রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনটির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের হাতে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
একই দাবিতে সারা দেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়েও একযোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
স্মারকলিপি হস্তান্তরের পর চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা জুবায়ের খান বলেন, “জুলাই সনদকে আইনি স্বীকৃতি না দিলে অভ্যুত্থানের অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। আমরা চাই, নির্বাচনের আগে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নিশ্চিত করা হোক।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পাঁচ দফা দাবির মূল কাঠামো অন্যান্য ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিল থাকলেও পার্থক্য রয়েছে সংসদীয় কাঠামোতে। অন্যরা পুরো সংসদে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি চায়, কিন্তু আমরা কেবল উচ্চকক্ষে এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের পক্ষে।”
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিলেও জুলাই সনদকে আইনগত ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সংগঠনটি মনে করে, সনদটির আইনি স্বীকৃতি ছাড়া গণঅভ্যুত্থানের অর্জন অর্থহীন হয়ে পড়বে।
খেলাফত মজলিসের দাবিগুলোর মধ্যে ছিল— জুলাই সনদের অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, নির্বাচনে প্রকৃত লেভেল-প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা, জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর (PR) পদ্ধতি বাস্তবায়ন।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই পাঁচ দফা বাস্তবায়িত হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরবে, জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হবে এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।