শিরোনাম :
Logo আগামীকাল খুবিতে বায়স্কোপের ‘প্রাণময় লোকসন্ধ্যা মাটির টান পর্ব-২’ Logo খুবিতে শিক্ষা ডিসিপ্লিনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত! Logo সাংবাদিকদের টাকা-মোবাইল দেয় শিক্ষকরা’- কুবি উপাচার্য Logo যমুনা রেল সেতুর পিলারে  ফাটল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল Logo সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রাণনাশের হুমকির’ অভিযোগ- অভিযুক্তের অস্বীকার Logo শেরপুরে নলকূপ খননে গ্যাসের সন্ধান, আগুনে রান্না করছেন স্থানীয়রা! Logo ধৈর্যের মূর্ত প্রতীক: শাহাদত হোসেন বিপ্লব Logo কালিবাড়ি মোড়ে ‘কাশমিরী সুইটস এন্ড লাইভ বেকারী’র শুভ উদ্বোধন! Logo জলবায়ু পরিবর্তন, এসআরএইচআর ও সেবার চ্যালেঞ্জ নিয়ে চাঁদপুরে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা Logo ইবিতে দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ক্যাম্পাস ২০২৫’

যোগ্যতা ছাড়াই নিয়োগ, যবিপ্রবি অধ্যাপক ড. ইকবালের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:০০:৫০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ৭৯১ বার পড়া হয়েছে

যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

যোগ্যতা ছাড়াই সহকারী অধ্যাপক পদে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্যসহ চার জনের নামে মামলা হয়।

সোমবার (৩ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুদকের মামলায় ১নং আসামি ড. ইকবাল কবির জাহিদ ও ২, ৩ ও ৪ নং আসামিরা হলেন যবিপ্রবির সাবেক দুই উপাচার্য অধ্যাপক ড আব্দুস সাত্তার ও অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোছাঃ ফেরদৌসী বেগম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৯ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি নিয়োগ নীতিমালা ও ইউজিসির নির্দেশনা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘনপূর্বক অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদকে অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ প্রদান করে যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী বেগম। বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সময় ড. ইকবালের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করার কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা কিংবা তার কোন পিএইচডি ডিগ্রী ছিল না। অর্থাৎ ড. ইকবাল কবীর জাহিদ-এর সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ লাভের কোন যোগ্যতা ছিল না।

এছাড়া এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ড. ইকবাল ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বেতন হিসেবে এক কোটি তের লক্ষ সাতাত্তর হাজার সাত শত উনানব্বই টাকা উত্তোলন করে সরকারি অর্থের ক্ষতিসাধন করেছেন। যা ১৯৪৭ সালের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তি যোগ্য অপরাধ।

এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, এই চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের নানা অভিযোগ থাকায় মামলা করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামীকাল খুবিতে বায়স্কোপের ‘প্রাণময় লোকসন্ধ্যা মাটির টান পর্ব-২’

যোগ্যতা ছাড়াই নিয়োগ, যবিপ্রবি অধ্যাপক ড. ইকবালের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় : ১০:০০:৫০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

যোগ্যতা ছাড়াই সহকারী অধ্যাপক পদে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্যসহ চার জনের নামে মামলা হয়।

সোমবার (৩ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুদকের মামলায় ১নং আসামি ড. ইকবাল কবির জাহিদ ও ২, ৩ ও ৪ নং আসামিরা হলেন যবিপ্রবির সাবেক দুই উপাচার্য অধ্যাপক ড আব্দুস সাত্তার ও অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোছাঃ ফেরদৌসী বেগম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৯ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি নিয়োগ নীতিমালা ও ইউজিসির নির্দেশনা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘনপূর্বক অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদকে অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ প্রদান করে যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী বেগম। বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সময় ড. ইকবালের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করার কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা কিংবা তার কোন পিএইচডি ডিগ্রী ছিল না। অর্থাৎ ড. ইকবাল কবীর জাহিদ-এর সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ লাভের কোন যোগ্যতা ছিল না।

এছাড়া এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ড. ইকবাল ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বেতন হিসেবে এক কোটি তের লক্ষ সাতাত্তর হাজার সাত শত উনানব্বই টাকা উত্তোলন করে সরকারি অর্থের ক্ষতিসাধন করেছেন। যা ১৯৪৭ সালের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তি যোগ্য অপরাধ।

এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, এই চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের নানা অভিযোগ থাকায় মামলা করা হয়েছে।