চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাচার বাজারে মাদকবিরোধী গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ জুলাই শুক্রবার বিকেলে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ কচুয়া শাখার আয়োজনে সাচার বাজারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
গণমিছিলটি সাচার বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় আলেম-উলামা, তরুণ সমাজ, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী শ্লোগানে মুখরিত হয় সাচার বাজার এলাকা। গণমিছিলটি সাচার বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পথে পথেই গণমানুষের অংশগ্রহণে মিছিলটি এক পর্যায়ে বিশাল জনজোড়ে রূপ নেয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে “মাদক নয়, জীবন বাঁচাও”, “মাদক মুক্ত সমাজ চাই”, “তরুণ সমাজ বাঁচাও” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বক্তরা বলেন, “মাদক একটি জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে। আমাদের সমাজের তরুণরা আজ ভয়াবহভাবে মাদকে জড়িয়ে পড়ছে। এখনই সময় সচেতন হওয়ার। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে।”
তারা আরও বলেন, শুধু প্রশাসন নয়, সাধারণ মানুষকেও মাদকবিরোধী লড়াইয়ে যুক্ত হতে হবে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই এ ভয়াবহ অভিশাপ থেকে মুক্তি সম্ভব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা মাদক নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে সামাজিক উদ্যোগ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন—
“মাদক যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাঠামো ভেঙে পড়ছে মাদকের ভয়াবহ ছোবলে। এর বিরুদ্ধে শুধু আইন প্রয়োগ করলেই চলবে না, প্রয়োজন সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। প্রতিটি গ্রাম, পাড়া-মহল্লা, মসজিদ-মাদ্রাসা, ক্লাব-সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে হবে।
বক্তব্য রাখেন,হাফেজ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন,তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত কচুয়া শাখার আহ্বায়ক মোঃ ফারক সরকার, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আব্দুল খালেক,মনির হোসেন মনির,মুফতি আনিছুর রহমান কাশেমী,সাইফুল ইসলাম,আবু হানিফ,সালাউদ্দিন শি প্রমুখ।
এ ধরনের কর্মসূচিকে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাগত জানিয়েছেন এবং নিয়মিত আয়োজনের দাবি জানান। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে কচুয়ার অন্যান্য ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে নিয়মিত মাদকবিরোধী সভা, সেমিনার ও গণমিছিল আয়োজন করা হবে।
তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত কচুয়া শাখার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তারা আশা করছেন, এমন উদ্যোগে জেগে উঠবে জনসচেতনতা— আর থামবে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার।