শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

সিরাজগঞ্জের সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ে বিস্তর অভিযোগ, তদন্ত হলেও পদক্ষেপ অনিশ্চিত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:১২:৩১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ:সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফছার আলীর বিরুদ্ধে বহুমুখী অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায়।

একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তৎকালীন পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালীকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত শেষ হলেও আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকায় রয়েছেÑ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর নানা রকম হয়রানি, নিয়মবহির্ভূতভাবে গাছ বিক্রি, অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তি, মাসিক বেতন বৃদ্ধি, প্রশংসাপত্র প্রদানে অর্থ নির্ধারণ, ছাত্রী নিবাস দখল, আইসিটি ল্যাব থেকে এসি অপসারণ, ফিডার স্কুল পরিচালনায় রেজুলেশন ও কমিটি না থাকা, নিম্নমানের টিফিন বিতরণ, পরীক্ষা পরিবর্তন করে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা, এমনকি ধর্মীয় ও নৈতিক সীমানা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে আদালতের শাস্তি হিসেবে পাঁচ বছর অবনমনসহ প্রায় ১৫টি গুরুতর অভিযোগ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষক নিজেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সকল প্রতিবাদ দমন করেন। এমনকি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলন বন্ধে জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে “আন্দোলন প্রতিরোধ নীলনকশা” তৈরি করেছিলেন বলেও অভিযোগ উঠে। এসব ঘটনার পিছনে সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জান্নাত আরা হেনরীর নামও সংশ্লিষ্ট রয়েছে বলে জানা যায়।

২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত পিপলস নিউজ ২৪-এ বিষয়ে দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হয়, যেখানে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার অর্থ বাণিজ্যের চিত্র উঠে আসে।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও বর্তমানে নাটোর জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালী বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত সম্পন্ন করে সুপারিশসহ রিপোর্ট রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। তবে তদন্তের বিষয়বস্তু গোপনীয় হওয়ায় কিছু জানানো যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, আমি দায়িত্বে আসার পর এমন কোনো তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাইনি। তবে ফাইলপত্র দেখে আগামীকাল জানাতে পারব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

সিরাজগঞ্জের সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ে বিস্তর অভিযোগ, তদন্ত হলেও পদক্ষেপ অনিশ্চিত

আপডেট সময় : ০৭:১২:৩১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ:সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফছার আলীর বিরুদ্ধে বহুমুখী অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায়।

একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তৎকালীন পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালীকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত শেষ হলেও আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকায় রয়েছেÑ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর নানা রকম হয়রানি, নিয়মবহির্ভূতভাবে গাছ বিক্রি, অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তি, মাসিক বেতন বৃদ্ধি, প্রশংসাপত্র প্রদানে অর্থ নির্ধারণ, ছাত্রী নিবাস দখল, আইসিটি ল্যাব থেকে এসি অপসারণ, ফিডার স্কুল পরিচালনায় রেজুলেশন ও কমিটি না থাকা, নিম্নমানের টিফিন বিতরণ, পরীক্ষা পরিবর্তন করে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা, এমনকি ধর্মীয় ও নৈতিক সীমানা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে আদালতের শাস্তি হিসেবে পাঁচ বছর অবনমনসহ প্রায় ১৫টি গুরুতর অভিযোগ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষক নিজেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সকল প্রতিবাদ দমন করেন। এমনকি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলন বন্ধে জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে “আন্দোলন প্রতিরোধ নীলনকশা” তৈরি করেছিলেন বলেও অভিযোগ উঠে। এসব ঘটনার পিছনে সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জান্নাত আরা হেনরীর নামও সংশ্লিষ্ট রয়েছে বলে জানা যায়।

২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত পিপলস নিউজ ২৪-এ বিষয়ে দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হয়, যেখানে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার অর্থ বাণিজ্যের চিত্র উঠে আসে।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও বর্তমানে নাটোর জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালী বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত সম্পন্ন করে সুপারিশসহ রিপোর্ট রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। তবে তদন্তের বিষয়বস্তু গোপনীয় হওয়ায় কিছু জানানো যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, আমি দায়িত্বে আসার পর এমন কোনো তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাইনি। তবে ফাইলপত্র দেখে আগামীকাল জানাতে পারব।