“সাজিদ আব্দুল্লাহকে পানিতে নয়, শ্বাসরোধে হত্যা — ফরেনসিক রিপোর্ট”

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহকে পানিতে ফেলার আগে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ফরেনসিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির কাছে ভিসেরা প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন পুলিশের সদস্যরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাজিদ আবদুল্লাহকে প্রথমে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং পরে তার মৃতদেহ পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত অনুযায়ী, মৃত্যুর সময় ও লাশ উদ্ধারের সময়ের মধ্যে অন্তত ৩০ ঘণ্টা ব্যবধান ছিল।

সাজিদ ছিলেন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের আবাসিক। তার লাশ হলের সামনের পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।

ফরেনসিক প্রতিবেদনের তথ্য ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন, ফলে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়াসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

“সাজিদ আব্দুল্লাহকে পানিতে নয়, শ্বাসরোধে হত্যা — ফরেনসিক রিপোর্ট”

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৪৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহকে পানিতে ফেলার আগে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ফরেনসিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির কাছে ভিসেরা প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন পুলিশের সদস্যরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাজিদ আবদুল্লাহকে প্রথমে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং পরে তার মৃতদেহ পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত অনুযায়ী, মৃত্যুর সময় ও লাশ উদ্ধারের সময়ের মধ্যে অন্তত ৩০ ঘণ্টা ব্যবধান ছিল।

সাজিদ ছিলেন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের আবাসিক। তার লাশ হলের সামনের পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।

ফরেনসিক প্রতিবেদনের তথ্য ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন, ফলে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়াসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন।