শিরোনাম :
Logo দুর্ভোগ কমাতে ৯১ স্থানে সভা-সমাবেশ করার অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের Logo ‘বিদায়’ জানালেন সিনেমার গানকে প্রিন্স মাহমুদ Logo সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে বাসভবনে যাবেন ইসহাক দার Logo ১০ শতাংশ ভোট জামায়াত পাইলে বলব তারা বাপের বেটা : ফজলুর রহমান Logo ইবিতে বিএনসিসি ক্যাডেটদের পদোন্নতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo “দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই আমি কাজ করব” : কচুয়ায় যুবদলের কর্মী সমাবেশে-মোশারফ হোসেন Logo ইকসু বাস্তবায়নের দাবিতে ‘মুভমেন্ট ফর ইকসু’ প্লাটফর্ম গঠন Logo চাঁদপুর জেলা কারাগারের জেল সুপারের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে খুশি কারাবন্দিরা Logo ইবিতে রোভার স্কাউটসের বার্ষিক তাঁবুবাস ও দীক্ষানুষ্ঠান সম্পন্ন Logo বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত (ডাকসু) প্যানেলকে স্বাগত জানিয়ে কয়রায় ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল 

লামা-আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়কের বেহাল অবস্থা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৩১ বার পড়া হয়েছে

লামা প্রতিনিধি : লামা আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়কের লাইনঝিরিতে ক্রস ড্রেনের দু’টি হোল মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ৪৪ কি: মি: সড়ক সংস্কার বিহীন রয়েছে কয়েক বছর ধরে। অতিরিক্ত মাল পরিবহনের ফলে কুমারি ও ইয়াংছা ভেইলি ব্রিজ দু’টির ঝুঁকিপূর্ন অবস্থা বিরাজ করছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের লামা লাইনঝিরি অফিসের দুইশ্ মিটারের মধ্যে এই ঝুঁকিপূর্ন ক্রস ড্রেনের পয়েন্ট দু’টি কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে বিগত সাড়ে তিন দশক ধরে মুক্ত রয়েছে। পথচারি শাহাজান, আ: রহিম, নুরুচ্ছপা, মো: বাবুল, রহমত উল্লাহ, মো: খোকনসহ আরো অনেকে জানান, ছোট বেলা থেকে তাঁরা এই হোল দু’টি উম্মুক্ত থাকতে দেখেন। হোল দুটির মুখে কোন ধরণের ঢাকনা না থাকায় যে কোন সময় মটর সাইকেল, পথচারি ও গরু-ছাগল পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনাসহ প্রাণ নাশের সম্ভাবনার কথা জানান, তাঁরা।
৮০’র দশকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৭ ইসিবি লামা-আলীকদম-ফাঁসিয়াখালী ৪৪ কি:মি: সড়কের কাজ সম্পন্ন করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিকট ন্যস্ত করেন। সড়ক জনপদ বিভাগ বুঝে নেয়ার পর থেকে এই সড়কের বেহাল অবস্থা দেখা দেয়। জোড়াতালি দিয়ে প্রতি বছর মেরামতের নামে সরকারের প্রচুর অর্থ খরছ দেখানো হলেও কাজের কাজ কোনটাই হচ্ছে না। ৪৪ কি: মি: সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে কার্পেটিং-এর অংশ বিশেষ ভেঙ্গে ড্রেনের সাথে মিশে গেছে। এই অবস্থায় মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে তিন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ও অসংখ্য সরকারি বিভিন্ন এজেন্সির লোকজন এই সড়কে যাতায়ত করছে।
সড়কে যাতায়তকারি, যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক ও গাড়ি মালিকরা জানান, ২০১৫ সালে পাহাড় ধসের ফলে কয়েকটি স্থানে সড়কের অংশ ভেঙ্গে যায়। বিগত বছরে সড়কের দু’তিনটি পয়েন্টে ধারক দেয়াল নির্মাণ করে দিলেও সড়কে কোন সংস্কার কাজ হচ্ছেনা বহু বছর ধরে। সড়কটি দিয়ে বছর ব্যাপি ওভার লোডিং কাঠের গাড়ি এবং তামাক মৌসুমে তামাক পাতা পরিবহনে বড় বড় ট্রাক ২০-২৮ টন লোড নিয়ে চলাচল করে। এর ফলে সড়কের কুমারি ও ইয়াংছা ভেইলি ব্রিজ দু’টিও ঝুঁকিপূর্ন অবস্থা বিরাজ করছে। এই দু’টি ভেইলি ব্রিজ তুলে, সেখানে গার্ডার ব্রিজ স্থাপন করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বছরে পর বছর সড়কে কোন সংস্কার কাজ হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুম এলে বিভিন্ন স্থানে মাটি অপসারণ ও ড্রেন পরিস্কার ব্যতিত যেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোন কাজ নেই। গাড়ির ডাইভার সামচুল জানায়, আংশিক ভাঙ্গনের সাথে সাথে সড়কে সংস্কার কাজ চালিয়ে গেলে বড় ধরণের ভাঙ্গন রোধ সম্ভব। লাইনঝিরির একটি বাঁকে বিগত কয়েক বছর পূর্বে নির্মিত ধারক দেয়াল অভ্যান্তরে এখনো মাটি ভরাট করা হয়নি। অথচ ঠিকাদার কর্তৃক মাটির কয়েক লাখ টাকা বিল উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। সড়কের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ন বাঁকে নজর কাটারমতো রোড সাইন ও দুর্ঘটনা এড়াতে মাটির ডিভি বা কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সড়কটি ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সেনাবাহিনী ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নকে দায়িত্ব দেয়ার দাবী জানান, স্থানীয়রা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্ভোগ কমাতে ৯১ স্থানে সভা-সমাবেশ করার অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের

লামা-আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়কের বেহাল অবস্থা

আপডেট সময় : ০৮:১৭:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

লামা প্রতিনিধি : লামা আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়কের লাইনঝিরিতে ক্রস ড্রেনের দু’টি হোল মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ৪৪ কি: মি: সড়ক সংস্কার বিহীন রয়েছে কয়েক বছর ধরে। অতিরিক্ত মাল পরিবহনের ফলে কুমারি ও ইয়াংছা ভেইলি ব্রিজ দু’টির ঝুঁকিপূর্ন অবস্থা বিরাজ করছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের লামা লাইনঝিরি অফিসের দুইশ্ মিটারের মধ্যে এই ঝুঁকিপূর্ন ক্রস ড্রেনের পয়েন্ট দু’টি কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে বিগত সাড়ে তিন দশক ধরে মুক্ত রয়েছে। পথচারি শাহাজান, আ: রহিম, নুরুচ্ছপা, মো: বাবুল, রহমত উল্লাহ, মো: খোকনসহ আরো অনেকে জানান, ছোট বেলা থেকে তাঁরা এই হোল দু’টি উম্মুক্ত থাকতে দেখেন। হোল দুটির মুখে কোন ধরণের ঢাকনা না থাকায় যে কোন সময় মটর সাইকেল, পথচারি ও গরু-ছাগল পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনাসহ প্রাণ নাশের সম্ভাবনার কথা জানান, তাঁরা।
৮০’র দশকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৭ ইসিবি লামা-আলীকদম-ফাঁসিয়াখালী ৪৪ কি:মি: সড়কের কাজ সম্পন্ন করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিকট ন্যস্ত করেন। সড়ক জনপদ বিভাগ বুঝে নেয়ার পর থেকে এই সড়কের বেহাল অবস্থা দেখা দেয়। জোড়াতালি দিয়ে প্রতি বছর মেরামতের নামে সরকারের প্রচুর অর্থ খরছ দেখানো হলেও কাজের কাজ কোনটাই হচ্ছে না। ৪৪ কি: মি: সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে কার্পেটিং-এর অংশ বিশেষ ভেঙ্গে ড্রেনের সাথে মিশে গেছে। এই অবস্থায় মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে তিন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ও অসংখ্য সরকারি বিভিন্ন এজেন্সির লোকজন এই সড়কে যাতায়ত করছে।
সড়কে যাতায়তকারি, যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক ও গাড়ি মালিকরা জানান, ২০১৫ সালে পাহাড় ধসের ফলে কয়েকটি স্থানে সড়কের অংশ ভেঙ্গে যায়। বিগত বছরে সড়কের দু’তিনটি পয়েন্টে ধারক দেয়াল নির্মাণ করে দিলেও সড়কে কোন সংস্কার কাজ হচ্ছেনা বহু বছর ধরে। সড়কটি দিয়ে বছর ব্যাপি ওভার লোডিং কাঠের গাড়ি এবং তামাক মৌসুমে তামাক পাতা পরিবহনে বড় বড় ট্রাক ২০-২৮ টন লোড নিয়ে চলাচল করে। এর ফলে সড়কের কুমারি ও ইয়াংছা ভেইলি ব্রিজ দু’টিও ঝুঁকিপূর্ন অবস্থা বিরাজ করছে। এই দু’টি ভেইলি ব্রিজ তুলে, সেখানে গার্ডার ব্রিজ স্থাপন করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বছরে পর বছর সড়কে কোন সংস্কার কাজ হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুম এলে বিভিন্ন স্থানে মাটি অপসারণ ও ড্রেন পরিস্কার ব্যতিত যেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোন কাজ নেই। গাড়ির ডাইভার সামচুল জানায়, আংশিক ভাঙ্গনের সাথে সাথে সড়কে সংস্কার কাজ চালিয়ে গেলে বড় ধরণের ভাঙ্গন রোধ সম্ভব। লাইনঝিরির একটি বাঁকে বিগত কয়েক বছর পূর্বে নির্মিত ধারক দেয়াল অভ্যান্তরে এখনো মাটি ভরাট করা হয়নি। অথচ ঠিকাদার কর্তৃক মাটির কয়েক লাখ টাকা বিল উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। সড়কের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ন বাঁকে নজর কাটারমতো রোড সাইন ও দুর্ঘটনা এড়াতে মাটির ডিভি বা কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সড়কটি ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সেনাবাহিনী ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নকে দায়িত্ব দেয়ার দাবী জানান, স্থানীয়রা।