শিরোনাম :
Logo জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা Logo দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদকের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ! Logo গল্লামারী মৎস্য খামার হস্তান্তরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খুবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি Logo ইবিতে হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি Logo খুবির আবাসন সংকট ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির সভাপতি নিতু, সাধারণ সম্পাদক রিদয় Logo ডাঃ আব্দুল হাই ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ৯৩ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি সনদ ও নগদ সহায়তা প্রদান Logo সিরাজগঞ্জে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল! প্রশাসনের তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ Logo আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জবির ফিন্যান্স ১৭তম ব্যাচের সহপাঠীদের বিবৃতি

হাতীবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:১৬:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:  ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদী গুলোর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকা গুলোতে দুই দিন ধরে বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তার পানিতে জেলার প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। পানিবন্দি লোকজনের মাঝে ত্রাণ, বিশুদ্ধ পানি ও ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.৫৪ সেন্টিমিটার যা স্বাভাবিকের (৫২.৪০ সেন্টিমিটার) চেয়ে ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তা পাড়ের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় বন্যায় সব চেয়ে বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। ভারত গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। প্রচন্ড গতিতে ময়লা ও ঘোলা পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। পানি গতি নিয়ন্ত্রন করতে তিস্তা ব্যারাজের বেশি ভাগ গেট খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে তিস্তার পানিতে হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, টংভাঙ্গা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন, ৯ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার একর আমন ধানের বীজ তলাসহ অনেক ফসলী ক্ষেত তিস্তার পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
> পানি উন্নয়ন বোর্ড দোয়ানী’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারত থেকে পানি আসায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় দুই দিন ধরে বন্যা দেখা দিয়েছে। আমরা প্রতি মুহুর্ত্বে বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করছি। এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী, সিন্দুর্না ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের বন্যা কবলিত লোকজনের মাঝে ২৪ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ সময় হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, ইউএনও সৈয়দ এনামুল কবির, উপজেলা প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার, অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান, পিআইও ফেরদৌস আহম্মেদ ও সংশ্লিষ্ট ইউনয়ন চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মোঃ আলা উদ্দিন খাঁন জানান, তিস্তা নদীসহ ছোট নদী গুলোর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা তীরবর্তী এলাকা গুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫০ মেঃ টন চাল ত্রাণ হিসাবে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম)’র সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন জানান, পানিবন্দি পারিবার গুলোর সহযোগিতার জন্য ত্রাণ মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। প্রতিটি পানিবন্দি পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ত্রান বিতরন করা হচ্ছে ৷

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা

হাতীবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

আপডেট সময় : ০৫:১৬:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:  ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদী গুলোর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকা গুলোতে দুই দিন ধরে বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তার পানিতে জেলার প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। পানিবন্দি লোকজনের মাঝে ত্রাণ, বিশুদ্ধ পানি ও ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.৫৪ সেন্টিমিটার যা স্বাভাবিকের (৫২.৪০ সেন্টিমিটার) চেয়ে ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তা পাড়ের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় বন্যায় সব চেয়ে বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। ভারত গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। প্রচন্ড গতিতে ময়লা ও ঘোলা পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। পানি গতি নিয়ন্ত্রন করতে তিস্তা ব্যারাজের বেশি ভাগ গেট খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে তিস্তার পানিতে হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, টংভাঙ্গা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন, ৯ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার একর আমন ধানের বীজ তলাসহ অনেক ফসলী ক্ষেত তিস্তার পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
> পানি উন্নয়ন বোর্ড দোয়ানী’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারত থেকে পানি আসায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় দুই দিন ধরে বন্যা দেখা দিয়েছে। আমরা প্রতি মুহুর্ত্বে বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করছি। এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী, সিন্দুর্না ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের বন্যা কবলিত লোকজনের মাঝে ২৪ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ সময় হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, ইউএনও সৈয়দ এনামুল কবির, উপজেলা প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার, অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান, পিআইও ফেরদৌস আহম্মেদ ও সংশ্লিষ্ট ইউনয়ন চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মোঃ আলা উদ্দিন খাঁন জানান, তিস্তা নদীসহ ছোট নদী গুলোর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা তীরবর্তী এলাকা গুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫০ মেঃ টন চাল ত্রাণ হিসাবে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম)’র সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন জানান, পানিবন্দি পারিবার গুলোর সহযোগিতার জন্য ত্রাণ মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। প্রতিটি পানিবন্দি পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ত্রান বিতরন করা হচ্ছে ৷