শিরোনাম :
Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত 

বড় প্লেনে থাকে গোপন কক্ষ কেন জানেন?

  • আপডেট সময় : ০৯:২২:৪৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রত্যেক বড় প্লেনে থাকে একটি গুপ্ত কক্ষ। সেখানে থাকে আরামদায়ক বিছানা, থাকে টয়লেট, টেলিভিশনসহ বিলাসবহুল বন্দোবস্ত।  কোন কোন প্লেনে আবার একাধিক গুপ্ত কক্ষও থাকে। সাধারণ যাত্রীরা এসব কক্ষের খোঁজও জানেন না। কেন থাকে? কার জন্য বিমানের মধ্যে এ বিলাসবহুল ব্যবস্থা?  একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, বড় প্লেনগুলিতে প্লেনের ক্রুদের বিশ্রামের জন্য থাকে এই বিশেষ গুপ্ত কক্ষ। গুপ্ত সিঁড়ির মাধ্যমে পৌঁছাতে হয় সেই ঘরে। এক এক প্লেনে এক এক জায়গায় তৈরি করা হয় এই ঘর। তবে অধিকাংশ প্লেনেরই উপরের অংশে যেভাবে লাগেজ বিন তৈরি করা হয়, সেই কায়দাতেই তৈরি হয় এই গোপন বিশ্রামকক্ষ।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বোয়িং ৭৭৭ এবং ৭৮৭ প্লেনে বিমান-কর্মীদের বিশ্রামের জন্য রীতিমতো বিলাসবহুল বন্দোবস্ত থাকে। তৈরি করা হয় একটি গোপন বিশ্রামাগার। কী থাকে এই সিআরসি’র ভিতরে? সাধারণত ভাবে বোয়িং ৭৭৭-এর সিআরসিতে থাকে ছয় থেকে ১০টি বিছানা। বিছানাগুলিতে লাগানো থাকে বেল্ট। ঝড়ঝঞ্ঝার সময়ে বিশ্রামরত বিমানকর্মীরা বিছানা থেকে যাতে পড়ে না যান, তার জন্যই করা হয় এই বন্দোবস্ত। বিছানার সঙ্গেই থাকে লাগেজ রাখার জায়গাও। এছাড়া কোনও কোনও প্লেনে আবার টিভির ব্যবস্থাও থাকে।

বিমানের পরিভাষায় একে বলা হয় সিআরসি বা ক্রু রেস্ট কম্পার্টমেন্টস। এক এক প্লেনে সিআরসি-র আয়তন হয় এক এক রকম। তবে ককপিট, এবং ফার্স্ট ক্লাসের যাত্রীদের মাথার উপরেই সাধারণত এই সিআরসি গড়ে তোলা হয়।

বোয়িং ৭৭৭-এ আবার পাইলটের জন্য একটি আলাদা ঘর রেখে দেওয়া হয়। এই ঘরে দু’টি বিছানা থাকে, থাকে দু’টি বিজনেস সিট। কোনও কোনও প্লেনে সেই সঙ্গে একটি টয়লেটও রেখে দেওয়া হয়।

দীর্ঘক্ষণের উড়়ানে কাজ করতে করতে বিমানকর্মীরা যাতে ক্লান্তি বোধ না করেন, এবং প্রয়োজন মতো রিল্যাক্স করে নিতে পারেন,  সেই জন্যই এত সব ব্যবস্থা।

কিন্তু ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এক পাইলট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিআরসিতে বিশ্রাম নেওয়ার অভিজ্ঞতা নাকি মোটেই সুখকর নয়। তার বক্তব্য, ‘বিছানা-টিছানা খুব নরম আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে ঠিকই, কিন্তু ঘরগুলোতে কোনও জানালা থাকে না। একেবারে জানালাহীন একটা ঘরে শুয়ে থাকতে কেমন লাগে বলুন তো? ঠিক মনে হয়, একটি কফিনের ভিতরে শুয়ে রয়েছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

 ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

বড় প্লেনে থাকে গোপন কক্ষ কেন জানেন?

আপডেট সময় : ০৯:২২:৪৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

প্রত্যেক বড় প্লেনে থাকে একটি গুপ্ত কক্ষ। সেখানে থাকে আরামদায়ক বিছানা, থাকে টয়লেট, টেলিভিশনসহ বিলাসবহুল বন্দোবস্ত।  কোন কোন প্লেনে আবার একাধিক গুপ্ত কক্ষও থাকে। সাধারণ যাত্রীরা এসব কক্ষের খোঁজও জানেন না। কেন থাকে? কার জন্য বিমানের মধ্যে এ বিলাসবহুল ব্যবস্থা?  একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, বড় প্লেনগুলিতে প্লেনের ক্রুদের বিশ্রামের জন্য থাকে এই বিশেষ গুপ্ত কক্ষ। গুপ্ত সিঁড়ির মাধ্যমে পৌঁছাতে হয় সেই ঘরে। এক এক প্লেনে এক এক জায়গায় তৈরি করা হয় এই ঘর। তবে অধিকাংশ প্লেনেরই উপরের অংশে যেভাবে লাগেজ বিন তৈরি করা হয়, সেই কায়দাতেই তৈরি হয় এই গোপন বিশ্রামকক্ষ।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বোয়িং ৭৭৭ এবং ৭৮৭ প্লেনে বিমান-কর্মীদের বিশ্রামের জন্য রীতিমতো বিলাসবহুল বন্দোবস্ত থাকে। তৈরি করা হয় একটি গোপন বিশ্রামাগার। কী থাকে এই সিআরসি’র ভিতরে? সাধারণত ভাবে বোয়িং ৭৭৭-এর সিআরসিতে থাকে ছয় থেকে ১০টি বিছানা। বিছানাগুলিতে লাগানো থাকে বেল্ট। ঝড়ঝঞ্ঝার সময়ে বিশ্রামরত বিমানকর্মীরা বিছানা থেকে যাতে পড়ে না যান, তার জন্যই করা হয় এই বন্দোবস্ত। বিছানার সঙ্গেই থাকে লাগেজ রাখার জায়গাও। এছাড়া কোনও কোনও প্লেনে আবার টিভির ব্যবস্থাও থাকে।

বিমানের পরিভাষায় একে বলা হয় সিআরসি বা ক্রু রেস্ট কম্পার্টমেন্টস। এক এক প্লেনে সিআরসি-র আয়তন হয় এক এক রকম। তবে ককপিট, এবং ফার্স্ট ক্লাসের যাত্রীদের মাথার উপরেই সাধারণত এই সিআরসি গড়ে তোলা হয়।

বোয়িং ৭৭৭-এ আবার পাইলটের জন্য একটি আলাদা ঘর রেখে দেওয়া হয়। এই ঘরে দু’টি বিছানা থাকে, থাকে দু’টি বিজনেস সিট। কোনও কোনও প্লেনে সেই সঙ্গে একটি টয়লেটও রেখে দেওয়া হয়।

দীর্ঘক্ষণের উড়়ানে কাজ করতে করতে বিমানকর্মীরা যাতে ক্লান্তি বোধ না করেন, এবং প্রয়োজন মতো রিল্যাক্স করে নিতে পারেন,  সেই জন্যই এত সব ব্যবস্থা।

কিন্তু ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এক পাইলট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিআরসিতে বিশ্রাম নেওয়ার অভিজ্ঞতা নাকি মোটেই সুখকর নয়। তার বক্তব্য, ‘বিছানা-টিছানা খুব নরম আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে ঠিকই, কিন্তু ঘরগুলোতে কোনও জানালা থাকে না। একেবারে জানালাহীন একটা ঘরে শুয়ে থাকতে কেমন লাগে বলুন তো? ঠিক মনে হয়, একটি কফিনের ভিতরে শুয়ে রয়েছি।