নিউজ ডেস্ক:
১৯৯৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ‘পিংক স্টার’ নামে এই হীরাখণ্ড পেয়েছিল ডি বিয়ারস, যারা মূলত হীরা নিয়েই কাজ করে।
খনি থেকে পাওয়ার সময় পিংক স্টার-এর ওজন ছিল ১৩২.৫ ক্যারেট। তার রঙের কারণে, মার্কিন দেশের জেমোলজি ইনস্টিটিউট, এটিকে ‘ফ্যান্সি ভিভিড পিংক’ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত করে। এখন পর্যন্ত পাওয়া ‘ফ্যান্সি ভিভিড পিংক’ গ্রুপের এই হীরাটিই সবচেয়ে বড় আকারের। যে কারণে, প্রায় ২০ মাস সময় নিয়ে কাজ করা হয়েছে এটিকে কাটার জন্য।
গত ৩ এপ্রিল, হংকং-এর এক নিলামে পিংক স্টার বিক্রি হয়ে গেল ৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ভারতীয় মূল্যে অঙ্কটি ৪৬৪ কোটি ১৫ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। বিক্রির সময় তার ওজন ছিল ৫৯.৬০ ক্যারেট।
সংবাদসংস্থা এএফপি-র খবর অনুযায়ী, এমন অভাবনীয় দামে কোনও ‘জেমস্টোন’ এই প্রথম অকশান হলো। এর আগে, ২০১৩ সালের এক অকশানে পিংক স্টারের দাম উঠেছিল ৮৩.১ মার্কিন ডলার। নিউ ইয়র্কের এক হীরা ব্যবসায়ী, আইসাক উলফ কিনেছিলেন। কিন্তু পুরো টাকা দিতে না পারায়, গহনার আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘সথে বিজ’ তা ফেরত নিয়ে নেয়।
পিংক স্টারের আগে, সব থেকে দামী পাথরের খেতাব ছিল ‘ওপেনহেইমার ব্লু’র। ৫৭.৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে তা কিনেছিলেন ব্রিটিশ গয়না ব্যবসায়ী লরেন্স গ্রাফ। ওপেন হেইমার ব্লু অকশান করা হয় ২০১৬ সালের মে মাসে।