বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান Logo নোবিপ্রবিতে সীরাত মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলো রেজুয়ারা চকরিয়ায় রেললাইন পার হবার সময় ট্রেনের ইঞ্জিন বগির ধাক্কার বৃদ্ধা নারী নিহত Logo ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে : ইসি সানাউল্লাহ Logo চুয়াডাঙ্গায় কৃষকদের সাথে চলছে এক প্রকার প্রতারণা। আসল কোম্পানির মোড়কের মধ্যে নকল ভুট্টা বীজ ঢুকিয়ে বিক্রি

নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা গাইবান্ধার ডিসির!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:০৬:৪৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রতিবেদনে ‘বাঙালি দুস্কৃতকারী’ শব্দ ব্যবহার করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন গাইবান্ধার ডিসি  মোহম্মদ আবদুস সামাদ।

সোমবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

পরে দুপুরে আদালতে জিজ্ঞাসার জবাবে ডিসি বলেন, প্রতিবেদনে শব্দ চয়নে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি। এজন্য আমার ভুল হয়েছে। আমি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

তিনি বলেন, গত ১৬ নভেম্বর পুলিশ সুপারের কাছ থেকে হামলার ঘটনার বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পাই। ঐ বর্ণনায় ‘বাঙালি দুষ্কৃতকারী’ শব্দটি ছিল। যেহেতু বিষয়টি তদন্তের জন্য নিয়েছি সেহেতু  ঐ শব্দটি হুবহু রাখা হয়েছে। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, আপনি শিক্ষিত লোক। সিভিল সার্ভিসের সদস্য। এ ধরনের শব্দ আর কখনো ব্যবহার করবেন না। এটি খুবই খারাপ শব্দ যা আপনি প্রতিবেদনে ব্যবহার করেছেন।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের ডিভিশণ বেঞ্চ শুনানি শেষে তার ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করে গাইবান্ধার ডিসিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়।

আদালতের আদেশে গত ৩০ নভেম্বর গাইবান্ধার ডিসি, এসপি ও রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ তিনটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের ডিভিশণ বেঞ্চ শুনানি শেষে তার ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করে গাইবান্ধার ডিসিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়।

আদালতের আদেশে গত ৩০ নভেম্বর গাইবান্ধার ডিসি, এসপি ও রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ তিনটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। গতকাল এসব প্রতিবেদনের ওপর শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিলো। শুনানির এক পর্যায়ে ডিসি আব্দুস সামাদের দেয়া প্রতিবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। ঐ প্রতিবেদনে ডিসি বলেছেন, গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর সুগার মিলের সাহেবগঞ্জ খামারস্থ ওই সুগার মিলের ইক্ষু মাড়াই কর্মসূচি চলাকালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্য/বাঙালি দুষ্কৃতকারীরা আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যসহ মিল কর্তৃপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। সৃষ্ট এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সদস্য ও বাঙ্গালী দুস্কৃতিকারীদের ছত্রভঙ্গ করা, সরকারি অস্ত্র ও আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যদের জানমাল রক্ষায় শর্ট গানসহ চায়না রাইফেল হতে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে-মর্মে পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখা গাইবান্ধা জানিয়েছেন। উক্ত গুলি বর্ষণ যুক্তিযুক্ত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নির্বাহী তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ করা হয়েছে।’

প্রতিবেদনে ‘বাঙালি দুষ্কৃতকারী’ শব্দটি দেখতে পেয়ে হাইকোর্ট ডিসিকে তলব করে। এছাড়া সাঁওতালদের পক্ষে করা প্রথম মামলার বাদি স্বপন মুরমুকেও আদালতে হাজির করতে এসপি ও ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা গাইবান্ধার ডিসির!

আপডেট সময় : ১১:০৬:৪৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

প্রতিবেদনে ‘বাঙালি দুস্কৃতকারী’ শব্দ ব্যবহার করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন গাইবান্ধার ডিসি  মোহম্মদ আবদুস সামাদ।

সোমবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

পরে দুপুরে আদালতে জিজ্ঞাসার জবাবে ডিসি বলেন, প্রতিবেদনে শব্দ চয়নে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি। এজন্য আমার ভুল হয়েছে। আমি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

তিনি বলেন, গত ১৬ নভেম্বর পুলিশ সুপারের কাছ থেকে হামলার ঘটনার বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পাই। ঐ বর্ণনায় ‘বাঙালি দুষ্কৃতকারী’ শব্দটি ছিল। যেহেতু বিষয়টি তদন্তের জন্য নিয়েছি সেহেতু  ঐ শব্দটি হুবহু রাখা হয়েছে। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, আপনি শিক্ষিত লোক। সিভিল সার্ভিসের সদস্য। এ ধরনের শব্দ আর কখনো ব্যবহার করবেন না। এটি খুবই খারাপ শব্দ যা আপনি প্রতিবেদনে ব্যবহার করেছেন।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের ডিভিশণ বেঞ্চ শুনানি শেষে তার ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করে গাইবান্ধার ডিসিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়।

আদালতের আদেশে গত ৩০ নভেম্বর গাইবান্ধার ডিসি, এসপি ও রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ তিনটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের ডিভিশণ বেঞ্চ শুনানি শেষে তার ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করে গাইবান্ধার ডিসিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়।

আদালতের আদেশে গত ৩০ নভেম্বর গাইবান্ধার ডিসি, এসপি ও রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ তিনটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। গতকাল এসব প্রতিবেদনের ওপর শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিলো। শুনানির এক পর্যায়ে ডিসি আব্দুস সামাদের দেয়া প্রতিবেদনের বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। ঐ প্রতিবেদনে ডিসি বলেছেন, গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর সুগার মিলের সাহেবগঞ্জ খামারস্থ ওই সুগার মিলের ইক্ষু মাড়াই কর্মসূচি চলাকালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্য/বাঙালি দুষ্কৃতকারীরা আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যসহ মিল কর্তৃপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। সৃষ্ট এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সদস্য ও বাঙ্গালী দুস্কৃতিকারীদের ছত্রভঙ্গ করা, সরকারি অস্ত্র ও আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যদের জানমাল রক্ষায় শর্ট গানসহ চায়না রাইফেল হতে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে-মর্মে পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখা গাইবান্ধা জানিয়েছেন। উক্ত গুলি বর্ষণ যুক্তিযুক্ত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নির্বাহী তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ করা হয়েছে।’

প্রতিবেদনে ‘বাঙালি দুষ্কৃতকারী’ শব্দটি দেখতে পেয়ে হাইকোর্ট ডিসিকে তলব করে। এছাড়া সাঁওতালদের পক্ষে করা প্রথম মামলার বাদি স্বপন মুরমুকেও আদালতে হাজির করতে এসপি ও ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।