শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা

হরিনাকুন্ডুতে আইন অগ্রাহ্য করে বছরের পর বছর নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে অবৈধ ডিস ব্যাবসা পরিচালনা ও গভীর রাতে নিল ছবি প্রদর্শনের ব্যাপক অভিযোগ

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:২৫:৩৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

প্রতিনিধি ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু জোড়াদাহ ইউনিয়নের ভেড়ামারা গ্রামের মৃত.মসলেম উদ্দিসের ছেলে প্রভাবশালী মাসুদ রানা আইনকে অগ্রাহ্য করে দুই বছর যাবত নিজ বাড়িতে নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাইরেসি করে অবৈধ ডিস ব্যাবসা চালাচ্ছেন বলে এলাকাজুড়ে জোর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কাগজ পত্র ছাড়াই নিজের বসত বাড়ির সিমানায় টয়লেটের ছাদের উপরে নিজস্ব কন্ট্রোল রুমে ও পাইরেসির মাধ্যমে রমরমা অবৈধ ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করছেন বলে এলাকাব্যাপী অভিযোগ উঠেছে।  ইতিমধ্যে একই এলাকার বৈধ ডিস ব্যাবসায়ী কামরুজ্জামান কনক হরিনাকুন্ডু উপজেলা ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, হরিনাকুন্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ভেড়াখালি গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে কামরুজ্জামান কনক কে.কে. কেবল টিভি নেটওয়ার্ক নামে পে চ্যানেল ও ফ্রি চ্যানেল পরিচালনার জন্য সরকার কর্র্তৃক সকল শর্ত পালন করে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ এর অধিন অপরেটর লাইসেন্স নং-এফও ২২৮, রেজিঃ নং-১৩৯৯, তারিখ-৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ মোতাবেক ক্যাবল নেটওয়ার্ক আইনের অধিনে সম্পুর্ন বৈধ ভাবে সরকার বাহাদুরের অনুকুলে নিয়মিত করাদি পরিশোধ করে জোড়াদাহ ইউনিয়ন এলাকায় ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে।

অপরদিকে, একই গ্রামের গ্রামের মৃত.মসলেম উদ্দিইনরে ছেলে প্রভাবশালী মাসুদ রানা আইনকে অগ্রাহ্য করে দুই বছর যাবত নিজ বাড়িতে নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাইরেসি করে অবৈধ রমরমা ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করছেন বলে এলাকাজুড়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যা আইনত দন্ডনিয় অপরাধ। অন্যদিকে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির আওতায় পড়ে। মাসুদ রানার উক্ত অবৈধ ব্যাবসা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উচ্ছেদ করার জন্য হরিনাকুন্ডু উপজেলা ইউএনও বরাবর কামরুজ্জামান কনক একটি অভিযোগ পত্র চলতি বছর জুনের ৫ তারিখে দাখিল করেছেন। উপজেলা ইউএনও মহোদয় শুনানির দিন নির্ধারন করেন জুলাইয়ের ২তারিখে। উপজেলা থেকে উভয় পক্ষকে নোটিস না দেয়ার কারনে শুনানির দিন পিছিয়ে জুলাইয়ের ১৭ তারিখে নির্ধারন করা হয়।

ইউএনও মহোদয়ের বিশেষ ব্যাস্ততার কারনে ও মাসুদ রানার কতৃক সময় চাওয়ার কারণে ফের শুনানির দিন পিছিয়ে ১লা আগষ্টে করা হয়েছে। এদিকে, জোড়াদাহ ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তিবর্গ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মাসুদ রানা আইনকে অগ্রাহ্য করে প্রতিনিয়িত গভীর রাতে ২টি ডিভিডি ও একটি কম্পিউটার চ্যানেল চালু করে নিল ছবি প্রদর্শন করে। নিজস্ব ডিভিডি ও কম্পিউটার চ্যানেল চালু করা সরকারী বিধি মোতাবেক সম্পুর্ন অপরাধ। এ ব্যাপারে মাসুদ রানা উক্ত অভিযোগ স্বীকার করে জানান, বর্তমানে আমি নিজ বাড়িতে নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাইরেসি করে ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করি। আমার ডিস ব্যাবসার কোন প্রকার কাগজাদি নাই। তবে খুব শিঘ্রই বিশেষ ব্যাক্তিদের মাধ্যমে সমস্ত কাগজাদি তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশে সবাইই নিজস্ব ডিভিডি ও কম্পিউটার চ্যানেল চালাই। তাই আমারও ডিভিডি ও কম্পিউটার চ্যানেল চলে, তবে আমি নিল ছবি চালাই না।
হরিনাকুন্ডুতে আইন অগ্রাহ্য করে বছরের পর বছর নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে অবৈধ ডিস ব্যাবসা পরিচালনা ও গভীর রাতে নিল ছবি প্রদর্শনের ব্যাপক অভিযোগ
প্রতিনিধি ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু জোড়াদাহ ইউনিয়নের ভেড়ামারা গ্রামের মৃত.মসলেম উদ্দিসের ছেলে প্রভাবশালী মাসুদ রানা আইনকে অগ্রাহ্য করে দুই বছর যাবত নিজ বাড়িতে নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাইরেসি করে অবৈধ ডিস ব্যাবসা চালাচ্ছেন বলে এলাকাজুড়ে জোর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কাগজ পত্র ছাড়াই নিজের বসত বাড়ির সিমানায় টয়লেটের ছাদের উপরে নিজস্ব কন্ট্রোল রুমে ও পাইরেসির মাধ্যমে রমরমা অবৈধ ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করছেন বলে এলাকাব্যাপী অভিযোগ উঠেছে।  ইতিমধ্যে একই এলাকার বৈধ ডিস ব্যাবসায়ী কামরুজ্জামান কনক হরিনাকুন্ডু উপজেলা ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, হরিনাকুন্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ভেড়াখালি গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে কামরুজ্জামান কনক কে.কে. কেবল টিভি নেটওয়ার্ক নামে পে চ্যানেল ও ফ্রি চ্যানেল পরিচালনার জন্য সরকার কর্র্তৃক সকল শর্ত পালন করে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ এর অধিন অপরেটর লাইসেন্স নং-এফও ২২৮, রেজিঃ নং-১৩৯৯, তারিখ-৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ মোতাবেক ক্যাবল নেটওয়ার্ক আইনের অধিনে সম্পুর্ন বৈধ ভাবে সরকার বাহাদুরের অনুকুলে নিয়মিত করাদি পরিশোধ করে জোড়াদাহ ইউনিয়ন এলাকায় ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে।

অপরদিকে, একই গ্রামের গ্রামের মৃত.মসলেম উদ্দিইনরে ছেলে প্রভাবশালী মাসুদ রানা আইনকে অগ্রাহ্য করে দুই বছর যাবত নিজ বাড়িতে নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাইরেসি করে অবৈধ রমরমা ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করছেন বলে এলাকাজুড়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যা আইনত দন্ডনিয় অপরাধ। অন্যদিকে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির আওতায় পড়ে। মাসুদ রানার উক্ত অবৈধ ব্যাবসা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উচ্ছেদ করার জন্য হরিনাকুন্ডু উপজেলা ইউএনও বরাবর কামরুজ্জামান কনক একটি অভিযোগ পত্র চলতি বছর জুনের ৫ তারিখে দাখিল করেছেন। উপজেলা ইউএনও মহোদয় শুনানির দিন নির্ধারন করেন জুলাইয়ের ২তারিখে। উপজেলা থেকে উভয় পক্ষকে নোটিস না দেয়ার কারনে শুনানির দিন পিছিয়ে জুলাইয়ের ১৭ তারিখে নির্ধারন করা হয়।

ইউএনও মহোদয়ের বিশেষ ব্যাস্ততার কারনে ও মাসুদ রানার কতৃক সময় চাওয়ার কারণে ফের শুনানির দিন পিছিয়ে ১লা আগষ্টে করা হয়েছে। এদিকে, জোড়াদাহ ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তিবর্গ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মাসুদ রানা আইনকে অগ্রাহ্য করে প্রতিনিয়িত গভীর রাতে ২টি ডিভিডি ও একটি কম্পিউটার চ্যানেল চালু করে নিল ছবি প্রদর্শন করে। নিজস্ব ডিভিডি ও কম্পিউটার চ্যানেল চালু করা সরকারী বিধি মোতাবেক সম্পুর্ন অপরাধ। এ ব্যাপারে মাসুদ রানা উক্ত অভিযোগ স্বীকার করে জানান, বর্তমানে আমি নিজ বাড়িতে নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাইরেসি করে ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করি। আমার ডিস ব্যাবসার কোন প্রকার কাগজাদি নাই। তবে খুব শিঘ্রই বিশেষ ব্যাক্তিদের মাধ্যমে সমস্ত কাগজাদি তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশে সবাইই নিজস্ব ডিভিডি ও কম্পিউটার চ্যানেল চালাই। তাই আমারও ডিভিডি ও কম্পিউটার চ্যানেল চলে, তবে আমি নিল ছবি চালাই না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার

হরিনাকুন্ডুতে আইন অগ্রাহ্য করে বছরের পর বছর নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে অবৈধ ডিস ব্যাবসা পরিচালনা ও গভীর রাতে নিল ছবি প্রদর্শনের ব্যাপক অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:২৫:৩৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭

প্রতিনিধি ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু জোড়াদাহ ইউনিয়নের ভেড়ামারা গ্রামের মৃত.মসলেম উদ্দিসের ছেলে প্রভাবশালী মাসুদ রানা আইনকে অগ্রাহ্য করে দুই বছর যাবত নিজ বাড়িতে নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাইরেসি করে অবৈধ ডিস ব্যাবসা চালাচ্ছেন বলে এলাকাজুড়ে জোর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কাগজ পত্র ছাড়াই নিজের বসত বাড়ির সিমানায় টয়লেটের ছাদের উপরে নিজস্ব কন্ট্রোল রুমে ও পাইরেসির মাধ্যমে রমরমা অবৈধ ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করছেন বলে এলাকাব্যাপী অভিযোগ উঠেছে।  ইতিমধ্যে একই এলাকার বৈধ ডিস ব্যাবসায়ী কামরুজ্জামান কনক হরিনাকুন্ডু উপজেলা ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, হরিনাকুন্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ভেড়াখালি গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে কামরুজ্জামান কনক কে.কে. কেবল টিভি নেটওয়ার্ক নামে পে চ্যানেল ও ফ্রি চ্যানেল পরিচালনার জন্য সরকার কর্র্তৃক সকল শর্ত পালন করে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ এর অধিন অপরেটর লাইসেন্স নং-এফও ২২৮, রেজিঃ নং-১৩৯৯, তারিখ-৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ মোতাবেক ক্যাবল নেটওয়ার্ক আইনের অধিনে সম্পুর্ন বৈধ ভাবে সরকার বাহাদুরের অনুকুলে নিয়মিত করাদি পরিশোধ করে জোড়াদাহ ইউনিয়ন এলাকায় ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে।

অপরদিকে, একই গ্রামের গ্রামের মৃত.মসলেম উদ্দিইনরে ছেলে প্রভাবশালী মাসুদ রানা আইনকে অগ্রাহ্য করে দুই বছর যাবত নিজ বাড়িতে নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাইরেসি করে অবৈধ রমরমা ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করছেন বলে এলাকাজুড়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যা আইনত দন্ডনিয় অপরাধ। অন্যদিকে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির আওতায় পড়ে। মাসুদ রানার উক্ত অবৈধ ব্যাবসা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উচ্ছেদ করার জন্য হরিনাকুন্ডু উপজেলা ইউএনও বরাবর কামরুজ্জামান কনক একটি অভিযোগ পত্র চলতি বছর জুনের ৫ তারিখে দাখিল করেছেন। উপজেলা ইউএনও মহোদয় শুনানির দিন নির্ধারন করেন জুলাইয়ের ২তারিখে। উপজেলা থেকে উভয় পক্ষকে নোটিস না দেয়ার কারনে শুনানির দিন পিছিয়ে জুলাইয়ের ১৭ তারিখে নির্ধারন করা হয়।

ইউএনও মহোদয়ের বিশেষ ব্যাস্ততার কারনে ও মাসুদ রানার কতৃক সময় চাওয়ার কারণে ফের শুনানির দিন পিছিয়ে ১লা আগষ্টে করা হয়েছে। এদিকে, জোড়াদাহ ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তিবর্গ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মাসুদ রানা আইনকে অগ্রাহ্য করে প্রতিনিয়িত গভীর রাতে ২টি ডিভিডি ও একটি কম্পিউটার চ্যানেল চালু করে নিল ছবি প্রদর্শন করে। নিজস্ব ডিভিডি ও কম্পিউটার চ্যানেল চালু করা সরকারী বিধি মোতাবেক সম্পুর্ন অপরাধ। এ ব্যাপারে মাসুদ রানা উক্ত অভিযোগ স্বীকার করে জানান, বর্তমানে আমি নিজ বাড়িতে নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাইরেসি করে ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করি। আমার ডিস ব্যাবসার কোন প্রকার কাগজাদি নাই। তবে খুব শিঘ্রই বিশেষ ব্যাক্তিদের মাধ্যমে সমস্ত কাগজাদি তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশে সবাইই নিজস্ব ডিভিডি ও কম্পিউটার চ্যানেল চালাই। তাই আমারও ডিভিডি ও কম্পিউটার চ্যানেল চলে, তবে আমি নিল ছবি চালাই না।
হরিনাকুন্ডুতে আইন অগ্রাহ্য করে বছরের পর বছর নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে অবৈধ ডিস ব্যাবসা পরিচালনা ও গভীর রাতে নিল ছবি প্রদর্শনের ব্যাপক অভিযোগ
প্রতিনিধি ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু জোড়াদাহ ইউনিয়নের ভেড়ামারা গ্রামের মৃত.মসলেম উদ্দিসের ছেলে প্রভাবশালী মাসুদ রানা আইনকে অগ্রাহ্য করে দুই বছর যাবত নিজ বাড়িতে নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাইরেসি করে অবৈধ ডিস ব্যাবসা চালাচ্ছেন বলে এলাকাজুড়ে জোর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কাগজ পত্র ছাড়াই নিজের বসত বাড়ির সিমানায় টয়লেটের ছাদের উপরে নিজস্ব কন্ট্রোল রুমে ও পাইরেসির মাধ্যমে রমরমা অবৈধ ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করছেন বলে এলাকাব্যাপী অভিযোগ উঠেছে।  ইতিমধ্যে একই এলাকার বৈধ ডিস ব্যাবসায়ী কামরুজ্জামান কনক হরিনাকুন্ডু উপজেলা ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, হরিনাকুন্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ভেড়াখালি গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে কামরুজ্জামান কনক কে.কে. কেবল টিভি নেটওয়ার্ক নামে পে চ্যানেল ও ফ্রি চ্যানেল পরিচালনার জন্য সরকার কর্র্তৃক সকল শর্ত পালন করে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ এর অধিন অপরেটর লাইসেন্স নং-এফও ২২৮, রেজিঃ নং-১৩৯৯, তারিখ-৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ মোতাবেক ক্যাবল নেটওয়ার্ক আইনের অধিনে সম্পুর্ন বৈধ ভাবে সরকার বাহাদুরের অনুকুলে নিয়মিত করাদি পরিশোধ করে জোড়াদাহ ইউনিয়ন এলাকায় ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে।

অপরদিকে, একই গ্রামের গ্রামের মৃত.মসলেম উদ্দিইনরে ছেলে প্রভাবশালী মাসুদ রানা আইনকে অগ্রাহ্য করে দুই বছর যাবত নিজ বাড়িতে নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাইরেসি করে অবৈধ রমরমা ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করছেন বলে এলাকাজুড়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যা আইনত দন্ডনিয় অপরাধ। অন্যদিকে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির আওতায় পড়ে। মাসুদ রানার উক্ত অবৈধ ব্যাবসা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উচ্ছেদ করার জন্য হরিনাকুন্ডু উপজেলা ইউএনও বরাবর কামরুজ্জামান কনক একটি অভিযোগ পত্র চলতি বছর জুনের ৫ তারিখে দাখিল করেছেন। উপজেলা ইউএনও মহোদয় শুনানির দিন নির্ধারন করেন জুলাইয়ের ২তারিখে। উপজেলা থেকে উভয় পক্ষকে নোটিস না দেয়ার কারনে শুনানির দিন পিছিয়ে জুলাইয়ের ১৭ তারিখে নির্ধারন করা হয়।

ইউএনও মহোদয়ের বিশেষ ব্যাস্ততার কারনে ও মাসুদ রানার কতৃক সময় চাওয়ার কারণে ফের শুনানির দিন পিছিয়ে ১লা আগষ্টে করা হয়েছে। এদিকে, জোড়াদাহ ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তিবর্গ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মাসুদ রানা আইনকে অগ্রাহ্য করে প্রতিনিয়িত গভীর রাতে ২টি ডিভিডি ও একটি কম্পিউটার চ্যানেল চালু করে নিল ছবি প্রদর্শন করে। নিজস্ব ডিভিডি ও কম্পিউটার চ্যানেল চালু করা সরকারী বিধি মোতাবেক সম্পুর্ন অপরাধ। এ ব্যাপারে মাসুদ রানা উক্ত অভিযোগ স্বীকার করে জানান, বর্তমানে আমি নিজ বাড়িতে নিজস্ব কন্ট্রোলের মাধ্যমে পাইরেসি করে ডিস ব্যাবসা পরিচালনা করি। আমার ডিস ব্যাবসার কোন প্রকার কাগজাদি নাই। তবে খুব শিঘ্রই বিশেষ ব্যাক্তিদের মাধ্যমে সমস্ত কাগজাদি তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশে সবাইই নিজস্ব ডিভিডি ও কম্পিউটার চ্যানেল চালাই। তাই আমারও ডিভিডি ও কম্পিউটার চ্যানেল চলে, তবে আমি নিল ছবি চালাই না।