শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:১৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলার মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদে অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ ও ম্যাজিক জাল পেতে পানির প্রবাহ আটকে দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। আইন অনুসারে, প্রবহমান কোনো জলাশয়ে কোনো ধরনের বাঁধ, স্থায়ী অবকাঠামো বা অন্য কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। জলাশয়ে পানির প্রবাহ ও মাছের চলাচল বাঁধ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করলে শাস্তির বিধান রয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, এই উপজেলায় মাথাভাঙ্গা নদ প্রায় ২৬ কিলোমিটার ও ভৈরব নদ ৫৮ কিলোমিটার রয়েছে। আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ার কারণে পলি এবং অন্যান্য পরিপোষক পদার্থ বিভিন্ন কাঠামোতে আটকে যাওয়ায় নদের পানিতে মিশে ছড়িয়ে যেতে পারছে না। ফলে পলি জমে নাব্যতা হারায়। তেমনি স্রোত বৃদ্ধি পেয়ে নদীর পাড় ভাঙনের সৃষ্টি হয়। অপর দিকে, কিছু প্রজাতির মাছ প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট স্থান খুঁজে থাকে, বাঁধের কারণে তারা গন্তব্যে পেঁৗছাতে পারে না, সেগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। এছাড়া কারেন্ট জালের কারণে বিলুপ্ত হতে বসেছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিষ্ণুপুর ব্রিজ, কেশবপুর, বাস্তপুর, রঘুনাথপুর, আমডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদের এসব এলাকায় বাঁধ, ম্যাজিক জাল কোমর, ভ্যাসাল দিয়ে অবৈধভাবে শিকার করা হচ্ছে মাছ। একই চিত্র দামুড়হুদা উপজেলার ভৈরব নদেও।

এ বিষয়ে জানতে দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারুক মহলদারকে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, নদে আড়াআড়িভাবে বাঁধ মাছ ধরা অপরাধ। এই ধরনের কাজের সাথে যারা সম্পৃক্ত আছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

আপডেট সময় : ১২:৪৯:১৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদা উপজেলার মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদে অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ ও ম্যাজিক জাল পেতে পানির প্রবাহ আটকে দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। আইন অনুসারে, প্রবহমান কোনো জলাশয়ে কোনো ধরনের বাঁধ, স্থায়ী অবকাঠামো বা অন্য কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। জলাশয়ে পানির প্রবাহ ও মাছের চলাচল বাঁধ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করলে শাস্তির বিধান রয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, এই উপজেলায় মাথাভাঙ্গা নদ প্রায় ২৬ কিলোমিটার ও ভৈরব নদ ৫৮ কিলোমিটার রয়েছে। আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ার কারণে পলি এবং অন্যান্য পরিপোষক পদার্থ বিভিন্ন কাঠামোতে আটকে যাওয়ায় নদের পানিতে মিশে ছড়িয়ে যেতে পারছে না। ফলে পলি জমে নাব্যতা হারায়। তেমনি স্রোত বৃদ্ধি পেয়ে নদীর পাড় ভাঙনের সৃষ্টি হয়। অপর দিকে, কিছু প্রজাতির মাছ প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট স্থান খুঁজে থাকে, বাঁধের কারণে তারা গন্তব্যে পেঁৗছাতে পারে না, সেগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। এছাড়া কারেন্ট জালের কারণে বিলুপ্ত হতে বসেছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিষ্ণুপুর ব্রিজ, কেশবপুর, বাস্তপুর, রঘুনাথপুর, আমডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদের এসব এলাকায় বাঁধ, ম্যাজিক জাল কোমর, ভ্যাসাল দিয়ে অবৈধভাবে শিকার করা হচ্ছে মাছ। একই চিত্র দামুড়হুদা উপজেলার ভৈরব নদেও।

এ বিষয়ে জানতে দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারুক মহলদারকে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, নদে আড়াআড়িভাবে বাঁধ মাছ ধরা অপরাধ। এই ধরনের কাজের সাথে যারা সম্পৃক্ত আছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।