বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা

যে এই দ্বীপে যায় সে কখনও জীবিত ফেরে ন!(ভিডিও)

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:০৬:১৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৮১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ইতালিতে এমন একটি দ্বীপ রয়েছে যেটা আইল্যান্ড অফ ডেড অর্থাৎ মৃত্যুপুরী নামে পরিচিত। এই দ্বীপটির সম্পর্কে কথিত রয়েছে যে, একবার যে মানুষ এই দ্বীপে যায় সে আর জীবিত ফিরে আসে না।

এর পেছনে রয়েছে একটি ভয়ানক কাহিনী। কথিত আছে যে কয়েকশো বছর আগে এখানে দেড় লাখ প্লেগ রোগীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।

উত্তর ইতালি ভিনিস্বাসী উপহ্রদে অবস্থিত এই দ্বীপে প্রবেশ নিষিদ্ধ। সরকার এখানে যাওয়ার ব্যাপারে জনগণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। জেলেদের মাছ ধরতে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কারণ, জেলেদের জালে অনেক সময় মানুষের হাড় উঠে আসে। কারণ হিসেবে জানা যায়, প্লেগের রোগীদের এখানে আনা হতো মেরে ফেলার জন্য।

পরে যখন রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তখন প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার অসুস্থ মানুষকে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়। ১৯২২ সালে এখানে মানসিক হাসপাতাল তৈরি করা হয়।
কিন্তু কয়েক বছর পর এটাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বন্ধ করে দেওয়ার কারণ ছিল ডাক্তার এবং সেবিকারা অস্বাভাবিক জিনিস দেখতে পান। তার সাথে হাসপাতালে ভর্তি মানসিক রোগীরা মৃত প্লেগ রোগীদের আত্মা দেখতে পেতেন।

হাসপাতাল বন্ধের কয়েক বছর পর দ্বীপ জনশূন্য হয়ে পড়ে। এরপর ১৯৬০ সালে ইতালির সরকার এই যায়গাটি একটি বেসরকারি মালিকের কাছে বিক্রি করে দেয়। তিনি তার পরিবারকে নিয়ে কয়েকদিন এখানে সময় কাটান।

কিন্তু কিছুদিন পর তারাও এই দ্বীপ ছেড়ে চলে যান। এরপর আরেকটি পরিবার এই দ্বীপটিকে হলিডে হোম তৈরি করার জন্য ক্রয় করেন। কিন্তু তারাও একদিন পর এই জায়গাটিকে ত্যাগ করেন। জানা যায় যে, দ্বীপের মালিকের মেয়েকে কেউ কামড়ে দেয়। যার ফলে তাকে ১৪টি ইঞ্জেকশন নিতে হয়।

এই সমস্ত ঘটনার পর কয়েকজন বিষয়টিকে নিয়ে তদন্ত করার চেষ্টা করেন। যারা এখানে সত্যতা সন্ধান করতে গিয়েছিলেন তারাও জীবিত ফিরে আসেননি। আর যারা জীবিত ফিরে এসেছিলেন তারা বলেন এখানে প্লেগ রোগীদের আত্মা রয়েছে।

এই দ্বীপে রাত কাটিয়েছেন এমন একজন ব্যক্তি বলেছেন কোনও একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে এই দ্বীপ ছেড়ে দিতে বলেন। সে আরও বলে যে যদি তুমি এখান থেকে না যাও তাহলে তোমার এখান থেকে জীবিত ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে না। এই ভুতুড়ে দ্বীপের সত্যতা এখনও রহস্য হয়ে রয়েছে। মনে হবে অভ্যাস হয়ে গেছে তখন ধীরে ধীরে হাঁটার সময় বাড়ান। ৩০ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত বাড়াতে পারেন সময়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার

যে এই দ্বীপে যায় সে কখনও জীবিত ফেরে ন!(ভিডিও)

আপডেট সময় : ১২:০৬:১৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ইতালিতে এমন একটি দ্বীপ রয়েছে যেটা আইল্যান্ড অফ ডেড অর্থাৎ মৃত্যুপুরী নামে পরিচিত। এই দ্বীপটির সম্পর্কে কথিত রয়েছে যে, একবার যে মানুষ এই দ্বীপে যায় সে আর জীবিত ফিরে আসে না।

এর পেছনে রয়েছে একটি ভয়ানক কাহিনী। কথিত আছে যে কয়েকশো বছর আগে এখানে দেড় লাখ প্লেগ রোগীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।

উত্তর ইতালি ভিনিস্বাসী উপহ্রদে অবস্থিত এই দ্বীপে প্রবেশ নিষিদ্ধ। সরকার এখানে যাওয়ার ব্যাপারে জনগণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। জেলেদের মাছ ধরতে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কারণ, জেলেদের জালে অনেক সময় মানুষের হাড় উঠে আসে। কারণ হিসেবে জানা যায়, প্লেগের রোগীদের এখানে আনা হতো মেরে ফেলার জন্য।

পরে যখন রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তখন প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার অসুস্থ মানুষকে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়। ১৯২২ সালে এখানে মানসিক হাসপাতাল তৈরি করা হয়।
কিন্তু কয়েক বছর পর এটাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বন্ধ করে দেওয়ার কারণ ছিল ডাক্তার এবং সেবিকারা অস্বাভাবিক জিনিস দেখতে পান। তার সাথে হাসপাতালে ভর্তি মানসিক রোগীরা মৃত প্লেগ রোগীদের আত্মা দেখতে পেতেন।

হাসপাতাল বন্ধের কয়েক বছর পর দ্বীপ জনশূন্য হয়ে পড়ে। এরপর ১৯৬০ সালে ইতালির সরকার এই যায়গাটি একটি বেসরকারি মালিকের কাছে বিক্রি করে দেয়। তিনি তার পরিবারকে নিয়ে কয়েকদিন এখানে সময় কাটান।

কিন্তু কিছুদিন পর তারাও এই দ্বীপ ছেড়ে চলে যান। এরপর আরেকটি পরিবার এই দ্বীপটিকে হলিডে হোম তৈরি করার জন্য ক্রয় করেন। কিন্তু তারাও একদিন পর এই জায়গাটিকে ত্যাগ করেন। জানা যায় যে, দ্বীপের মালিকের মেয়েকে কেউ কামড়ে দেয়। যার ফলে তাকে ১৪টি ইঞ্জেকশন নিতে হয়।

এই সমস্ত ঘটনার পর কয়েকজন বিষয়টিকে নিয়ে তদন্ত করার চেষ্টা করেন। যারা এখানে সত্যতা সন্ধান করতে গিয়েছিলেন তারাও জীবিত ফিরে আসেননি। আর যারা জীবিত ফিরে এসেছিলেন তারা বলেন এখানে প্লেগ রোগীদের আত্মা রয়েছে।

এই দ্বীপে রাত কাটিয়েছেন এমন একজন ব্যক্তি বলেছেন কোনও একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে এই দ্বীপ ছেড়ে দিতে বলেন। সে আরও বলে যে যদি তুমি এখান থেকে না যাও তাহলে তোমার এখান থেকে জীবিত ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে না। এই ভুতুড়ে দ্বীপের সত্যতা এখনও রহস্য হয়ে রয়েছে। মনে হবে অভ্যাস হয়ে গেছে তখন ধীরে ধীরে হাঁটার সময় বাড়ান। ৩০ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত বাড়াতে পারেন সময়।