বেতন-ভাতার দাবিতে চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর লাইন সাহায্যকারী, কম্পিউটার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদের কর্মচারীরা কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল শনিবার সকাল থেকে কর্মবিরতি দিয়ে বিদ্যুৎ অফিস প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তারা বেতন-ভাতার দাবিতে নানা স্লোগান দেন। কর্মসূচিতে লাইন সাহায্যকারী শুকুর আলী, মনির মিয়া, কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা আশা, সাবিনা ইয়াসমিন, মামুনার রশিদ পূর্ণসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বছরের পর বছর বিদ্যুৎ অফিসে কাজ করলেও তারা বেতন-ভাতা পান না। অফিস টাইমের বাইরে কোথাও কাজে গেলে নামমাত্র পাওয়া টাকা দিয়ে তাদের সংসার চালাতে হয়। ঝুকিপূর্ণ এই কাজ করার কারণে অনেকেই মারা গেছে আবার অনেকের অঙ্গহানীও হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন-ভাতার কোনো ব্যবস্থা করেনি। তাই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এদিকে লাইন সহকারীদের কর্মবিরতি পালন করায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।
বক্তারা দাবি করেন, ওজোপাডিকোর অধীনে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগে ২১ জেলার পিচরেট ও লাইন সাহায্যকারী (গ্যাটিস) কর্মরত প্রায় ৫ শতাধিক কর্মচারীর বয়স শিথিল করে শূন্য কোঠায় চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে।
ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের পিচরেট ও সাহায্যকারী (গ্যাটিস) কর্মচারীবৃন্দের মধ্যে কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা আশা বলেন, ‘বিদ্যুৎ ডিপার্টমেন্টে যদি অনুসন্ধান চালানো যায় তাহলে খুঁজে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য। যেখানে কোনো জীবনের নিরাপত্তা নেই, কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে এটার দায়ভার কেউ নিতে চায় না এবং কেউ দুর্ঘটনায় আহত হলে খরচ বহন করা করার মতো কোনো ফান্ডও নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত দিনে যারা দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিল, তাদের চিকিৎসার জন্য নিজেদের ভেতর থেকে চাঁদা কালেকশন করে অল্প কিছু অর্থ তাদের পরিবারের সহযোগিতায় দেওয়া হয়, যা খুবই সীমিত। এভাবে আমরা বিভিন্ন দিক থেকে বৈষম্যের শিকার। আমরা খুবই মানবেতর জীবন পার করছি।’ বক্তারা, তাদের চাকরিকে স্থায়ীকরণ করার দাবি জানান।