শিরোনাম :
Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

রমজানের আগেই খেজুরের দাম চড়া !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২২ মে ২০১৭
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পবিত্র রমজান শুরুর আগেই রাজধানীর বাদামতলীতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের খেজুর।
ব্যবসায়ীদের দাবি, রমজানে দেশের বাজারে খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায়। সারা দেশে বছরে যে পরিমাণ খেজুর বিক্রি হয় তার অধিকাংশ (৯০ শতাংশ) রমজান ও আগের দুই মাসে বিক্রি হয়।

চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত খেজুর থাকলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানের দুই মাস আগেই চড়া দামে বিক্রি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। দুই মাস আগে ইরানের মরিয়ম খেজুর গ্রেড-২  পাঁচ কেজির কার্টন ২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হলেও শুক্রবার ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বৃহত্তম পাইকারি বাজার বাদামতলীতে পাইকারি-খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে তারা এসব কথা জানান।

বাদামতলীতে বিভিন্ন ধরনের খেজুরের মধ্যে ইরানের মরিয়ম, দুবাইয়ের সায়ের, ইরাকের জাহিদি, আরব আমিরাতের বোমান, বারহি, বরই ও নাগাল বেশি বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মানভেদে গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাদামতলীতে খেজুর কিনতে আসা মুন্সিগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. রায়হানের সঙ্গে কথা হয়।
তিনি বলেন, রোজার এক সপ্তাহ বাকি। খেজুরসহ বিভিন্ন ফল ক্রয়ের জন্য এসেছি। গত দুই-তিন মাস আগে মরিয়ম খেজুর পাঁচ কেজির কার্টন ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মরিয়ম গ্রেড-১ প্রতিকেজি ১২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রতি কেজি নাগাল খেজুর এক মাস আগে ২০০ টাকা ধরে পাইকারি বিক্রি হলেও আজ ৩০০ টাকায় ক্রয় করেছি।

কথা হয় কেরানীগঞ্জের ফল ব্যবসায়ী সুলতান হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, মাসখানেক আগে প্রতি কেজি বরই খেজুরের পাইকারি ১৪৮-১৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ২২০-২৪০ টাকায় (মানভেদে) বিক্রি হচ্ছে। তিউনিশিয়ার পাঁচ কেজির প্যাকেট খেজুর আগে ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলে আজ ৬০০ টাকা দরে ক্রয় করেছি। আগে ল্যাপাস ১২০ টাকা কেজি কিনলেও এখন ২২০ টাকা করে কিনেছি।

বাদামতলীর পাইকারি খেজুর ব্যবসায়ী মিশু ট্রেডার্সের মালিক সুকুমার বলেন, রমজান ছাড়া অন্য সময় খুব কম খেজুর বিক্রি করা হয়। রমজানের দুই মাস আগ থেকে খেজুর বেশি বিক্রি হয়। যারা খেজুর আমদানি করেন তারা রমজান মাসকে টার্গেট করে বাড়তি দামে বিক্রি করেন। আমরা যেভাবে কিনি সেভাবে বিক্রি করি।

বাদামতলীর খেজুর আমদানিকারক সাথী ফ্রেশ ফ্রুটস লিমিটেডের ম্যানেজার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, রমজানে সারা দেশে খেজুরের চাহিদা প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর আমদানি হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন। খেজুরের আমদানি অর্ডার দেওয়া হয় রোজা শুরুর দুই-তিন মাস আগে।

রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানি শুরু হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকেই খেজুর আমদানি করা হয়েছে। তবে জানুয়ারির তুলনায় এপ্রিল-মে মাসে এখন দাম বেশি। প্রতি কার্টনে ৩০০-৫০০ টাকার মতো দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।

সূত্র: রাইজিংবিডি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী

রমজানের আগেই খেজুরের দাম চড়া !

আপডেট সময় : ০১:১৬:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২২ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পবিত্র রমজান শুরুর আগেই রাজধানীর বাদামতলীতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের খেজুর।
ব্যবসায়ীদের দাবি, রমজানে দেশের বাজারে খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায়। সারা দেশে বছরে যে পরিমাণ খেজুর বিক্রি হয় তার অধিকাংশ (৯০ শতাংশ) রমজান ও আগের দুই মাসে বিক্রি হয়।

চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত খেজুর থাকলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানের দুই মাস আগেই চড়া দামে বিক্রি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। দুই মাস আগে ইরানের মরিয়ম খেজুর গ্রেড-২  পাঁচ কেজির কার্টন ২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হলেও শুক্রবার ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বৃহত্তম পাইকারি বাজার বাদামতলীতে পাইকারি-খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে তারা এসব কথা জানান।

বাদামতলীতে বিভিন্ন ধরনের খেজুরের মধ্যে ইরানের মরিয়ম, দুবাইয়ের সায়ের, ইরাকের জাহিদি, আরব আমিরাতের বোমান, বারহি, বরই ও নাগাল বেশি বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মানভেদে গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাদামতলীতে খেজুর কিনতে আসা মুন্সিগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. রায়হানের সঙ্গে কথা হয়।
তিনি বলেন, রোজার এক সপ্তাহ বাকি। খেজুরসহ বিভিন্ন ফল ক্রয়ের জন্য এসেছি। গত দুই-তিন মাস আগে মরিয়ম খেজুর পাঁচ কেজির কার্টন ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মরিয়ম গ্রেড-১ প্রতিকেজি ১২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রতি কেজি নাগাল খেজুর এক মাস আগে ২০০ টাকা ধরে পাইকারি বিক্রি হলেও আজ ৩০০ টাকায় ক্রয় করেছি।

কথা হয় কেরানীগঞ্জের ফল ব্যবসায়ী সুলতান হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, মাসখানেক আগে প্রতি কেজি বরই খেজুরের পাইকারি ১৪৮-১৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ২২০-২৪০ টাকায় (মানভেদে) বিক্রি হচ্ছে। তিউনিশিয়ার পাঁচ কেজির প্যাকেট খেজুর আগে ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলে আজ ৬০০ টাকা দরে ক্রয় করেছি। আগে ল্যাপাস ১২০ টাকা কেজি কিনলেও এখন ২২০ টাকা করে কিনেছি।

বাদামতলীর পাইকারি খেজুর ব্যবসায়ী মিশু ট্রেডার্সের মালিক সুকুমার বলেন, রমজান ছাড়া অন্য সময় খুব কম খেজুর বিক্রি করা হয়। রমজানের দুই মাস আগ থেকে খেজুর বেশি বিক্রি হয়। যারা খেজুর আমদানি করেন তারা রমজান মাসকে টার্গেট করে বাড়তি দামে বিক্রি করেন। আমরা যেভাবে কিনি সেভাবে বিক্রি করি।

বাদামতলীর খেজুর আমদানিকারক সাথী ফ্রেশ ফ্রুটস লিমিটেডের ম্যানেজার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, রমজানে সারা দেশে খেজুরের চাহিদা প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর আমদানি হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন। খেজুরের আমদানি অর্ডার দেওয়া হয় রোজা শুরুর দুই-তিন মাস আগে।

রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানি শুরু হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকেই খেজুর আমদানি করা হয়েছে। তবে জানুয়ারির তুলনায় এপ্রিল-মে মাসে এখন দাম বেশি। প্রতি কার্টনে ৩০০-৫০০ টাকার মতো দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।

সূত্র: রাইজিংবিডি