আন্দোলনে নিহত আফনান পেলেন জিপিএ-৪.১৭

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭২৬ বার পড়া হয়েছে

এইচএসসিতে জিপিএ-৪.১৭ পেয়ে কৃতকার্য হয়েছেন লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাদ আল আফনান পাটওয়ারী। তার এই অর্জন পরিবারের জন্য খুশির খবর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খুশির এই সময়ে হাসিখুশি থাকতে পারছেন না তার মাসহ স্বজনরা।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে আফনানের মা নাছিমা আক্তার ছেলের কৃতকার্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আফনান লক্ষ্মীপুর ভিক্টোরি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর গ্রামের বাস টার্মিনাল এলাকার মৃত সালেহ আহমেদের ছেলে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে আফনানের মা নাছিমা আক্তার বলেন, আফনানের ভালো ফলাফল আমার কাছে খুশির খবর। কিন্তু যাকে নিয়ে আমি খুশি উদযাপন করবো, সেতো আমার কাছে নেই। গুলি করে আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমার কোল শূন্য করে দিয়েছে। তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। এইচএসসি পাশের পর বিদেশে পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। আমি এখন বিদেশে পড়তে পাঠামু কারে? আমার আফনাননতো আমার কাছে নাই।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরের সমন্বয়ক আরমান হোসেন বলেন, কোটা বৈষম্য দূর করতে যারা আন্দোলন করেছেন তারা সবাই মেধাবী ছিলেন। মেধার স্বীকৃতি দেওয়া ও নেওয়ার জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। তাদের রক্ত ঢেলে দিয়েছে। শহীদ আফনান জিপিএ ৪.১৭ পেয়ে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে।

ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরের মাদাম ব্রিজ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ১৪ আগস্ট আফনানের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান করে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্দোলনে নিহত আফনান পেলেন জিপিএ-৪.১৭

আপডেট সময় : ০৮:৩১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

এইচএসসিতে জিপিএ-৪.১৭ পেয়ে কৃতকার্য হয়েছেন লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাদ আল আফনান পাটওয়ারী। তার এই অর্জন পরিবারের জন্য খুশির খবর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খুশির এই সময়ে হাসিখুশি থাকতে পারছেন না তার মাসহ স্বজনরা।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে আফনানের মা নাছিমা আক্তার ছেলের কৃতকার্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আফনান লক্ষ্মীপুর ভিক্টোরি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর গ্রামের বাস টার্মিনাল এলাকার মৃত সালেহ আহমেদের ছেলে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে আফনানের মা নাছিমা আক্তার বলেন, আফনানের ভালো ফলাফল আমার কাছে খুশির খবর। কিন্তু যাকে নিয়ে আমি খুশি উদযাপন করবো, সেতো আমার কাছে নেই। গুলি করে আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমার কোল শূন্য করে দিয়েছে। তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। এইচএসসি পাশের পর বিদেশে পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। আমি এখন বিদেশে পড়তে পাঠামু কারে? আমার আফনাননতো আমার কাছে নাই।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরের সমন্বয়ক আরমান হোসেন বলেন, কোটা বৈষম্য দূর করতে যারা আন্দোলন করেছেন তারা সবাই মেধাবী ছিলেন। মেধার স্বীকৃতি দেওয়া ও নেওয়ার জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। তাদের রক্ত ঢেলে দিয়েছে। শহীদ আফনান জিপিএ ৪.১৭ পেয়ে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে।

ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরের মাদাম ব্রিজ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ১৪ আগস্ট আফনানের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান করে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।