শিরোনাম :
Logo জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ শুরু Logo বেরোবির এআইএস ক্লাবের নেতৃত্বে মিজান- আলবীর  Logo চাঁদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে অবরোধে ইবি শিক্ষার্থীরা Logo বুটেক্সে টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার, অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা Logo সাজিদ হত্যার তিন মাস; ইবি শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ  Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে যুবকদের কর্মসংস্থান হবে: আজিজুল বারী হেলাল Logo ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন Logo দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার মতবিনিময় ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

কচুয়ায় সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষাবাদ, স্বল্প খরচে অধিক লাভ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৪৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৯০ বার পড়া হয়েছে

মো: মাসুদ রানা (কচুয়া)

চাঁদপুরের কচুয়ায় বোরো ধানের চাষাবাদে কৃষকের সময়, শ্রম ও আর্থিক খরচ কমিয়ে ফসল উৎপাদন বাড়াতে সমলয় পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে চাষাবাদ।

রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ করে অধিক লাভবান হবেন কৃষক। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় নিয়ে আসতে সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনাসহ প্রতিনিয়ত কৃষি কাজকে সহজ ও সাশ্রয়ী করতে কৃষকদের হাতের নাগালে নিয়ে আসছে আধুনিক পদ্ধতির বিভিন্ন সরঞ্জাম। এসবের মধ্যে অন্যতম ধানের চারা রোপণের মেশিন রাইস ট্রান্সপ্লান্টার।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি হিসেবে উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রসন্নকাপ গ্রামের ৫০ একর জমিতে ৮০ জন কৃষক সমলয় পদ্ধতিতে হাইব্রিড বোরো ধানের আবাদ করছেন।

রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ২৫ থেকে ৩০ দিন বয়সী চারা রোপণ করা সম্ভব হয়। ফলে কৃষকের সময় বেঁচে যায়। এছাড়াও পরিশ্রমও খরচ কম হয়। কৃষি বিভাগ কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনার মাধ্যমে প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করেছে। ধান কাটার সময়ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে জমির ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দিও যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় করা হবে।

প্রসন্নকাপ এলাকার আলাউদ্দিন,হারুন সহ একাধিক কৃষকরা জানান, সমলয় পদ্ধতিতে চাষ করতে গিয়ে মেশিনের মাধ্যমে ২০ মিনিটে ৩০ শতাংশ জমির চারা রোপণ হয়ে গেছে। অন্যদিকে পুরোনো পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করতে সময়, আর্থিক ব্যয় ও পরিশ্রম বেশি হতো। এভাবে চাষাবাদ করতে পেরে আমরা খুশি।

কচুয়া উপজেলার কৃষি অফিসার মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তারা এখন সমলয় পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো আবাদ করতে অনেক বেশি আগ্রহ হচ্ছে। এতে করে স্বল্প খরচ হয় এবং অধিক লাভবনা হবে কৃষক। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে সার্বিক কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষককে স্বাবলম্বী করতে সরকার কাজ করছে। এই পদ্ধতিতে আবাদ করলে চারা রোপণে কৃষকের সময় সাশ্রয় হবে, শ্রম কম লাগবে, উৎপাদন ব্যয় কমবে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ। অর্থনৈতিক ভাবে কৃষক লাভবান হবে, দেশের উৎপাদন ঘাটতি কমবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই আন্দোলনে নামাজ পড়তে বাধাদানে অভিযুক্ত বরখাস্ত শিক্ষককে ফেরাতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

কচুয়ায় সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষাবাদ, স্বল্প খরচে অধিক লাভ

আপডেট সময় : ০১:১৬:৪৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

মো: মাসুদ রানা (কচুয়া)

চাঁদপুরের কচুয়ায় বোরো ধানের চাষাবাদে কৃষকের সময়, শ্রম ও আর্থিক খরচ কমিয়ে ফসল উৎপাদন বাড়াতে সমলয় পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে চাষাবাদ।

রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ করে অধিক লাভবান হবেন কৃষক। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় নিয়ে আসতে সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনাসহ প্রতিনিয়ত কৃষি কাজকে সহজ ও সাশ্রয়ী করতে কৃষকদের হাতের নাগালে নিয়ে আসছে আধুনিক পদ্ধতির বিভিন্ন সরঞ্জাম। এসবের মধ্যে অন্যতম ধানের চারা রোপণের মেশিন রাইস ট্রান্সপ্লান্টার।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি হিসেবে উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রসন্নকাপ গ্রামের ৫০ একর জমিতে ৮০ জন কৃষক সমলয় পদ্ধতিতে হাইব্রিড বোরো ধানের আবাদ করছেন।

রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ২৫ থেকে ৩০ দিন বয়সী চারা রোপণ করা সম্ভব হয়। ফলে কৃষকের সময় বেঁচে যায়। এছাড়াও পরিশ্রমও খরচ কম হয়। কৃষি বিভাগ কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনার মাধ্যমে প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করেছে। ধান কাটার সময়ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে জমির ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দিও যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় করা হবে।

প্রসন্নকাপ এলাকার আলাউদ্দিন,হারুন সহ একাধিক কৃষকরা জানান, সমলয় পদ্ধতিতে চাষ করতে গিয়ে মেশিনের মাধ্যমে ২০ মিনিটে ৩০ শতাংশ জমির চারা রোপণ হয়ে গেছে। অন্যদিকে পুরোনো পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করতে সময়, আর্থিক ব্যয় ও পরিশ্রম বেশি হতো। এভাবে চাষাবাদ করতে পেরে আমরা খুশি।

কচুয়া উপজেলার কৃষি অফিসার মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তারা এখন সমলয় পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো আবাদ করতে অনেক বেশি আগ্রহ হচ্ছে। এতে করে স্বল্প খরচ হয় এবং অধিক লাভবনা হবে কৃষক। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে সার্বিক কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষককে স্বাবলম্বী করতে সরকার কাজ করছে। এই পদ্ধতিতে আবাদ করলে চারা রোপণে কৃষকের সময় সাশ্রয় হবে, শ্রম কম লাগবে, উৎপাদন ব্যয় কমবে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ। অর্থনৈতিক ভাবে কৃষক লাভবান হবে, দেশের উৎপাদন ঘাটতি কমবে।