নিউজ ডেস্ক:
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা সেই জাতি, যে জাতি সম্পর্কে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না’, আজকে সেটি প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের দৃশ্যমান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালিকে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে শিখিয়েছেন।
তিনি প্রমাণ করেছেন, বাঙালি জাতি বীরের জাতি। মিথ্যা অপবাদ নিতে রাজি নয়। গতকাল বিকালে রাজধানীর খিলগাও পলীমা সংসদ প্রাঙ্গনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বাকী ও শহীদ বাবুল পাঠাগারের উদ্যোগে সাতদিনব্যাপী বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় কাউন্সিলর মো. ওয়াহিদুল ইসলাম মিল্টন, প্রকাশক সমিতির সভাপতি মেজবাউদ্দিন, পলীমা সংসদের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, একুশে পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর, ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সফিকুর রহমান শহীদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান ফরিদ প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, ফরিদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আবু ফয়েজ আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা হাজী আবদুর রাজ্জাক, সিরাজুল ইসলাম বাঙালি, জয়নাল আবেদনীসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতু থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল। এটা ছিল ষড়যন্ত্রের অংশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিল, আমরা দুর্নীতি করিনি। অবশেষে পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি।
একই সঙ্গে নিজস্ব অর্থায়নের পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের দৃশ্যমান করে বাঙালিকে নতুন মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতুৃ নির্মাণে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে দেশের জিডিপির পরিমান বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যলাণে কাজ করেছে। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখনই মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পান। ভাতা বৃদ্ধি হয়। ঈদে বোনাস পান। অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা ঘরবাড়ি পায়। কাউকে ভিক্ষা করতে হয় না। আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এ জন্য সব মুক্তিযোদ্ধাদের আওয়ামী লীগের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।