Logo বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২৭ ডিসেম্বর Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা

৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

মু.ওয়াছীঊদ্দিন॥ আজ ৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে লক্ষ্মীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করে প্রকাশ্য লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন। ২২টি সম্মুখযুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে হানাদার মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা।

লক্ষ্মীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় সুত্রে জানাযায়, ১৯৭১ সালে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর ২২টি সম্মুখযুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চলে। এসব যুদ্ধে সৈয়দ আবদুল হালীম বাসু, মনছুর আহমদ, আবু ছায়েদসহ ৩৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ওই সময়ে রাজাকারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজাকার কমান্ডার সফিক উদ্দিন, মনিরুজ্জামান ও হারিছ মিয়া। এসব রাজাকারদের সহযোগিতা নিয়ে পাকহানাদার বাহিনী আরো জানা-অজানা কয়েক হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরে এনে মাদাম ব্রীজের উপর থেকে গুলি করে নারী-পুরুষ সহ অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে মুক্তিকামী মানুষদের ঘরবাড়ী।

পরে ৪ ডিসেম্বর প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হায়দার চৌধুরী ও সুবেদার প্রয়াত আবদুল মতিনের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা একত্রিত হন। ৮-১০ জন করে দল গঠন করে বিভক্ত হয়ে দালাল বাজার, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি, শাখারী পাড়ার মিঠানীয়া খাল পাড়সহ বাগবাড়িস্থ রাজাকার ক্যাম্পে হামলা চালান এসব মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় ৭০-৮০জন পাকিস্তানী মেলিটরী ও রাজাকারকে আটক করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেন তারা। ওই দিন হানাদার মুক্ত হয় লক্ষ্মীপুর। উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা।

যুদ্ধকালিন সময়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের আজও নীরব সাক্ষী হয়ে আছে শহরের মাদাম ব্রীজ, বাগবাড়িস্থ গণকবর, সারের গোডাউনে পরিত্যাক্ত টর্চারসেল, বধ্যভুমি, পিয়ারাপুর ব্রীজ, বাসুবাজার গনকবর।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭

মু.ওয়াছীঊদ্দিন॥ আজ ৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে লক্ষ্মীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করে প্রকাশ্য লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন। ২২টি সম্মুখযুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে হানাদার মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা।

লক্ষ্মীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় সুত্রে জানাযায়, ১৯৭১ সালে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর ২২টি সম্মুখযুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চলে। এসব যুদ্ধে সৈয়দ আবদুল হালীম বাসু, মনছুর আহমদ, আবু ছায়েদসহ ৩৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ওই সময়ে রাজাকারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজাকার কমান্ডার সফিক উদ্দিন, মনিরুজ্জামান ও হারিছ মিয়া। এসব রাজাকারদের সহযোগিতা নিয়ে পাকহানাদার বাহিনী আরো জানা-অজানা কয়েক হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরে এনে মাদাম ব্রীজের উপর থেকে গুলি করে নারী-পুরুষ সহ অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে মুক্তিকামী মানুষদের ঘরবাড়ী।

পরে ৪ ডিসেম্বর প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হায়দার চৌধুরী ও সুবেদার প্রয়াত আবদুল মতিনের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা একত্রিত হন। ৮-১০ জন করে দল গঠন করে বিভক্ত হয়ে দালাল বাজার, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি, শাখারী পাড়ার মিঠানীয়া খাল পাড়সহ বাগবাড়িস্থ রাজাকার ক্যাম্পে হামলা চালান এসব মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় ৭০-৮০জন পাকিস্তানী মেলিটরী ও রাজাকারকে আটক করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেন তারা। ওই দিন হানাদার মুক্ত হয় লক্ষ্মীপুর। উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা।

যুদ্ধকালিন সময়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের আজও নীরব সাক্ষী হয়ে আছে শহরের মাদাম ব্রীজ, বাগবাড়িস্থ গণকবর, সারের গোডাউনে পরিত্যাক্ত টর্চারসেল, বধ্যভুমি, পিয়ারাপুর ব্রীজ, বাসুবাজার গনকবর।