শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

আকিকা নিয়ে যে ৬টি কুসংস্কার প্রচলিত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:৩০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭
  • ৮০৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আকিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কিন্তু আমাদের সমাজে এই অাকিকার আনুষ্ঠানিকতায় নানাবিধ কুসংষ্কার সন্নিবেশিত হয়েছে। আকিকায়ও অনেক কুসংস্কার বিদ্যমান। আকিকার দিন ছেলে হলে দু’টি ছাগল আর মেয়ে হলে একটি ছাগল জবেহ করা, জবেহকৃত পশুর গোশত কাঁচা অথবা রান্না করে বিতরণ করা, শিশুর মাথা মুণ্ড করে চুলের ওজনের সমপরিমান স্বর্ণ, রৌপ্য বা তৎমূল্য খয়রাত করা প্রভৃতি কাজকর্ম সুন্নাত ও মুস্তহাব। এছাড়া অন্যান্য প্রচলিত প্রথাসমূহ ইসলামী শরীআতে মূল্যহীন ও অযথা কাজ। [ইসলামে শিশু পরিচর্যার বিধান, পৃষ্ঠা-৩৪]

আকিকা উপলক্ষে প্রচলিত কুসংস্কার সমূহের তালিকা নিন্মে প্রদান করা হলো-

১. অনেকেই মনে করে যে, আকিকার গোশত দাদা-দাদি ও নানা-নানি খেতে পারে না। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

২. আরো একটি কুসংস্কার হলো, সন্তানের মাথার চুল মুণ্ডানোর জন্য যখন মাথার উপরের ক্ষুর টানা হবে, ঠিক সেই মুহূর্তে আকিকার জন্তু জবেহ্ করতে হবে বলে আমাদের সমাজে একটি প্রথাগত কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে এটাও ভিত্তিহীন। এ ধারণাও ঠিক নয়।

৩.. আকিকা উপলক্ষে নবজাতকের নানার বাড়ির পক্ষ হতে কিছু পোশাক, খাবার ও সহায়ক সামগ্রী প্রেরণের একটি কুসংস্কার চালু আছে। এ ক্ষেত্রে প্রধান মন্দের দিকটি হলো উপস্থিত সময়ে নানার পরিবারের সঙ্গতি না থাকলেও প্রথা অনুযায়ী উপহার সামগ্রী অবশ্যই পাঠাতে হবে। অর্থাৎ একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ এমন গুরুত্বের সাথে সম্পন্ন করা হয় যে, এ ক্ষেত্রে শরীআতের কোনো বিধান লংঘন হয়েছে কিন তাও লক্ষ্য করা হয় না। আর এই দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়্যত থাকে সেই সুনাম ও সুখ্যাতি এবং অহংকার প্রদর্শন, যা একটি পরিষ্কার হারাম কাজ।

৪. আকিকা উপলক্ষে লেনদেন আকিকার ক্ষেত্রে আরেকটি কুসংস্কার। যে সন্তানের আকিকা করা হয় তার মাথার চুল কামানোর পর মহল্লাবাসী পুরুষ ও বন্ধু-বান্ধব মিলে একটি বাটিতে চাঁদা সংগ্রহ করেন। এ চাঁদা সংগ্রহ করা পরিবারের কর্তার একটি পবিত্র দায়িত্ব মনে করা এবং নাপিতকে এ সংগৃহীত চাঁদা প্রদান করা হয়। এসব কুপ্রথা অবশ্যই বর্জন করা বাঞ্ছনীয়।

৫. আকিকার সময় বোন-ভাগ্নিকে উপহার প্রদান করার একটি বাধ্যতামূলত প্রথা চালু রয়েছে। আকিকার সময় আবশ্যকভাবে বোন-ভাগ্নিকে পুরস্কৃত করার প্রথাগুলোও শরীআতের বহির্ভূত কাজ। সুতরাং তা বর্জন করা বাঞ্ছনীয়।

৬।. আকিকার গোশতের সাথে যে সকল হাড় রান্না করা হয়, আহার করার সময় তা দাঁতে চিবিয়ে ভেঙ্গে বা অন্য কোনো উপায়ে ভগ্ন করা বিধি-বহির্ভূত মনে করা হয়। তাই তা অনেকেই আস্ত রেখে দেয়, তাও কুসংস্কারের অন্তর্ভূক্ত।

সৌজন্যেঃ দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন.

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

আকিকা নিয়ে যে ৬টি কুসংস্কার প্রচলিত !

আপডেট সময় : ০৫:০৫:৩০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আকিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কিন্তু আমাদের সমাজে এই অাকিকার আনুষ্ঠানিকতায় নানাবিধ কুসংষ্কার সন্নিবেশিত হয়েছে। আকিকায়ও অনেক কুসংস্কার বিদ্যমান। আকিকার দিন ছেলে হলে দু’টি ছাগল আর মেয়ে হলে একটি ছাগল জবেহ করা, জবেহকৃত পশুর গোশত কাঁচা অথবা রান্না করে বিতরণ করা, শিশুর মাথা মুণ্ড করে চুলের ওজনের সমপরিমান স্বর্ণ, রৌপ্য বা তৎমূল্য খয়রাত করা প্রভৃতি কাজকর্ম সুন্নাত ও মুস্তহাব। এছাড়া অন্যান্য প্রচলিত প্রথাসমূহ ইসলামী শরীআতে মূল্যহীন ও অযথা কাজ। [ইসলামে শিশু পরিচর্যার বিধান, পৃষ্ঠা-৩৪]

আকিকা উপলক্ষে প্রচলিত কুসংস্কার সমূহের তালিকা নিন্মে প্রদান করা হলো-

১. অনেকেই মনে করে যে, আকিকার গোশত দাদা-দাদি ও নানা-নানি খেতে পারে না। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

২. আরো একটি কুসংস্কার হলো, সন্তানের মাথার চুল মুণ্ডানোর জন্য যখন মাথার উপরের ক্ষুর টানা হবে, ঠিক সেই মুহূর্তে আকিকার জন্তু জবেহ্ করতে হবে বলে আমাদের সমাজে একটি প্রথাগত কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে এটাও ভিত্তিহীন। এ ধারণাও ঠিক নয়।

৩.. আকিকা উপলক্ষে নবজাতকের নানার বাড়ির পক্ষ হতে কিছু পোশাক, খাবার ও সহায়ক সামগ্রী প্রেরণের একটি কুসংস্কার চালু আছে। এ ক্ষেত্রে প্রধান মন্দের দিকটি হলো উপস্থিত সময়ে নানার পরিবারের সঙ্গতি না থাকলেও প্রথা অনুযায়ী উপহার সামগ্রী অবশ্যই পাঠাতে হবে। অর্থাৎ একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ এমন গুরুত্বের সাথে সম্পন্ন করা হয় যে, এ ক্ষেত্রে শরীআতের কোনো বিধান লংঘন হয়েছে কিন তাও লক্ষ্য করা হয় না। আর এই দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়্যত থাকে সেই সুনাম ও সুখ্যাতি এবং অহংকার প্রদর্শন, যা একটি পরিষ্কার হারাম কাজ।

৪. আকিকা উপলক্ষে লেনদেন আকিকার ক্ষেত্রে আরেকটি কুসংস্কার। যে সন্তানের আকিকা করা হয় তার মাথার চুল কামানোর পর মহল্লাবাসী পুরুষ ও বন্ধু-বান্ধব মিলে একটি বাটিতে চাঁদা সংগ্রহ করেন। এ চাঁদা সংগ্রহ করা পরিবারের কর্তার একটি পবিত্র দায়িত্ব মনে করা এবং নাপিতকে এ সংগৃহীত চাঁদা প্রদান করা হয়। এসব কুপ্রথা অবশ্যই বর্জন করা বাঞ্ছনীয়।

৫. আকিকার সময় বোন-ভাগ্নিকে উপহার প্রদান করার একটি বাধ্যতামূলত প্রথা চালু রয়েছে। আকিকার সময় আবশ্যকভাবে বোন-ভাগ্নিকে পুরস্কৃত করার প্রথাগুলোও শরীআতের বহির্ভূত কাজ। সুতরাং তা বর্জন করা বাঞ্ছনীয়।

৬।. আকিকার গোশতের সাথে যে সকল হাড় রান্না করা হয়, আহার করার সময় তা দাঁতে চিবিয়ে ভেঙ্গে বা অন্য কোনো উপায়ে ভগ্ন করা বিধি-বহির্ভূত মনে করা হয়। তাই তা অনেকেই আস্ত রেখে দেয়, তাও কুসংস্কারের অন্তর্ভূক্ত।

সৌজন্যেঃ দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন.