বৃহস্পতিবার | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন গনফোরামের প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবর Logo সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীবিকা উন্নয়নে কয়রায় প্রকল্প সভা অনুষ্ঠিত Logo মিথাইল ও বিষাক্ত স্পিরিট অপব্যবহার রোধে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক সভা Logo সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo দেবহাটায় সাসের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত Logo নানা আয়োজনে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র তুললেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন Logo দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করা বসতবাড়ি ভোগদখল জমিজমা নিমিষেই বেদখল Logo আন্তর্জাতিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ‘এডুরম’ উদ্বোধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল

বাহুবল মহাসড়কের পানির গর্তে আটকে গেল ট্রাক

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সুমন আলী খাঁন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ঢাকা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পানির গর্তে আটকা পড়ল ট্রাক। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার  মিরপুর বাজারের শ্রীমঙ্গল সড়কে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকটি আটকে যায়। ট্রাকটি বগুড়া থেকে কুলাউড়া যাচ্ছিল। ট্রাকটি আটকা পড়ায় সকাল থেকে যান চলাচলে মারাত্নক ব্যঘাত ঘটছে। একটা একটা করে গাড়ি পাস করতে গিয়ে রাস্তায় জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান মিরপুর বাজারের ব্যবসায়ী নেতারা। একটু বৃষ্টিতেই আঞ্চলিক মহাসড়কে হাঁটু পানি জমে থাকে। বৃষ্টি ছাড়াও বাসা বাড়ীর পানিতে সব সময় মহাসড়ক পানিতে ভরপুর থাকে। প্রতিটি গর্তে বৃষ্টি না হলেও পানি লেগেই থাকে। বহু আবেদন-নিবেদন, আন্দোলনের পরও পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থাই নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই পানি ডিঙ্গিয়ে ঐ এলাকায় লোকজন চলাচল করতে না পারায় সড়কের পাশের দোকান-পাট গুলো দীর্ঘদিন যাবৎ ক্রেতা শুণ্য হয়ে পড়ছে। ফলে অর্ধশত ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে কলেজসহ ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ বৃষ্টি না থাকলেও সড়কের পানি না কমায় শিশু শিক্ষার্থীদের ধারনা সড়কে পাতাল থেকে পানি উঠছে। মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী কানিজ হাফছা বলেন, অনেক দিন ধরে রাস্তায় পানির লাগি রাস্তা দিয়া যাইতাম পারি না। সিএনজির চাকা ডুবে যায়। শাম্মী বলল সড়কে নাকি পাতাল থেকে পানি উঠছে। তারই সহপাঠি শাম্মী আক্তার জানালেন, আমি স্কুলে আসা যাওয়ার সময় সড়কে পানি দেখছি, রৌদ্রেও পানি কমছে না। তাই ভাবলাম মনে হয় পাতাল থেকে পানি উঠে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মিরপুর বাজারের শ্রীমঙ্গল সড়কে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা সৃষ্টির ফলে পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে প্রায় ৬শত মিটার সড়ক জুড়ে হাঁটু পরিমান বৃষ্টির পানি জমে আছে। ফলে দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে বাজারের অন্তত অর্ধশত ব্যবসায়ী আর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন সহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণ। এই দূর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি উদ্যোগ নিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে রাস্তাার পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার দাবীতে কিছুদিন পূর্বে জেলা প্রশাসক, সওজ, উপজেলা পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছে। গত ৮ অক্টোবর সড়ক অবরোধ করে ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টির সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও এখনও সড়কে হাঁটু পানি। ব্যবসায়ী সোহেল আহম্মদ জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারনেই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের দোকানঘরের সামনে হাঁটু পানি জমে যায়। আর এই পানি শুকাতে লাগে অনেক দিন। গত শনিবার আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ইউএনও সাহেব এসে এক দিনের ব্যবধানে কাজ শুরু করবেন বলে আজ দুইসপ্তাহ পার হওয়ার পরও কোন কাজ হয়নি। ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কদর আলী বলেন, প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনার কারণেই মূলত এ সমস্যা। পানি নিস্কাশনের রাস্তা কয়েক মাস যাবৎ বন্ধ হওয়ায় বাজারের আঞ্চলিক মহাসড়কের অংশটুকু এখন আঞ্চলিক মহ-নদীতে পরিণত হচ্ছে। আমরা বাজার কমিটি অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের জন্য বারবার লিখিত আবেদনের পরও -রহস্যজনক কারণে এখন পর্যন্ত স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ হচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন, পানির নিচে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত পথচারীরা বিভিন্নভাবে র্দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন। এতে করে ঐ এলাকার দোকানপাট গুলোতে ক্রেতা শূণ্য হওয়ায় ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জসিম উদ্দীন বলেন, ড্রেন নির্মানের জন্য প্রতিবন্ধকতা হিসেবে চিহ্নিত স্থাপনাগুলো চলতি সপ্তাহে স্ব-স্ব উদ্যোগে সরানোর জন্য দখলদারকে নোটিশ প্রদান করা হবে। পরে ৬শত ফুটের লম্বা ড্রেনের জন্য ২ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন গনফোরামের প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবর

বাহুবল মহাসড়কের পানির গর্তে আটকে গেল ট্রাক

আপডেট সময় : ১০:০৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০১৭

মোঃ সুমন আলী খাঁন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ঢাকা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পানির গর্তে আটকা পড়ল ট্রাক। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার  মিরপুর বাজারের শ্রীমঙ্গল সড়কে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকটি আটকে যায়। ট্রাকটি বগুড়া থেকে কুলাউড়া যাচ্ছিল। ট্রাকটি আটকা পড়ায় সকাল থেকে যান চলাচলে মারাত্নক ব্যঘাত ঘটছে। একটা একটা করে গাড়ি পাস করতে গিয়ে রাস্তায় জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান মিরপুর বাজারের ব্যবসায়ী নেতারা। একটু বৃষ্টিতেই আঞ্চলিক মহাসড়কে হাঁটু পানি জমে থাকে। বৃষ্টি ছাড়াও বাসা বাড়ীর পানিতে সব সময় মহাসড়ক পানিতে ভরপুর থাকে। প্রতিটি গর্তে বৃষ্টি না হলেও পানি লেগেই থাকে। বহু আবেদন-নিবেদন, আন্দোলনের পরও পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থাই নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই পানি ডিঙ্গিয়ে ঐ এলাকায় লোকজন চলাচল করতে না পারায় সড়কের পাশের দোকান-পাট গুলো দীর্ঘদিন যাবৎ ক্রেতা শুণ্য হয়ে পড়ছে। ফলে অর্ধশত ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে কলেজসহ ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ বৃষ্টি না থাকলেও সড়কের পানি না কমায় শিশু শিক্ষার্থীদের ধারনা সড়কে পাতাল থেকে পানি উঠছে। মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী কানিজ হাফছা বলেন, অনেক দিন ধরে রাস্তায় পানির লাগি রাস্তা দিয়া যাইতাম পারি না। সিএনজির চাকা ডুবে যায়। শাম্মী বলল সড়কে নাকি পাতাল থেকে পানি উঠছে। তারই সহপাঠি শাম্মী আক্তার জানালেন, আমি স্কুলে আসা যাওয়ার সময় সড়কে পানি দেখছি, রৌদ্রেও পানি কমছে না। তাই ভাবলাম মনে হয় পাতাল থেকে পানি উঠে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মিরপুর বাজারের শ্রীমঙ্গল সড়কে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা সৃষ্টির ফলে পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে প্রায় ৬শত মিটার সড়ক জুড়ে হাঁটু পরিমান বৃষ্টির পানি জমে আছে। ফলে দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে বাজারের অন্তত অর্ধশত ব্যবসায়ী আর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন সহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণ। এই দূর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি উদ্যোগ নিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে রাস্তাার পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার দাবীতে কিছুদিন পূর্বে জেলা প্রশাসক, সওজ, উপজেলা পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছে। গত ৮ অক্টোবর সড়ক অবরোধ করে ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টির সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও এখনও সড়কে হাঁটু পানি। ব্যবসায়ী সোহেল আহম্মদ জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারনেই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের দোকানঘরের সামনে হাঁটু পানি জমে যায়। আর এই পানি শুকাতে লাগে অনেক দিন। গত শনিবার আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ইউএনও সাহেব এসে এক দিনের ব্যবধানে কাজ শুরু করবেন বলে আজ দুইসপ্তাহ পার হওয়ার পরও কোন কাজ হয়নি। ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কদর আলী বলেন, প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনার কারণেই মূলত এ সমস্যা। পানি নিস্কাশনের রাস্তা কয়েক মাস যাবৎ বন্ধ হওয়ায় বাজারের আঞ্চলিক মহাসড়কের অংশটুকু এখন আঞ্চলিক মহ-নদীতে পরিণত হচ্ছে। আমরা বাজার কমিটি অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের জন্য বারবার লিখিত আবেদনের পরও -রহস্যজনক কারণে এখন পর্যন্ত স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ হচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন, পানির নিচে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত পথচারীরা বিভিন্নভাবে র্দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন। এতে করে ঐ এলাকার দোকানপাট গুলোতে ক্রেতা শূণ্য হওয়ায় ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জসিম উদ্দীন বলেন, ড্রেন নির্মানের জন্য প্রতিবন্ধকতা হিসেবে চিহ্নিত স্থাপনাগুলো চলতি সপ্তাহে স্ব-স্ব উদ্যোগে সরানোর জন্য দখলদারকে নোটিশ প্রদান করা হবে। পরে ৬শত ফুটের লম্বা ড্রেনের জন্য ২ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।