মুজিববাদের অপতৎপরতা’র প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

সারাদেশে মুজিববাদের নামে চলমান ‘অপতৎপরতা’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে সমবেত হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘ফ্যাসিবাদের কবর খোড়’, ‘মুজিববাদ নো মোর’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’—ইত্যাদি স্লোগান।

এ সময় সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, “জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ভুলে গিয়ে এবং ইন্টেরিম সরকারের নির্লিপ্ততায় মুজিববাদ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে যখন সারা দেশ শোকাহত, তখন আওয়ামী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ উসকানিমূলক তৎপরতায় লিপ্ত হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেছে। গুজব ছড়িয়ে জুলাই মাসে যেমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল, এবারও একইভাবে গুজবের মাধ্যমে দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আর ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। এই জুলাই মাসেই মুজিববাদের কবর রচনা করতে হবে।”

সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম, মুজিববাদের নিদর্শন দ্রুত অপসারণ করতে হবে। কিন্তু প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভিসির দায়িত্বে থাকা রুটিন প্রশাসক কী দায়িত্ব পালন করছেন, তা আমাদের জানার অধিকার আছে। মেইন গেট দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেই মুজিববাদের নিদর্শন চোখে পড়ে—এটা দুঃখজনক।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা ২০ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে মুজিববাদের সব নিদর্শন অপসারণ করতে হবে। গত ১৫ বছর ধরে এসব চিহ্নের অজুহাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার ন্যূনতম অধিকার রাখে না। এখন কিছু সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ওই রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। আমরা বিগত এক বছরে শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ ধৈর্য দেখিয়েছি। কিন্তু ২৪ জুলাই যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, তাতে কোনো অনুশোচনার দেখা মেলেনি। শিক্ষক ও কর্মকর্তারা যদি সেই গণহত্যার পক্ষে থাকেন, তাহলে তাদের ইবিতে আসার প্রয়োজন নেই—তাদের উচিত ঘরে বসে থাকা।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুজিববাদের অপতৎপরতা’র প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ১২:১২:২৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

সারাদেশে মুজিববাদের নামে চলমান ‘অপতৎপরতা’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে সমবেত হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘ফ্যাসিবাদের কবর খোড়’, ‘মুজিববাদ নো মোর’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’—ইত্যাদি স্লোগান।

এ সময় সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, “জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ভুলে গিয়ে এবং ইন্টেরিম সরকারের নির্লিপ্ততায় মুজিববাদ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে যখন সারা দেশ শোকাহত, তখন আওয়ামী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ উসকানিমূলক তৎপরতায় লিপ্ত হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেছে। গুজব ছড়িয়ে জুলাই মাসে যেমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল, এবারও একইভাবে গুজবের মাধ্যমে দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আর ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। এই জুলাই মাসেই মুজিববাদের কবর রচনা করতে হবে।”

সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম, মুজিববাদের নিদর্শন দ্রুত অপসারণ করতে হবে। কিন্তু প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভিসির দায়িত্বে থাকা রুটিন প্রশাসক কী দায়িত্ব পালন করছেন, তা আমাদের জানার অধিকার আছে। মেইন গেট দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেই মুজিববাদের নিদর্শন চোখে পড়ে—এটা দুঃখজনক।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা ২০ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে মুজিববাদের সব নিদর্শন অপসারণ করতে হবে। গত ১৫ বছর ধরে এসব চিহ্নের অজুহাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার ন্যূনতম অধিকার রাখে না। এখন কিছু সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ওই রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। আমরা বিগত এক বছরে শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ ধৈর্য দেখিয়েছি। কিন্তু ২৪ জুলাই যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, তাতে কোনো অনুশোচনার দেখা মেলেনি। শিক্ষক ও কর্মকর্তারা যদি সেই গণহত্যার পক্ষে থাকেন, তাহলে তাদের ইবিতে আসার প্রয়োজন নেই—তাদের উচিত ঘরে বসে থাকা।”