শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ Logo সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান: ভারতীয় মদসহ একজন গ্রেফতার Logo বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার Logo সাতক্ষীরায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo বই মাসের শ্রেষ্ঠ সারথি পুরস্কার পাচ্ছেন জয়ন্তী ভৌমিক Logo সহপাঠীদের সাথে পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু Logo রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সাইবার স্পেসে জুয়ার শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড Logo ইউপিইউ কাউন্সিলে বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ঘুষ গ্রহণকালে নৌপরিবহনের প্রধান প্রকৌশলী গ্রেপ্তার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:০৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ঘুষ গ্রহণকালে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার ৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণকালে ফখরুল ইসলামকে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পরপরই রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ার। ঢাকা বিভাগের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ধরতে ফাঁদ পদ্ধতি বেশ কার্যকর। এর আগে দুদক এ বিষয়ে সফলতা দেখিয়েছে। আজকের ঘটনায় দুর্নীতিবাজদের একটি মেসেজ দিতে চাই যে, কেউই ধরাছোঁয়ার বাইরে নন। জনগণকে বলব, এ বিষয়ে বেশি বেশি অভিযোগ করতে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের পক্ষে অথরাইজড অফিসার এ এন বদরুল আলম ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ২২টি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তরে জমা দেন। কিন্তু প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলাম প্রতিবারই ঘুষ দাবি করেন। প্রতিটি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য আকারভেদে ৫ লাখ টাকা থেকে ১৬ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এরকম অভিযোগসহ তার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদকের ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়ে জমা দেন বদরুল আলম।

দুদক সূত্র আরো জানায়, দুদকের পরামর্শে মঙ্গলবার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে ওই অথরাইজড অফিসার ৫ লাখ টাকা দিতে যান। এ সময় দুদক পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি ট্র্যাপ টিম ফখরুল ইসলামকে টাকাসহ হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং গ্রেপ্তার করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান: ভারতীয় মদ ও মালামাল জব্দ

ঘুষ গ্রহণকালে নৌপরিবহনের প্রধান প্রকৌশলী গ্রেপ্তার !

আপডেট সময় : ১১:৫১:০৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ঘুষ গ্রহণকালে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার ৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণকালে ফখরুল ইসলামকে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পরপরই রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ার। ঢাকা বিভাগের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ধরতে ফাঁদ পদ্ধতি বেশ কার্যকর। এর আগে দুদক এ বিষয়ে সফলতা দেখিয়েছে। আজকের ঘটনায় দুর্নীতিবাজদের একটি মেসেজ দিতে চাই যে, কেউই ধরাছোঁয়ার বাইরে নন। জনগণকে বলব, এ বিষয়ে বেশি বেশি অভিযোগ করতে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেঙ্গল মেরিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের পক্ষে অথরাইজড অফিসার এ এন বদরুল আলম ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ২২টি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তরে জমা দেন। কিন্তু প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলাম প্রতিবারই ঘুষ দাবি করেন। প্রতিটি জাহাজের নকশা অনুমোদনের জন্য আকারভেদে ৫ লাখ টাকা থেকে ১৬ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এরকম অভিযোগসহ তার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদকের ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়ে জমা দেন বদরুল আলম।

দুদক সূত্র আরো জানায়, দুদকের পরামর্শে মঙ্গলবার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে ওই অথরাইজড অফিসার ৫ লাখ টাকা দিতে যান। এ সময় দুদক পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি ট্র্যাপ টিম ফখরুল ইসলামকে টাকাসহ হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং গ্রেপ্তার করে।