বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল

ঝিনাইদহে রোগী দেখাবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের হানায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তাকে জেল ও জরিমানা প্রদাণ

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:৩১:২৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

প্রতিনিধি ঝিনাইদহঃ   ঝিনাইদহের জননী ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের নিয়মিত ডাক্তার মরিুজ্জামানের নামের পাশে একাধিক ডিগ্রী থাকায় রোগীরা জানতো ডাক্তার মহাশয় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। তিনশ টাকা ভিজিট ও সাথে বিভিন্ন টেষ্ট দিয়ে বিল করা হতো হাজার টাকার উপরে। খোদ শহরের উপর মাইকিং করে চলতে কথিত এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রচারনা। হতদরদ্রি রোগীরা মাত্র ৩০০ টাকার ভিজিটের জন্য ছুটে আসতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ মনিরুজ্জামানের কাছে। কিন্তু বিধি বাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন হাটখোলায় জননী ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে অবস্থিত ডাক্তারের চেম্বারে আকস্মাৎ ঢুকে পড়েন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির। সাথে ছিলেন ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: রাশেদা সুলতানা, মেডিকেল অফিসার ডা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ ও ঔষধ তত্বাবধায়ক নাজমুল হাসান। তারা কথিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনিরুজ্জামানের কাছে বৈধ কাগজপত্র চান। এ সময় তিনি কিছুই দেখাতে পারেননি।

ভ্রম্যমান আদালতের কাছে ভুয়া ডাক্তার মরিুজ্জামান স্বীকার করেছেন ডাক্তারী করার জন্য তার কোন ডিগ্রী বা যোগ্যতা নেই। ভুয়া এমবিবিএস, পোষ্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেনিং ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে তিনি এতোদিন রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে ভুয়া চিকিৎসক মনিরুজ্জামানকে ৩ মাসের কারাদন্ড ও ১৫ হাজার এবং ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মালিককে সুধীর বিশ্বাসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভুয়া চিকিৎসক মনিরুজ্জামান যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। তাকে বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: রাশেদা সুলতানা জানান, শহরের উপর সাইনবোর্ড ও ক্লিনিক খুলে এমন প্রতারণা দেখে আমি হতবাক হয়েছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ক্লিনিক মালিক সুধীর বিশ্বাস এ সব অপকর্মের মুল নায়ক। তার আরো বেশি শাস্তি হওয়া দরকার ছিল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ঝিনাইদহে রোগী দেখাবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের হানায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তাকে জেল ও জরিমানা প্রদাণ

আপডেট সময় : ০৫:৩১:২৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০১৭

প্রতিনিধি ঝিনাইদহঃ   ঝিনাইদহের জননী ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের নিয়মিত ডাক্তার মরিুজ্জামানের নামের পাশে একাধিক ডিগ্রী থাকায় রোগীরা জানতো ডাক্তার মহাশয় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। তিনশ টাকা ভিজিট ও সাথে বিভিন্ন টেষ্ট দিয়ে বিল করা হতো হাজার টাকার উপরে। খোদ শহরের উপর মাইকিং করে চলতে কথিত এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রচারনা। হতদরদ্রি রোগীরা মাত্র ৩০০ টাকার ভিজিটের জন্য ছুটে আসতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ মনিরুজ্জামানের কাছে। কিন্তু বিধি বাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন হাটখোলায় জননী ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে অবস্থিত ডাক্তারের চেম্বারে আকস্মাৎ ঢুকে পড়েন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির। সাথে ছিলেন ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: রাশেদা সুলতানা, মেডিকেল অফিসার ডা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ ও ঔষধ তত্বাবধায়ক নাজমুল হাসান। তারা কথিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনিরুজ্জামানের কাছে বৈধ কাগজপত্র চান। এ সময় তিনি কিছুই দেখাতে পারেননি।

ভ্রম্যমান আদালতের কাছে ভুয়া ডাক্তার মরিুজ্জামান স্বীকার করেছেন ডাক্তারী করার জন্য তার কোন ডিগ্রী বা যোগ্যতা নেই। ভুয়া এমবিবিএস, পোষ্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেনিং ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে তিনি এতোদিন রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে ভুয়া চিকিৎসক মনিরুজ্জামানকে ৩ মাসের কারাদন্ড ও ১৫ হাজার এবং ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মালিককে সুধীর বিশ্বাসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভুয়া চিকিৎসক মনিরুজ্জামান যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। তাকে বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: রাশেদা সুলতানা জানান, শহরের উপর সাইনবোর্ড ও ক্লিনিক খুলে এমন প্রতারণা দেখে আমি হতবাক হয়েছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ক্লিনিক মালিক সুধীর বিশ্বাস এ সব অপকর্মের মুল নায়ক। তার আরো বেশি শাস্তি হওয়া দরকার ছিল।