শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা Logo বুটেক্স অ্যালামনাই ইউএসএ-এর আত্মপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মিলনমেলা ও কমিটি গঠন Logo বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২৭ ডিসেম্বর Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত

সাজিদ হত্যার বিচার ও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার দ্রুত বিচার ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। একই সঙ্গে তারা আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের নিয়োগ বোর্ড থেকে অব্যাহতির দাবি জানান।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের নিচে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। কর্মসূচি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা। এছাড়া সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, কর্মী উল্লাস, অর্ক, স্বাক্ষর, তৌহিদসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। ১৭৫ একরজুড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যেখানে যাক না কেন, সেখানে নিরাপত্তা থাকতে হবে। হলে কখন আসবে-যাবে বা কী পোশাক পরবে, তা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিষয়। কেউ সেখানে হুমকি-ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। পুলিশ প্রশাসন কী করবে, সেটা তাদের বিষয়; তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—আগামী ১০ দিনের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা ভদ্রতা ও ধৈর্য দেখাচ্ছি, এটিকে দুর্বলতা ভাববেন না। ছাত্রদল সব সময়ই স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অলিউল্লাহসহ দুইজনকে গুম করা হয়েছে, কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো খোঁজ রাখছে না। তারা নিজেদের কক্ষে নিশ্চিন্তে থাকে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো দায়িত্ববোধ নেই তাদের।”
সাহেদ আহম্মেদ আরও বলেন, “আজকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফ্যাসিস্ট মনোভাবাপন্ন শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগরসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও চিহ্নিত ফ্যাসিস্ট শিক্ষক রশিদ আশকারীর মতো ব্যক্তিদের নিয়োগ বোর্ডে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন পথে চলছে, তা এখন আর বোধগম্য নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
অবশেষে তিনি বলেন, “অতি দ্রুতই ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের নিয়োগ বোর্ড থেকে বাদ দিতে হবে এবং আমাদের সহপাঠী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় ছাত্রদল আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।”
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা

সাজিদ হত্যার বিচার ও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি

আপডেট সময় : ০৯:৪১:৩৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার দ্রুত বিচার ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। একই সঙ্গে তারা আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের নিয়োগ বোর্ড থেকে অব্যাহতির দাবি জানান।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের নিচে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। কর্মসূচি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা। এছাড়া সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, কর্মী উল্লাস, অর্ক, স্বাক্ষর, তৌহিদসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। ১৭৫ একরজুড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যেখানে যাক না কেন, সেখানে নিরাপত্তা থাকতে হবে। হলে কখন আসবে-যাবে বা কী পোশাক পরবে, তা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিষয়। কেউ সেখানে হুমকি-ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। পুলিশ প্রশাসন কী করবে, সেটা তাদের বিষয়; তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—আগামী ১০ দিনের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা ভদ্রতা ও ধৈর্য দেখাচ্ছি, এটিকে দুর্বলতা ভাববেন না। ছাত্রদল সব সময়ই স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অলিউল্লাহসহ দুইজনকে গুম করা হয়েছে, কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো খোঁজ রাখছে না। তারা নিজেদের কক্ষে নিশ্চিন্তে থাকে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো দায়িত্ববোধ নেই তাদের।”
সাহেদ আহম্মেদ আরও বলেন, “আজকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফ্যাসিস্ট মনোভাবাপন্ন শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগরসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও চিহ্নিত ফ্যাসিস্ট শিক্ষক রশিদ আশকারীর মতো ব্যক্তিদের নিয়োগ বোর্ডে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন পথে চলছে, তা এখন আর বোধগম্য নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
অবশেষে তিনি বলেন, “অতি দ্রুতই ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের নিয়োগ বোর্ড থেকে বাদ দিতে হবে এবং আমাদের সহপাঠী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় ছাত্রদল আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।”