স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবী সেই খালেদুর রহমানের ভর্তি ও পড়ালেখার নিশ্চয়তা পেয়েছে পরিবারটি। সমাজের দানশীল ও মহানুভবতায় পরিপুর্ন মানুষগুলো পত্রপত্রিকা ও ফেসবুকে খবর পড়ে খালেদুরকে ভর্তি ও পড়ালেখার খরচ যোগাচ্ছেন। শনিবার ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু তার দপ্তরে ডেকে নিয়ে খালেদুর রহমানের সাথে কথা বলেন। মেয়র এ সময় তার বাবা খাইরুল ইসলামকে জানান, পড়ালেখার জন্য ছেলের যখন যা প্রয়োজন দেওয়া হবে।
মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু এর আগে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ার সময় আর্থিক সহায়তা করেছিলেন খালেদুরকে। ঝিনাইদহ সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়নও খালেদুরের বাই, খাতা কলম ও পোশাক কিনে দিয়েছিলেন। বাবা খাইরুল ইসলামকে জানান,দেশ বিদেশের অনেক দানশীল মানুষ খালেদুর রহমানের বাবাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। কেও বা দিয়েছেন প্রতিশ্রুতি। ইটালি প্রবাসি সাংবাদিক কন্যা আইরিন পারভিন, নাজমুস সাকিব তথি, ফয়াসাল আশরাফ ও ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম প্রেসক্লাবে এসে ছেলেটির কলেজে ভর্তির যাবতীয় খরচ দেবার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।
কাতার প্রবাসি ঝিনাইদহের এক ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা দিবেন বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে ফয়াসাল আশরাফ টাকা পাঠিয়েও দিয়েছেন। পলাশ মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। সাইদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিপড়ালেখার মাসিক কত টাকা লাগবে জানিয়েছেন। এ রকম দানশীল ভাল মানুষদের কল্যানে মেধাবী মেধাবী খালেদুরের আর পড়ালেখার চিন্তা করতে হবে না বলে তার বাবা খাইরুল ইসলাম জানান। তিনি বলেন, উনিশ বছর চাকরী করে সরকারী বেতন পাননি।
পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেনীতে বৃত্তি লাভ করে ছেলে খালেদুর রহমানের যখন প্রবল ইচ্ছা জাগে ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয়ে পড়তে, তখন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লক্ষিপুর গ্রাম ছেড়ে ঝিনাইদহে আসেন নন এমপিও সহকারী শিক্ষক খাইরুল। তারা এখন ঝিনাইদহ শহরের বনানীপাড়ার লালন শাহ সড়কের একটি ভাড়া বাসায় থাকছেন।