শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

ঝিনাইদহে খোলা বাজারে চালের দাম কম থাকায় চাল কল মালিকদের ক্রয় কেন্দ্রলোতে দেখা যাচ্ছে না

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৩:১২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত ৪২৮ চালকল, বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলায় চলতি বোরো সংগ্রহ অভিযানকালে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি না করায় ৪২৮টি চালকলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সরকারের সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধান চালের দাম বেশি থাকায় এ জেলায় সরকারের চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত নাও হতে পারে। জেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলায় ৪৮৬টি চাল কল আছে। এর মধ্যে ৫৮টি চাল কল সরকারের চাল ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি করেছে। বাকি ৪২৮টি চালকল কোনো চুক্তি করেনি। অন্যান্য বছর সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে চালের দাম কম থাকায় চাল কল মালিকেরা চাল সরবরাহের চুক্তি করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তো। এবার ক্রয় কেন্দ্রলোতে তাদের দেখা যাচ্ছে না। মিলের লাইসেন্স রক্ষার জন্য কেউ কেউ চুক্তি করেছে।

এবার চালের সংগ্রহ মূল্য ধার্য করা হয়েছে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা। জেলার কোথাও ৩৪ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে না। চালের দাম কেজিতে দেড় দুই টাকা কমার পর স্থির আছে। আদ্রতাযুক্ত মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৭/৩৮ টাকা কেজি দরে। আর ক্রয় কেন্দ্রেগুলোতে আদ্রতা যুক্ত চাল কেনা হয় না। আদ্রতা মুক্ত প্রতি কেজি মোটা চাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে কেজি প্রতি ৫-৬ টাকা করে লোকসান হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মিল মালিক জানান। লাইসেন্স বাঁচাতে ১০ টন চাল সরবরাহের চুক্তি করেছেন। এতে তার প্রায় লাখ টাকা লোকসান হবে আরো জানান। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন জানান, এবার ঝিনাইদহ জেলায় ১০ হাজার ৬৮৮ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত দুই হাজার টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। সংগ্রহ অভিযান ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। তিনি আরো জানান, যে সকল চালকল মালিক সরকারের সাথে চাল সরবরাহের চুক্তি করেননি, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

ঝিনাইদহে খোলা বাজারে চালের দাম কম থাকায় চাল কল মালিকদের ক্রয় কেন্দ্রলোতে দেখা যাচ্ছে না

আপডেট সময় : ০৬:৫৩:১২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০১৭

ঝিনাইদহে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত ৪২৮ চালকল, বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলায় চলতি বোরো সংগ্রহ অভিযানকালে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি না করায় ৪২৮টি চালকলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সরকারের সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধান চালের দাম বেশি থাকায় এ জেলায় সরকারের চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত নাও হতে পারে। জেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলায় ৪৮৬টি চাল কল আছে। এর মধ্যে ৫৮টি চাল কল সরকারের চাল ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি করেছে। বাকি ৪২৮টি চালকল কোনো চুক্তি করেনি। অন্যান্য বছর সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে চালের দাম কম থাকায় চাল কল মালিকেরা চাল সরবরাহের চুক্তি করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তো। এবার ক্রয় কেন্দ্রলোতে তাদের দেখা যাচ্ছে না। মিলের লাইসেন্স রক্ষার জন্য কেউ কেউ চুক্তি করেছে।

এবার চালের সংগ্রহ মূল্য ধার্য করা হয়েছে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা। জেলার কোথাও ৩৪ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে না। চালের দাম কেজিতে দেড় দুই টাকা কমার পর স্থির আছে। আদ্রতাযুক্ত মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৭/৩৮ টাকা কেজি দরে। আর ক্রয় কেন্দ্রেগুলোতে আদ্রতা যুক্ত চাল কেনা হয় না। আদ্রতা মুক্ত প্রতি কেজি মোটা চাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে কেজি প্রতি ৫-৬ টাকা করে লোকসান হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মিল মালিক জানান। লাইসেন্স বাঁচাতে ১০ টন চাল সরবরাহের চুক্তি করেছেন। এতে তার প্রায় লাখ টাকা লোকসান হবে আরো জানান। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন জানান, এবার ঝিনাইদহ জেলায় ১০ হাজার ৬৮৮ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত দুই হাজার টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। সংগ্রহ অভিযান ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। তিনি আরো জানান, যে সকল চালকল মালিক সরকারের সাথে চাল সরবরাহের চুক্তি করেননি, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।