নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর থেকে সব ক্যাডারকে প্রত্যাহার করে অভিজ্ঞ নার্সদের পদায়নের এক দফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার থেকে আবারও কর্মবিরতি পালন করছেন নার্সরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ রোগী ও চিকিৎসকরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও স্বাভাবিক সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের একাধিক রোগীকে কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসা না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান নামের এক রোগী বলেন, ‘আমি সকাল ১০টা থেকে অপেক্ষা করছি, কিন্তু নার্সরা নেই। স্যালাইন দেয়ার প্রয়োজন হলেও কোনো সেবা পাচ্ছি না। আমার মতো অনেক রোগীই সমস্যায় পড়েছে।’
অপরদিকে সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমার অপারেশন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নার্সদের কর্মবিরতির কারণে তা আটকে গেছে। আমরা খুব কষ্টে আছি।’নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স, চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ও শিক্ষার্থীরা।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ চুয়াডাঙ্গা শাখার আহ্বায়ক রেহেনা বেগম বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। আজ চার ঘণ্টার কর্মবিরতি চলছে। তবে জরুরি বিভাগ এবং জরুরি প্রয়োজনে আমাদের পৃথক টিম প্রস্তুত রয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘এক দফা দাবি আদায়ে প্রায় এক মাস ধরে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমলা ও ক্যাডার অফিসারদের বাদ দিয়ে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে আমাদের নার্সদের মধ্য থেকে এসব পদে পদায়নের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরেকে ওএসডি করা হয়েছে। কিন্তু আমরা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে সব ক্যাডার প্রত্যাহার করে যোগ্য ও অভিজ্ঞদের পদায়নের দাবি না মানা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে।’
এদিকে, দাবি না মানা হলে আগামীকাল বুধবার তাঁরা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।