জবিতে সাইকেল চোর সন্দেহে যুবক আটক ৮ শিক্ষার্থীকে ৫০হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:০১:২৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭১৩ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকেল চুরির অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে দায় স্বীকার করে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অভিযুক্তের অভিভাবক। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আটক হওয়া যুবকের নাম আজাদ। তিনি লালবাগ এলাকায় থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। এসময় তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় তিনি এ চুরির সাথে জড়িত। সিসিটিভির লোকের সাথে এই লোকের শারীরিক বৈশিষ্ট্য, পরনের কাপড়সহ, হাতের কাটা দাগ, আংটি, ঘড়ি সবকিছু মিলে যাচ্ছে।

ক্ষতিপূরণ পাওয়া ৮ শিক্ষার্থী হলেন – আইন বিভাগের মেহেদী, ইতিহাস বিভাগের মোমিন, ফিন্যান্স বিভাগের তাইজুল, আইন বিভাগের শান্ত, দর্শন বিভাগের হৃদয়, মার্কেটিং বিভাগের সবুজ, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সাদ্দাম, হিসাব বিজ্ঞানের মিলন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাকরিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করার সময় আমরা তাকে আটক করি। পরে বিগত সময়ে চুরি হওয়া সাইকলে চুরির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বুঝতে পারি তিনি আসলে সাইকেল চোর।”

এবিষয়ে অভিযুক্ত আজাদ বলেন, আমি কোনো চুরি করিনি। আমি এ বিষয়ে জানি না।

অভিযুক্তের বড় ভাই আরমান বলেন, ও সবসময় আমাদের সঙ্গে সবজির দোকানে থাকে। গতকাল বাড়িতে বলে তার একটা দাওয়াত আছে। রাতেও বাড়ি ফেরেনি। ও নেশাও করে। হয়তো নেশার ঘোরে এসব করেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে সাইকেল চোর সন্দেহে যুবক আটক ৮ শিক্ষার্থীকে ৫০হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ

আপডেট সময় : ০৯:০১:২৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

জবি প্রতিনিধি: মোঃনিয়াজ শফিক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকেল চুরির অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে দায় স্বীকার করে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অভিযুক্তের অভিভাবক। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আটক হওয়া যুবকের নাম আজাদ। তিনি লালবাগ এলাকায় থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। এসময় তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় তিনি এ চুরির সাথে জড়িত। সিসিটিভির লোকের সাথে এই লোকের শারীরিক বৈশিষ্ট্য, পরনের কাপড়সহ, হাতের কাটা দাগ, আংটি, ঘড়ি সবকিছু মিলে যাচ্ছে।

ক্ষতিপূরণ পাওয়া ৮ শিক্ষার্থী হলেন – আইন বিভাগের মেহেদী, ইতিহাস বিভাগের মোমিন, ফিন্যান্স বিভাগের তাইজুল, আইন বিভাগের শান্ত, দর্শন বিভাগের হৃদয়, মার্কেটিং বিভাগের সবুজ, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সাদ্দাম, হিসাব বিজ্ঞানের মিলন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাকরিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করার সময় আমরা তাকে আটক করি। পরে বিগত সময়ে চুরি হওয়া সাইকলে চুরির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বুঝতে পারি তিনি আসলে সাইকেল চোর।”

এবিষয়ে অভিযুক্ত আজাদ বলেন, আমি কোনো চুরি করিনি। আমি এ বিষয়ে জানি না।

অভিযুক্তের বড় ভাই আরমান বলেন, ও সবসময় আমাদের সঙ্গে সবজির দোকানে থাকে। গতকাল বাড়িতে বলে তার একটা দাওয়াত আছে। রাতেও বাড়ি ফেরেনি। ও নেশাও করে। হয়তো নেশার ঘোরে এসব করেছে।