শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

আইফোন-৮ এর জন্য তরুণীর সতীত্ব বিক্রি!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:২১:৪০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বর্তমানে অনেকের স্বপ্নের ফোন আইফোন-৮। তাই বলে এর জন্য নিজের সতীত্ব নিলামে উঠানো সত্যিই বিস্ময়কর! এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন চীনের ১৭ বছরের জিয়াও চেন নামের এক তরুণী।
ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

একটি আইফোন-৮ কেনার জন্য দুই হাজার ৩০০ পাউন্ড নগদ অর্থের বিনিময়ে নিজের সতীত্ব বিসর্জন দেবেন একটি অনলাইন ফোরামে এমন অফার লিখেন ওই তরুণী।

ওই ‘অফার’ দেখে আগ্রহী হন একজন অনলাইন এক্টিভিস্ট যিনি একটি টিভি শো এর পরিচালক। অফার দেখে তিনি ওই তরুণীর একটি সাক্ষাৎকারের আয়োজন করেন।

এরপর নানা নামের ২১ বছরের ওই টিভি শো পরিচালক তরুণীটির সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে দেখা যায় তরুণীটি ওই যুবকের সঙ্গে একটি চায়ের দোকানে দেখা করেন।

জিয়াও চেন বলেন, এক বান্ধবী তাকে সহজ অর্থ উপার্জনের এই পথ সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। তরুণীটি আরো বলেন, ওই টাকা দিয়ে তিনি একটি আইফোন-৮ অর্ডার করতে চেয়েছিলেন, যা তার অধিকাংশ বন্ধুদের ছিল। যদিও ডেইলি মিররের প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা ওই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

নানা নামের ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে সে যে কাজ করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে সে নিশ্চিত কি না। মেয়েটি তাকে নিশ্চয়তা দিলে তিনি তাকে ৬০ পাউন্ড অগ্রিম দিয়ে চুক্তির বাস্তবায়নে স্থান ও দিন নির্ধারণ করে চলে যান।

প্রকৃত অর্থে কি ঘটতে যাচ্ছে সে বিষয়ে মেয়েটির কোন ধারণাই ছিল না। কারণ ওই ছেলেটি কাজ করতো মানুষের আচরণ ও সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে। মেয়েটির এই অবস্থার সুযোগ সে লুফে নিয়েছিল। সে মেয়েটিকে জনসম্মুখে লজ্জা দেয়ার জন্য মনে মনে একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করছিলো।

ঘটনার চূড়ান্ত পরিণতি হয় যখন মেয়েটি তার সতীত্ব বিসর্জন দেয়ার জন্য চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে হোটেলে গেল তারপর। রুমে গিয়ে বিশ্বাস অর্জনের জন্য নানা নামের ওই ব্যক্তি মেয়েটির হাতে আইফোন-৮ হ্যান্ডসেট দেন।

এর কিছুক্ষণ পরেই ক্যামেরা হাতে তিনজন প্রবেশ করে রুমটিতে। তিনজনই একসঙ্গে বলে ওঠে ‘চলো মজা করি। ’
মেয়েটি ঘটনা বুঝতে পেরে কান্না শুরু করে দেন।

তখন নানা মেয়েটিকে বলেন, ‘অনেক দেরি হয়ে গেছে। শুধু একটি হ্যান্ডসেটের জন্য যেকোন কিছুর বিনিময় করা যায় না, এটি অর্থহীন। ’

কিছুক্ষণ পর নানা বাকিদের রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তারপর তিনি মেয়েটিকে একান্তে কিছু উপদেশ দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

আইফোন-৮ এর জন্য তরুণীর সতীত্ব বিক্রি!

আপডেট সময় : ০১:২১:৪০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বর্তমানে অনেকের স্বপ্নের ফোন আইফোন-৮। তাই বলে এর জন্য নিজের সতীত্ব নিলামে উঠানো সত্যিই বিস্ময়কর! এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন চীনের ১৭ বছরের জিয়াও চেন নামের এক তরুণী।
ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

একটি আইফোন-৮ কেনার জন্য দুই হাজার ৩০০ পাউন্ড নগদ অর্থের বিনিময়ে নিজের সতীত্ব বিসর্জন দেবেন একটি অনলাইন ফোরামে এমন অফার লিখেন ওই তরুণী।

ওই ‘অফার’ দেখে আগ্রহী হন একজন অনলাইন এক্টিভিস্ট যিনি একটি টিভি শো এর পরিচালক। অফার দেখে তিনি ওই তরুণীর একটি সাক্ষাৎকারের আয়োজন করেন।

এরপর নানা নামের ২১ বছরের ওই টিভি শো পরিচালক তরুণীটির সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে দেখা যায় তরুণীটি ওই যুবকের সঙ্গে একটি চায়ের দোকানে দেখা করেন।

জিয়াও চেন বলেন, এক বান্ধবী তাকে সহজ অর্থ উপার্জনের এই পথ সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। তরুণীটি আরো বলেন, ওই টাকা দিয়ে তিনি একটি আইফোন-৮ অর্ডার করতে চেয়েছিলেন, যা তার অধিকাংশ বন্ধুদের ছিল। যদিও ডেইলি মিররের প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা ওই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

নানা নামের ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে সে যে কাজ করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে সে নিশ্চিত কি না। মেয়েটি তাকে নিশ্চয়তা দিলে তিনি তাকে ৬০ পাউন্ড অগ্রিম দিয়ে চুক্তির বাস্তবায়নে স্থান ও দিন নির্ধারণ করে চলে যান।

প্রকৃত অর্থে কি ঘটতে যাচ্ছে সে বিষয়ে মেয়েটির কোন ধারণাই ছিল না। কারণ ওই ছেলেটি কাজ করতো মানুষের আচরণ ও সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে। মেয়েটির এই অবস্থার সুযোগ সে লুফে নিয়েছিল। সে মেয়েটিকে জনসম্মুখে লজ্জা দেয়ার জন্য মনে মনে একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করছিলো।

ঘটনার চূড়ান্ত পরিণতি হয় যখন মেয়েটি তার সতীত্ব বিসর্জন দেয়ার জন্য চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে হোটেলে গেল তারপর। রুমে গিয়ে বিশ্বাস অর্জনের জন্য নানা নামের ওই ব্যক্তি মেয়েটির হাতে আইফোন-৮ হ্যান্ডসেট দেন।

এর কিছুক্ষণ পরেই ক্যামেরা হাতে তিনজন প্রবেশ করে রুমটিতে। তিনজনই একসঙ্গে বলে ওঠে ‘চলো মজা করি। ’
মেয়েটি ঘটনা বুঝতে পেরে কান্না শুরু করে দেন।

তখন নানা মেয়েটিকে বলেন, ‘অনেক দেরি হয়ে গেছে। শুধু একটি হ্যান্ডসেটের জন্য যেকোন কিছুর বিনিময় করা যায় না, এটি অর্থহীন। ’

কিছুক্ষণ পর নানা বাকিদের রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তারপর তিনি মেয়েটিকে একান্তে কিছু উপদেশ দেন।