শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

রাবির আইআর বিভাগে ‘রোহিঙ্গা ইস্যু’ বিষয়ক বিশেষ সেমিনার

রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘস্থায়ী ও সম্মানজনক সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও কৌশলগত কূটনৈতিক পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। “শরণার্থী সংকট নিরসন নিয়ে ভাবনা: উত্তর-উপনিবেশবাদ প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিশ্লেষণ” শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
রবিবার (৪ মে) সকাল ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের আয়োজিত সেমিনারে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের নিজ দেশে—মিয়ানমারে—ফিরতে চান, তবে সেটি হতে হবে নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের স্বীকৃতি ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর। শুধু রাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে ফেরত পাঠানো নয়, বরং নিজ জন্মভূমিতে ফেরার অধিকার তারা চান।”
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন মানে শুধুমাত্র শারীরিকভাবে ফেরত যাওয়া নয়, বরং তাদের বসতবাড়ি ও পরিচয় ফিরে পাওয়া। প্রচলিত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া তাদের বাস্তব দাবিকে উপেক্ষা করে।
রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে জটিল করে তুলেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে কৌশলগতভাবে মিয়ানমারের জান্তা সরকার, আরাকান আর্মি এবং চীনের সমর্থন আদায়ে কার্যকর কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
রাখাইনে মানবিক করিডর গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন ড. ইসলাম। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের উচিত সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। তবে এতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, মানবিক করিডর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির কাছ থেকে প্রত্যাবাসনের প্রতিশ্রুতি আদায় করাও জরুরি।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

রাবির আইআর বিভাগে ‘রোহিঙ্গা ইস্যু’ বিষয়ক বিশেষ সেমিনার

আপডেট সময় : ০৪:৪১:২০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘস্থায়ী ও সম্মানজনক সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও কৌশলগত কূটনৈতিক পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। “শরণার্থী সংকট নিরসন নিয়ে ভাবনা: উত্তর-উপনিবেশবাদ প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিশ্লেষণ” শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
রবিবার (৪ মে) সকাল ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের আয়োজিত সেমিনারে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের নিজ দেশে—মিয়ানমারে—ফিরতে চান, তবে সেটি হতে হবে নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের স্বীকৃতি ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর। শুধু রাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে ফেরত পাঠানো নয়, বরং নিজ জন্মভূমিতে ফেরার অধিকার তারা চান।”
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন মানে শুধুমাত্র শারীরিকভাবে ফেরত যাওয়া নয়, বরং তাদের বসতবাড়ি ও পরিচয় ফিরে পাওয়া। প্রচলিত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া তাদের বাস্তব দাবিকে উপেক্ষা করে।
রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে জটিল করে তুলেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে কৌশলগতভাবে মিয়ানমারের জান্তা সরকার, আরাকান আর্মি এবং চীনের সমর্থন আদায়ে কার্যকর কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
রাখাইনে মানবিক করিডর গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন ড. ইসলাম। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের উচিত সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। তবে এতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, মানবিক করিডর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির কাছ থেকে প্রত্যাবাসনের প্রতিশ্রুতি আদায় করাও জরুরি।