শিরোনাম :
Logo ৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা Logo পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী Logo ইবি ক্যাম্পাসে তালিকাভুক্ত নয় এমন  সংগঠনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা Logo সুন্দরবনের বিনা পাশে প্রবেশ করায় তিন জেলা কটক  Logo খুবি রিসার্চ সোসাইটির নতুন নেতৃত্বে বকসী-গৌর Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo খানপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের উদ্যোগে আট দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চীন-ভারত অস্ত্রে শস্ত্রে কে এগিয়ে ?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৮ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভারত সেনা না সরালে চীন সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বার বার এমনই বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কখনও চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কখনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, কখনও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে হুমকি আসছে নানা পথ ধরে।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে অচলাবস্থা। সঙ্কট ক্রমশ জটিল হচ্ছে। ১৯৬২ এর মতো আরও একটা সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে, মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
চীনের মুখপাত্ররা ভারতকে ১৯৬২ র যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দিতেও চেয়েছেন। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলির জবাব, ১৯৬২-র ভারতের সঙ্গে ২০১৭-র ভারতকে গুলিয়ে ফেললে চীন ভুল করবে।

যদি শেষ পর্যন্ত সত্যিই শুরু হয় চিন-ভারত যুদ্ধ, তা হলে ফল কী হতে পারে? সৈন্যসংখ্যা আর অস্ত্রশস্ত্রের বহরই যে সব সময় যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারণ করে, তা নয়। রণকৌশল, ভৌগোলিক অবস্থান, পরিবেশগত বিষয়, আন্তর্জাতিক সমীকরণ-এমন অনেক কিছুই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু পর্যাপ্ত সামরিক সক্ষমতাও খুব জরুরি। এই মুহূর্তে  চিনা বাহিনীর মুখোমুখি হতে কতটা প্রস্তুত ভারতীয় সেনা? দেখে নিন এক ঝলকে:

সেনাবাহিনীর আকারে ভারতের চেয়ে চীন কিছুটা এগিয়ে ঠিকই। কিন্তু চীনের ভৌগোলিক সীমা ভারতের চেয়ে অনেক বড়, তাই স্বাভাবিক ভাবেই বড় বাহিনী প্রয়োজন তাদের। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স বা জিএফপি সূচিতে কিন্তু চীন এবং ভারত পাশাপাশিই রয়েছে। কোনও দেশের একক সামরিক সক্ষমতার নিরিখে ওই সূচিতে আমেরিকা রয়েছে প্রথম স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে রাশিয়া। তিনে চীন। আর চারেই রয়েছে ভারত।

চীনের চেয়ে ভারতের ট্যাঙ্কের সংখ্যা কিছু কম ঠিকই। কিন্তু আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকল বা সাঁজোয়া গাড়ির সংখ্যায় ভারত অনেকটা এগিয়ে।

স্থলসীমান্তে যুদ্ধের জন্য গোলাবর্ষণের সক্ষমতা অত্যন্ত জরুরি। দু’দেশের হাতেই বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে। কোনওটি ভারতের হাতে বেশি, কোনওটি চিনের হাতে। কিন্তু মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের সংখ্যায় চীন ভারতের চেয়ে বেশ এগিয়ে।

এয়ারক্র্যাফ্টের সংখ্যায় চীন ভারতের চেয়ে খুব বেশি এগিয়ে নয়। ভারতের হাতে যে সংখ্যক যুদ্ধবিমান রয়েছে, নিজেদের আকাশসীমার সুরক্ষায় তা যথেষ্ট বলেই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। একসঙ্গে একাধিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যদি লড়তে না হয়, তা হলে ভারতীয় বিমান বহর চীনের সঙ্গে বুঝতে সক্ষম।

ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা চীনের হাতে ভারতের চেয়ে অনেকটাই বেশি। তবে যে পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের হাতে রয়েছে, কোনও একটি যুদ্ধে তত সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার দরকার পড়ে না বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

সূত্র : আনন্দবাজার

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা

চীন-ভারত অস্ত্রে শস্ত্রে কে এগিয়ে ?

আপডেট সময় : ১১:৩৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৮ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভারত সেনা না সরালে চীন সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বার বার এমনই বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কখনও চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কখনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, কখনও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে হুমকি আসছে নানা পথ ধরে।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে অচলাবস্থা। সঙ্কট ক্রমশ জটিল হচ্ছে। ১৯৬২ এর মতো আরও একটা সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে, মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
চীনের মুখপাত্ররা ভারতকে ১৯৬২ র যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দিতেও চেয়েছেন। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলির জবাব, ১৯৬২-র ভারতের সঙ্গে ২০১৭-র ভারতকে গুলিয়ে ফেললে চীন ভুল করবে।

যদি শেষ পর্যন্ত সত্যিই শুরু হয় চিন-ভারত যুদ্ধ, তা হলে ফল কী হতে পারে? সৈন্যসংখ্যা আর অস্ত্রশস্ত্রের বহরই যে সব সময় যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারণ করে, তা নয়। রণকৌশল, ভৌগোলিক অবস্থান, পরিবেশগত বিষয়, আন্তর্জাতিক সমীকরণ-এমন অনেক কিছুই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু পর্যাপ্ত সামরিক সক্ষমতাও খুব জরুরি। এই মুহূর্তে  চিনা বাহিনীর মুখোমুখি হতে কতটা প্রস্তুত ভারতীয় সেনা? দেখে নিন এক ঝলকে:

সেনাবাহিনীর আকারে ভারতের চেয়ে চীন কিছুটা এগিয়ে ঠিকই। কিন্তু চীনের ভৌগোলিক সীমা ভারতের চেয়ে অনেক বড়, তাই স্বাভাবিক ভাবেই বড় বাহিনী প্রয়োজন তাদের। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স বা জিএফপি সূচিতে কিন্তু চীন এবং ভারত পাশাপাশিই রয়েছে। কোনও দেশের একক সামরিক সক্ষমতার নিরিখে ওই সূচিতে আমেরিকা রয়েছে প্রথম স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে রাশিয়া। তিনে চীন। আর চারেই রয়েছে ভারত।

চীনের চেয়ে ভারতের ট্যাঙ্কের সংখ্যা কিছু কম ঠিকই। কিন্তু আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকল বা সাঁজোয়া গাড়ির সংখ্যায় ভারত অনেকটা এগিয়ে।

স্থলসীমান্তে যুদ্ধের জন্য গোলাবর্ষণের সক্ষমতা অত্যন্ত জরুরি। দু’দেশের হাতেই বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে। কোনওটি ভারতের হাতে বেশি, কোনওটি চিনের হাতে। কিন্তু মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের সংখ্যায় চীন ভারতের চেয়ে বেশ এগিয়ে।

এয়ারক্র্যাফ্টের সংখ্যায় চীন ভারতের চেয়ে খুব বেশি এগিয়ে নয়। ভারতের হাতে যে সংখ্যক যুদ্ধবিমান রয়েছে, নিজেদের আকাশসীমার সুরক্ষায় তা যথেষ্ট বলেই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। একসঙ্গে একাধিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যদি লড়তে না হয়, তা হলে ভারতীয় বিমান বহর চীনের সঙ্গে বুঝতে সক্ষম।

ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা চীনের হাতে ভারতের চেয়ে অনেকটাই বেশি। তবে যে পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের হাতে রয়েছে, কোনও একটি যুদ্ধে তত সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার দরকার পড়ে না বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

সূত্র : আনন্দবাজার