শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা,কয়রা যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য Logo উপাচার্যের আশ্বাসের এক বছরেও হয়নি জুলাই কর্নারের বাস্তবায়ন Logo আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চাঁদপুর জেলা পুলিশের ভূমিকাঃ আইনশৃঙ্খলায় ইতিবাচক পরিবর্তন Logo ইবিতে শিক্ষক সংকট চরমে, দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ  Logo সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহাসিন আলম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo মায়ের হাতেই সন্তানের সুশিক্ষার ভিত — ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান  Logo কয়রায় পানি প্রাপ্তি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত Logo সোনালী সুদিন সমাজকল‍্যান সংস্থার উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে সাইকেল ও নগদ অর্থ বিতরণ

জঙ্গীদের বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল : মনিরুল

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:৫৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ ও আলামতের ভিত্তিতে দেখা গেছে আশকোনায় জঙ্গিরা নব্য জেএমবির সদস্য এবং তারা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা ১৯টি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করেছি। জঙ্গি আস্তানায় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং পিস্তল, ম্যাগজিনসহ তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জঙ্গিরা তাদের কাছে থাকা ১২ লাখ টাকা, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন নথিপত্র ধ্বংস করে দিয়েছে।’

আশকোনায় জঙ্গি আস্তানায় প্রাপ্ত বিস্ফোরক আজ বিকেলে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল টিম, সিআইডি ক্রাইম স্ক্যান টিম সকাল ১১টায় আশকোনার সূর্য্য ভিলার জঙ্গি আস্তানায় প্রবেশ করে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকালের অভিযানে নিহত জঙ্গি হাবীব কাদরী ওরফে আরিফ কাদরীর লাশ আজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কলেজ মর্গে পাঠানো হবে।

শনিবার ভোররাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ, সোয়াট টিম ও পুলিশের বিষেশায়িত ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা ঢাকার দক্ষিণখান থানাধীন পূর্ব আশকোনার ৫০ নম্বর সূর্য্য ভিলার ওই জঙ্গি আস্তানাটি ঘিরে রাখে।

পরে দুপুর ১২টার দিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, সোয়াট ও ডিএমপি বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা চূড়ান্ত অভিযান শুরু করে। ওই সময় ভবনের ভেতরে থাকা একজন মহিলা জঙ্গি সদস্য তার কোমরে থাকা সুইসাইডাল ভেল্ট -এর বিস্ফোরণ ঘটালে সে মারা যায় । এ সময় পাশে থাকা সাবিনা (৪) নামে এক শিশু আহত হয়। এছাড়া গ্রেনেড বিস্ফোরণে অপর এক কিশোর নিহত হয়।

এর আগে সকালে অভিযান শুরু হলে দুই শিশু ও দুই নারী পুলিশের আহবানে সাড়া দিয়ে আত্মসর্মপণ করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ

জঙ্গীদের বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল : মনিরুল

আপডেট সময় : ১২:০৭:৫৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ ও আলামতের ভিত্তিতে দেখা গেছে আশকোনায় জঙ্গিরা নব্য জেএমবির সদস্য এবং তারা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা ১৯টি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করেছি। জঙ্গি আস্তানায় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং পিস্তল, ম্যাগজিনসহ তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জঙ্গিরা তাদের কাছে থাকা ১২ লাখ টাকা, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন নথিপত্র ধ্বংস করে দিয়েছে।’

আশকোনায় জঙ্গি আস্তানায় প্রাপ্ত বিস্ফোরক আজ বিকেলে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল টিম, সিআইডি ক্রাইম স্ক্যান টিম সকাল ১১টায় আশকোনার সূর্য্য ভিলার জঙ্গি আস্তানায় প্রবেশ করে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকালের অভিযানে নিহত জঙ্গি হাবীব কাদরী ওরফে আরিফ কাদরীর লাশ আজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কলেজ মর্গে পাঠানো হবে।

শনিবার ভোররাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ, সোয়াট টিম ও পুলিশের বিষেশায়িত ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা ঢাকার দক্ষিণখান থানাধীন পূর্ব আশকোনার ৫০ নম্বর সূর্য্য ভিলার ওই জঙ্গি আস্তানাটি ঘিরে রাখে।

পরে দুপুর ১২টার দিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, সোয়াট ও ডিএমপি বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা চূড়ান্ত অভিযান শুরু করে। ওই সময় ভবনের ভেতরে থাকা একজন মহিলা জঙ্গি সদস্য তার কোমরে থাকা সুইসাইডাল ভেল্ট -এর বিস্ফোরণ ঘটালে সে মারা যায় । এ সময় পাশে থাকা সাবিনা (৪) নামে এক শিশু আহত হয়। এছাড়া গ্রেনেড বিস্ফোরণে অপর এক কিশোর নিহত হয়।

এর আগে সকালে অভিযান শুরু হলে দুই শিশু ও দুই নারী পুলিশের আহবানে সাড়া দিয়ে আত্মসর্মপণ করে।