শিরোনাম :
Logo ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব Logo ভোলার মুহাদ্দিস নোমানী হত্যার বিচারে ইবিতে মানববন্ধন Logo নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ছিনতাই, শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা Logo আজকের ৪টি দ্বিতল বাসের যাত্রা নবদিগন্তের সূচনা : ইবি উপাচার্য Logo সিরাজগঞ্জে জাতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সম্প্রসারিত পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের উদ্বোধন Logo শেখহাসিনার ছাত্রলীগ যেই দুঃসাহস করতে পারেনি, সেই দুঃসাহস ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে এখন ছাত্রদল করা শুরু করেছে, পঞ্চগড়ে -সারজিস Logo আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন Logo মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই দেশের সম্পদ হবে : আসিফ মাহমুদ Logo অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাঙরের আক্রমণে নিহত ১

যোগ্যতা ছাড়াই নিয়োগ, যবিপ্রবি অধ্যাপক ড. ইকবালের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:০০:৫০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে

যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

যোগ্যতা ছাড়াই সহকারী অধ্যাপক পদে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্যসহ চার জনের নামে মামলা হয়।

সোমবার (৩ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুদকের মামলায় ১নং আসামি ড. ইকবাল কবির জাহিদ ও ২, ৩ ও ৪ নং আসামিরা হলেন যবিপ্রবির সাবেক দুই উপাচার্য অধ্যাপক ড আব্দুস সাত্তার ও অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোছাঃ ফেরদৌসী বেগম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৯ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি নিয়োগ নীতিমালা ও ইউজিসির নির্দেশনা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘনপূর্বক অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদকে অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ প্রদান করে যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী বেগম। বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সময় ড. ইকবালের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করার কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা কিংবা তার কোন পিএইচডি ডিগ্রী ছিল না। অর্থাৎ ড. ইকবাল কবীর জাহিদ-এর সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ লাভের কোন যোগ্যতা ছিল না।

এছাড়া এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ড. ইকবাল ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বেতন হিসেবে এক কোটি তের লক্ষ সাতাত্তর হাজার সাত শত উনানব্বই টাকা উত্তোলন করে সরকারি অর্থের ক্ষতিসাধন করেছেন। যা ১৯৪৭ সালের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তি যোগ্য অপরাধ।

এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, এই চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের নানা অভিযোগ থাকায় মামলা করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব

যোগ্যতা ছাড়াই নিয়োগ, যবিপ্রবি অধ্যাপক ড. ইকবালের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় : ১০:০০:৫০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

যোগ্যতা ছাড়াই সহকারী অধ্যাপক পদে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্যসহ চার জনের নামে মামলা হয়।

সোমবার (৩ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুদকের মামলায় ১নং আসামি ড. ইকবাল কবির জাহিদ ও ২, ৩ ও ৪ নং আসামিরা হলেন যবিপ্রবির সাবেক দুই উপাচার্য অধ্যাপক ড আব্দুস সাত্তার ও অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোছাঃ ফেরদৌসী বেগম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৯ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি নিয়োগ নীতিমালা ও ইউজিসির নির্দেশনা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘনপূর্বক অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদকে অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ প্রদান করে যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী বেগম। বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সময় ড. ইকবালের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করার কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা কিংবা তার কোন পিএইচডি ডিগ্রী ছিল না। অর্থাৎ ড. ইকবাল কবীর জাহিদ-এর সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ লাভের কোন যোগ্যতা ছিল না।

এছাড়া এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ড. ইকবাল ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বেতন হিসেবে এক কোটি তের লক্ষ সাতাত্তর হাজার সাত শত উনানব্বই টাকা উত্তোলন করে সরকারি অর্থের ক্ষতিসাধন করেছেন। যা ১৯৪৭ সালের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তি যোগ্য অপরাধ।

এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, এই চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের নানা অভিযোগ থাকায় মামলা করা হয়েছে।