শনিবার | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo ফাউন্ডেশন ফর ডাঃ আব্দুল হাই মেধাবৃত্তিতে অংশ নিল ২২৫ শিক্ষার্থী Logo ভারতীয় নাগরিকের গুলিবর্ষণে সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত Logo সাতক্ষীরায় জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল Logo সাংবাদিকদের পাশে থাকবে সরকার: ন্যায়বিচারের আশ্বাস Logo প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত: জাবিসাস Logo হাদি হত্যা ও হামলা-ভাঙচুর; জাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি Logo চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের যৌথ আয়োজনে চাঁদপুরে মাদক বিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা Logo বিজয় দিবসে প্যাপিরাস পাঠাগারের আলোচনা সভা ও কবিতাপাঠ Logo বিজয় দিবসে রাঙামাটি পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পুলিশ পরিবারকে সংবর্ধনা

ঝিনাইদহের নাটাবাড়িয়া গ্রামের“একঘরে”নাটকের শেষ দৃশ্য জমি জমা বিরোধ

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৩৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদরের নাটাবাড়িয়া গ্রামের“একঘরে”নাটকের শেষ দৃশ্য ভাইয়ে ভাইয়ে জমি জমা বিরোধকে কেন্দ্র করে বলে এলাকাজুড়ে তোলপাড় হচ্ছে। টাকার জোরে ও জেদাজেদির বশিভুত হয়ে জোর করে আপন ভাইয়ের জমি দখল কারার চেষ্টা করছে হলিধানি ইউনিয়নের নাটাবাড়িয়া গ্রামের বারেক শেখ। একের পর এক হয়রানিমুলক মামলা দায়ের করছে আপন মেঝো ভাই আমিন শেখের বিরুদ্ধে। এনিয়ে হলিধানী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া বার বার নোটিশ করলেও অজ্ঞাত কারণে হাজির হচ্ছেনা নাটাবাড়িয়ার গ্রামের বারেক শেখ। ঝিনাইদহ নাটাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত ফকির মাহমুদ এর ৪ ছেলে। এর মধ্যে ছোট ছেলে কওসার মারা যায়। বর্তমানে তিন ছেলে বেঁচে আছে। এরা হলেন বড় ছেলে আবুল শেখ, মেঝো ছেলে আমিন শেখ ও সেজো ছেলে বারেক শেখ। জানা গেছে, হলিধানী ইউনিয়নের “নাটাবাড়িয়া গ্রামের একঘরে পরিবারকে জাতে তুলতে ১৫০ জনকে ভুড়িভোজ করানো হয়েছে” বিভিন্ন পত্র পত্রিকার শিরোনামের ঘটনা সম্পুর্ন বানোয়াট বলে দাবী করেছেন গ্রামবাসী। তারা জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা বিচারে জমি ফেরত নিয়ে ভাইকে দিয়ে দিবে এজন্যেই বারেক শেখ ভাইকে জব্দ করতে ও জমি ফেরত না দেয়ার ধান্দায় বারেক শেখ “একঘরে” নাটক করেছেন বলে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে।

প্রতিবেশিরা জানায়, সেজো ভাই বারেক শেখ কৌশলবাজী ও টাকাওয়ালা, আর মেঝো ভাই আমিন শেখ দিন মুজুর। বড় ভাই আবুল শেখ ও বারেক শেখ মিলে সেজো ভাই আমিন শেখের জমি গ্রাস করতে বিভিন্ন সড়যন্ত্র করে চলেছে। শনিবারে সাংবাদিকদের নিকট আবুল শেখ ও বারেক শেখের অপকর্মের প্রতিবাদ জানায় গ্রামবাসি। ঝিনাইদহ হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়ীয়া গ্রামের ৫১৫ দাগে আমিন শেখ এর ১৩.৬৬ পয়েন্ট জমি জোর করে দখল করার চেষ্টা করছে বারেক শেখ। ৪১শতক জমি চার ভাইয়ের নামে রেষ্ট্রি করেন। এরমধ্যে ছোট ভাই মারা গেলে তার স্ত্রীর কাছ থেকে তিন ভাই মিলে তার অংশ ক্রয় করে। এরপর ৪১ শতক জমির মালিক হয় বাকি তিন ভাই ,আমিন শেখ, বারেক শেখ ও আবুল শেখ। বড় ভাই আবুল শেখ ১৩.৬৬ জমি বারেকের কাছে এওয়াজ করে নিয়েছে। আমিন শেখ তার জমি এওয়াজ না করে দেওয়ায় বারেক শেখ বিভিন্ন ভাবে মিথ্য মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। বড় ভাই আবুল শেখের ছেলে বাবলু শেখ জানান, আমার সেজো চাচার বাড়ীর জমি সমানভাবে আমাদের ও মেজো চাচাকে দেয়ার কথা। কিন্তু আমার সেজো চাচা মেজো চাচাকে না দিয়ে আমার পিতার নামে অর্ধেকেরও বেশী অংশ রেজিষ্ট্রি করে দেয়। এতে আমার মেঝো চাচা না মানায় গোলযোগের সৃষ্টি হয়।

বারেকের চাচাতো ভায়ের ছেলে গোলাম মস্তফা এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বারেক চাচা একটা মিথ্যাবাদী মার্কা মানুষ, সে কারো বিচার মানে না কারন এখন তার টাকা হয়েছে। যার জন্য বারেক শেখ মিথ্যা মামলা আর “একঘরে” নাটক করে আমিন চাচাকে চাপে ফেলে তার জমিটি মেরে দিতেই এত কৌশল করছে। গ্রামের বাসিন্দা আকরাম জানান, বারেক অন্যায় ভাবে টাকার জোরে আমিন শেখের নামে সন্ত্রাসী মামলা দিয়েছে। এই মিথ্যা মামালা করা উচিত নয়। জমি দখল করার চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গে উল্টো তার নামে ৫টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। নাটাবাড়িয়া ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান জানান, আমিন শেখের জমি ফেরত দিতে আমরা কয়েক বার বারেক শেখকে বলেছি কিন্তু সে কারো কথাই কেয়ার করছে না। বরং কেউ যদি মিমাংসার কথা বলে তাকে মিথ্যা মামলার দেওয়ার হুমকি দেখায়। এদিকে হলিধানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, বারেককে শালীশের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনেক বার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি স্থানীয় সরকারকে তোয়াক্কা না করে বারংবার আমিনের নামে মামলা করেই যাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, আমিন শেখের নামে মিথ্যা মামলার ব্যাপারে মামলার তদন্ত পুলিশ কর্মকর্তার (আয়ুর) সাথে কথা হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে এটি মিথ্য মামলা। কিন্তু তিনি বলেছেন এটা আদালতের ব্যাপার। তবে আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। এ ব্যাপরে অভিযুক্ত বারেক শেখের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মেঝো ভাই আমিন ও গ্রামবাসিরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমি কোর্টে মামলা করার কারনে ইউনিয়ন পরিষদের সালিশে যায়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফাউন্ডেশন ফর ডাঃ আব্দুল হাই মেধাবৃত্তিতে অংশ নিল ২২৫ শিক্ষার্থী

ঝিনাইদহের নাটাবাড়িয়া গ্রামের“একঘরে”নাটকের শেষ দৃশ্য জমি জমা বিরোধ

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৩৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ আগস্ট ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদরের নাটাবাড়িয়া গ্রামের“একঘরে”নাটকের শেষ দৃশ্য ভাইয়ে ভাইয়ে জমি জমা বিরোধকে কেন্দ্র করে বলে এলাকাজুড়ে তোলপাড় হচ্ছে। টাকার জোরে ও জেদাজেদির বশিভুত হয়ে জোর করে আপন ভাইয়ের জমি দখল কারার চেষ্টা করছে হলিধানি ইউনিয়নের নাটাবাড়িয়া গ্রামের বারেক শেখ। একের পর এক হয়রানিমুলক মামলা দায়ের করছে আপন মেঝো ভাই আমিন শেখের বিরুদ্ধে। এনিয়ে হলিধানী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া বার বার নোটিশ করলেও অজ্ঞাত কারণে হাজির হচ্ছেনা নাটাবাড়িয়ার গ্রামের বারেক শেখ। ঝিনাইদহ নাটাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত ফকির মাহমুদ এর ৪ ছেলে। এর মধ্যে ছোট ছেলে কওসার মারা যায়। বর্তমানে তিন ছেলে বেঁচে আছে। এরা হলেন বড় ছেলে আবুল শেখ, মেঝো ছেলে আমিন শেখ ও সেজো ছেলে বারেক শেখ। জানা গেছে, হলিধানী ইউনিয়নের “নাটাবাড়িয়া গ্রামের একঘরে পরিবারকে জাতে তুলতে ১৫০ জনকে ভুড়িভোজ করানো হয়েছে” বিভিন্ন পত্র পত্রিকার শিরোনামের ঘটনা সম্পুর্ন বানোয়াট বলে দাবী করেছেন গ্রামবাসী। তারা জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা বিচারে জমি ফেরত নিয়ে ভাইকে দিয়ে দিবে এজন্যেই বারেক শেখ ভাইকে জব্দ করতে ও জমি ফেরত না দেয়ার ধান্দায় বারেক শেখ “একঘরে” নাটক করেছেন বলে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে।

প্রতিবেশিরা জানায়, সেজো ভাই বারেক শেখ কৌশলবাজী ও টাকাওয়ালা, আর মেঝো ভাই আমিন শেখ দিন মুজুর। বড় ভাই আবুল শেখ ও বারেক শেখ মিলে সেজো ভাই আমিন শেখের জমি গ্রাস করতে বিভিন্ন সড়যন্ত্র করে চলেছে। শনিবারে সাংবাদিকদের নিকট আবুল শেখ ও বারেক শেখের অপকর্মের প্রতিবাদ জানায় গ্রামবাসি। ঝিনাইদহ হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়ীয়া গ্রামের ৫১৫ দাগে আমিন শেখ এর ১৩.৬৬ পয়েন্ট জমি জোর করে দখল করার চেষ্টা করছে বারেক শেখ। ৪১শতক জমি চার ভাইয়ের নামে রেষ্ট্রি করেন। এরমধ্যে ছোট ভাই মারা গেলে তার স্ত্রীর কাছ থেকে তিন ভাই মিলে তার অংশ ক্রয় করে। এরপর ৪১ শতক জমির মালিক হয় বাকি তিন ভাই ,আমিন শেখ, বারেক শেখ ও আবুল শেখ। বড় ভাই আবুল শেখ ১৩.৬৬ জমি বারেকের কাছে এওয়াজ করে নিয়েছে। আমিন শেখ তার জমি এওয়াজ না করে দেওয়ায় বারেক শেখ বিভিন্ন ভাবে মিথ্য মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। বড় ভাই আবুল শেখের ছেলে বাবলু শেখ জানান, আমার সেজো চাচার বাড়ীর জমি সমানভাবে আমাদের ও মেজো চাচাকে দেয়ার কথা। কিন্তু আমার সেজো চাচা মেজো চাচাকে না দিয়ে আমার পিতার নামে অর্ধেকেরও বেশী অংশ রেজিষ্ট্রি করে দেয়। এতে আমার মেঝো চাচা না মানায় গোলযোগের সৃষ্টি হয়।

বারেকের চাচাতো ভায়ের ছেলে গোলাম মস্তফা এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বারেক চাচা একটা মিথ্যাবাদী মার্কা মানুষ, সে কারো বিচার মানে না কারন এখন তার টাকা হয়েছে। যার জন্য বারেক শেখ মিথ্যা মামলা আর “একঘরে” নাটক করে আমিন চাচাকে চাপে ফেলে তার জমিটি মেরে দিতেই এত কৌশল করছে। গ্রামের বাসিন্দা আকরাম জানান, বারেক অন্যায় ভাবে টাকার জোরে আমিন শেখের নামে সন্ত্রাসী মামলা দিয়েছে। এই মিথ্যা মামালা করা উচিত নয়। জমি দখল করার চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গে উল্টো তার নামে ৫টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। নাটাবাড়িয়া ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান জানান, আমিন শেখের জমি ফেরত দিতে আমরা কয়েক বার বারেক শেখকে বলেছি কিন্তু সে কারো কথাই কেয়ার করছে না। বরং কেউ যদি মিমাংসার কথা বলে তাকে মিথ্যা মামলার দেওয়ার হুমকি দেখায়। এদিকে হলিধানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, বারেককে শালীশের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনেক বার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি স্থানীয় সরকারকে তোয়াক্কা না করে বারংবার আমিনের নামে মামলা করেই যাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, আমিন শেখের নামে মিথ্যা মামলার ব্যাপারে মামলার তদন্ত পুলিশ কর্মকর্তার (আয়ুর) সাথে কথা হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে এটি মিথ্য মামলা। কিন্তু তিনি বলেছেন এটা আদালতের ব্যাপার। তবে আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। এ ব্যাপরে অভিযুক্ত বারেক শেখের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মেঝো ভাই আমিন ও গ্রামবাসিরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমি কোর্টে মামলা করার কারনে ইউনিয়ন পরিষদের সালিশে যায়নি।