কুনজর থেকে অমিতাভকে বাঁচাতে যা করেন মা

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:৪২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ৭০৯ বার পড়া হয়েছে
জয়ার পরিবার বিয়েতে গোপনীয়তা বজায় রেখেছিল। নিজেদের বাড়ির বদলে এক পারিবারিক বন্ধুর বাড়িতে তার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।

জয়া বচ্চন ও অমিতাভ বচ্চনের বিয়ে বার বার চর্চায় উঠে এসেছে। বিয়ের দিন যাতে অমিতাভের উপর ‘খারাপ নজর’-এর ছায়া না পড়ে, সেই দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন তার মা! অমিতাভের বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন তার আত্মজীবনীতে ছেলের বিয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। জয়ার পরিবার বিয়েতে গোপনীয়তা বজায় রেখেছিল। নিজেদের বাড়ির বদলে এক পারিবারিক বন্ধুর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।

অমিতাভকে বিয়ের দিন কেমন দেখতে লাগছিল, সেই কথাও লিখেছেন তার বাবা। তার কথায়, “অমিতাভকে সেই দিন দেখতে দারুণ লাগছিল। এতই সুন্দর লাগছিল যে ওর মা ভগবান হনুমানের কাছে প্রার্থনা করছিলেন, যাতে ছেলের উপর কুনজর না পড়ে।”

জয়াকে নিয়ে তিনি লিখেছিলেন, “জয়াকে সেই দিন কনের রূপে দেখলাম। সেই প্রথম জয়ার মুখে এক অদ্ভুত লজ্জা দেখতে পেয়েছিলাম। সেই দিনই বুঝতে পারলাম, সৌন্দর্যের এই দিকটাও কী সুন্দর! অভিনেত্রী হিসেবে লজ্জার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম ছিল তো বটেই। কিন্তু সেই দিন ওর মুখে যেটা দেখেছিলাম, সেটা খুবই নিখাদ এবং বাস্তবিক।”

১৯৭৩ সালের ৩ জুন বিয়ে করেছিলেন অমিতাভ ও জয়া। যদিও তাদের বিয়ে করার কথা ছিল অক্টোবর মাসে। কিন্ত একত্রে লন্ডন বেড়াতে যাবেন বলে বিয়ের তারিখ এগিয়ে নিয়ে এসেছিলেন যুগল। বেড়াতে যাওয়ার মাত্র সাত দিন আগে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। একসঙ্গে ৫০ বছরের বেশি কাটিয়ে ফেলেছেন অমিতাভ-জয়া।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুনজর থেকে অমিতাভকে বাঁচাতে যা করেন মা

আপডেট সময় : ০৪:৪১:৪২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
জয়ার পরিবার বিয়েতে গোপনীয়তা বজায় রেখেছিল। নিজেদের বাড়ির বদলে এক পারিবারিক বন্ধুর বাড়িতে তার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।

জয়া বচ্চন ও অমিতাভ বচ্চনের বিয়ে বার বার চর্চায় উঠে এসেছে। বিয়ের দিন যাতে অমিতাভের উপর ‘খারাপ নজর’-এর ছায়া না পড়ে, সেই দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন তার মা! অমিতাভের বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন তার আত্মজীবনীতে ছেলের বিয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। জয়ার পরিবার বিয়েতে গোপনীয়তা বজায় রেখেছিল। নিজেদের বাড়ির বদলে এক পারিবারিক বন্ধুর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।

অমিতাভকে বিয়ের দিন কেমন দেখতে লাগছিল, সেই কথাও লিখেছেন তার বাবা। তার কথায়, “অমিতাভকে সেই দিন দেখতে দারুণ লাগছিল। এতই সুন্দর লাগছিল যে ওর মা ভগবান হনুমানের কাছে প্রার্থনা করছিলেন, যাতে ছেলের উপর কুনজর না পড়ে।”

জয়াকে নিয়ে তিনি লিখেছিলেন, “জয়াকে সেই দিন কনের রূপে দেখলাম। সেই প্রথম জয়ার মুখে এক অদ্ভুত লজ্জা দেখতে পেয়েছিলাম। সেই দিনই বুঝতে পারলাম, সৌন্দর্যের এই দিকটাও কী সুন্দর! অভিনেত্রী হিসেবে লজ্জার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম ছিল তো বটেই। কিন্তু সেই দিন ওর মুখে যেটা দেখেছিলাম, সেটা খুবই নিখাদ এবং বাস্তবিক।”

১৯৭৩ সালের ৩ জুন বিয়ে করেছিলেন অমিতাভ ও জয়া। যদিও তাদের বিয়ে করার কথা ছিল অক্টোবর মাসে। কিন্ত একত্রে লন্ডন বেড়াতে যাবেন বলে বিয়ের তারিখ এগিয়ে নিয়ে এসেছিলেন যুগল। বেড়াতে যাওয়ার মাত্র সাত দিন আগে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। একসঙ্গে ৫০ বছরের বেশি কাটিয়ে ফেলেছেন অমিতাভ-জয়া।