শিরোনাম :
Logo অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি Logo ভারতের কাছে পাইলট আটকের প্রমাণ চাইলো পাকিস্তান Logo নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বললেন আসিফ মাহমুদ Logo খুবি উপাচার্যের এবং বিএনসিসি খুলনা ফ্লোটিলা কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাৎ  Logo গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে প্রস্তুত ইবি Logo ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির Logo জবিতে আবাসন ভাতা ও জকসু নির্বাচনের দাবিতে গণভোট কর্মসূচি Logo রাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৫ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সোচ্চারের Logo ইউজিসির বাজেট বৈষম্যের অভিযোগ:জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo কচুয়ায় একই পরিবারের ৮জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন, চান সহযোগিতা

কচুয়ায় সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষাবাদ, স্বল্প খরচে অধিক লাভ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৪৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

মো: মাসুদ রানা (কচুয়া)

চাঁদপুরের কচুয়ায় বোরো ধানের চাষাবাদে কৃষকের সময়, শ্রম ও আর্থিক খরচ কমিয়ে ফসল উৎপাদন বাড়াতে সমলয় পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে চাষাবাদ।

রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ করে অধিক লাভবান হবেন কৃষক। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় নিয়ে আসতে সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনাসহ প্রতিনিয়ত কৃষি কাজকে সহজ ও সাশ্রয়ী করতে কৃষকদের হাতের নাগালে নিয়ে আসছে আধুনিক পদ্ধতির বিভিন্ন সরঞ্জাম। এসবের মধ্যে অন্যতম ধানের চারা রোপণের মেশিন রাইস ট্রান্সপ্লান্টার।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি হিসেবে উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রসন্নকাপ গ্রামের ৫০ একর জমিতে ৮০ জন কৃষক সমলয় পদ্ধতিতে হাইব্রিড বোরো ধানের আবাদ করছেন।

রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ২৫ থেকে ৩০ দিন বয়সী চারা রোপণ করা সম্ভব হয়। ফলে কৃষকের সময় বেঁচে যায়। এছাড়াও পরিশ্রমও খরচ কম হয়। কৃষি বিভাগ কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনার মাধ্যমে প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করেছে। ধান কাটার সময়ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে জমির ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দিও যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় করা হবে।

প্রসন্নকাপ এলাকার আলাউদ্দিন,হারুন সহ একাধিক কৃষকরা জানান, সমলয় পদ্ধতিতে চাষ করতে গিয়ে মেশিনের মাধ্যমে ২০ মিনিটে ৩০ শতাংশ জমির চারা রোপণ হয়ে গেছে। অন্যদিকে পুরোনো পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করতে সময়, আর্থিক ব্যয় ও পরিশ্রম বেশি হতো। এভাবে চাষাবাদ করতে পেরে আমরা খুশি।

কচুয়া উপজেলার কৃষি অফিসার মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তারা এখন সমলয় পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো আবাদ করতে অনেক বেশি আগ্রহ হচ্ছে। এতে করে স্বল্প খরচ হয় এবং অধিক লাভবনা হবে কৃষক। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে সার্বিক কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষককে স্বাবলম্বী করতে সরকার কাজ করছে। এই পদ্ধতিতে আবাদ করলে চারা রোপণে কৃষকের সময় সাশ্রয় হবে, শ্রম কম লাগবে, উৎপাদন ব্যয় কমবে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ। অর্থনৈতিক ভাবে কৃষক লাভবান হবে, দেশের উৎপাদন ঘাটতি কমবে।

ট্যাগস :

অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি

কচুয়ায় সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষাবাদ, স্বল্প খরচে অধিক লাভ

আপডেট সময় : ০১:১৬:৪৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

মো: মাসুদ রানা (কচুয়া)

চাঁদপুরের কচুয়ায় বোরো ধানের চাষাবাদে কৃষকের সময়, শ্রম ও আর্থিক খরচ কমিয়ে ফসল উৎপাদন বাড়াতে সমলয় পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে চাষাবাদ।

রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ করে অধিক লাভবান হবেন কৃষক। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় নিয়ে আসতে সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনাসহ প্রতিনিয়ত কৃষি কাজকে সহজ ও সাশ্রয়ী করতে কৃষকদের হাতের নাগালে নিয়ে আসছে আধুনিক পদ্ধতির বিভিন্ন সরঞ্জাম। এসবের মধ্যে অন্যতম ধানের চারা রোপণের মেশিন রাইস ট্রান্সপ্লান্টার।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি হিসেবে উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রসন্নকাপ গ্রামের ৫০ একর জমিতে ৮০ জন কৃষক সমলয় পদ্ধতিতে হাইব্রিড বোরো ধানের আবাদ করছেন।

রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ২৫ থেকে ৩০ দিন বয়সী চারা রোপণ করা সম্ভব হয়। ফলে কৃষকের সময় বেঁচে যায়। এছাড়াও পরিশ্রমও খরচ কম হয়। কৃষি বিভাগ কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনার মাধ্যমে প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করেছে। ধান কাটার সময়ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে জমির ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দিও যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় করা হবে।

প্রসন্নকাপ এলাকার আলাউদ্দিন,হারুন সহ একাধিক কৃষকরা জানান, সমলয় পদ্ধতিতে চাষ করতে গিয়ে মেশিনের মাধ্যমে ২০ মিনিটে ৩০ শতাংশ জমির চারা রোপণ হয়ে গেছে। অন্যদিকে পুরোনো পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করতে সময়, আর্থিক ব্যয় ও পরিশ্রম বেশি হতো। এভাবে চাষাবাদ করতে পেরে আমরা খুশি।

কচুয়া উপজেলার কৃষি অফিসার মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তারা এখন সমলয় পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো আবাদ করতে অনেক বেশি আগ্রহ হচ্ছে। এতে করে স্বল্প খরচ হয় এবং অধিক লাভবনা হবে কৃষক। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে সার্বিক কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষককে স্বাবলম্বী করতে সরকার কাজ করছে। এই পদ্ধতিতে আবাদ করলে চারা রোপণে কৃষকের সময় সাশ্রয় হবে, শ্রম কম লাগবে, উৎপাদন ব্যয় কমবে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ। অর্থনৈতিক ভাবে কৃষক লাভবান হবে, দেশের উৎপাদন ঘাটতি কমবে।