শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

ফেসবুক লাইভে ছিলেন আলামিন, ১২ দিন পর মর্গে মিলল গুলিবিদ্ধ লাশ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:২০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৮৩ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয় মিছিলে গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন শরীয়তপুরের মীর মোহাম্মদ আল-আমীন। ১২ দিন পর তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ হাসপাতালের মর্গে খুঁজে পেয়েছেন স্বজনরা। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন, শহীদের তালিকায় নাম, পরিবারের ভরণপোষণ ও হত্যাকারীর বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের দক্ষিণ মগর এলাকার ইসমাইল মীর মালত ও জিয়াসমিন বেগমের  বড় ছেলে মীর মোহাম্মদ আল-আমীন (২৯)।

গত পাঁচ মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন তিনি। এরপর তিনি ঢাকাতেই থাকতেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর সাভার এলাকায় আনন্দ মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন আল-আমীন। এ সময় তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভ করছিলেন। হঠাৎ লাইভটি বন্ধ হওয়ার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। পরে বিভিন্ন হাসপাতালে খুঁজেও সন্ধানে মেলেনি তার। ১২ দিন পর শনিবার (১৭ আগস্ট) তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে খুঁজে পান স্বজনরা। পরে এ দিনই তাকে নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়।

নিহতের বন্ধু সরল বলেন, আমার বন্ধু প্রথম থেকেই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। এরপর গত ৫ আগস্ট বিজয়ে মিছিলে অংশ নিয়ে লাইভ করছিল। হঠাৎ লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে ওর কোনো সন্ধান পাইনি। অনেক হাসপাতালে ঘুরেছি। ১২ দিন পর ঢাকার একটি হাসপাতালের মর্গে ওর লাশ খুঁজে পাই। ওর কপালে গুলির ছিদ্র ছিল।

নিহতের ছোট বোন আফলান সিনথিয়া বলেন, আমার ভাই তো সশস্ত্র ছিল না। সে আনন্দে মিছিলে অংশ নিয়েছিল। আমার ভাইকে কেন এভাবে হত্যা করা হল। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। আমার ভাইকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হোক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ফেসবুক লাইভে ছিলেন আলামিন, ১২ দিন পর মর্গে মিলল গুলিবিদ্ধ লাশ

আপডেট সময় : ০৬:২৩:২০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয় মিছিলে গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন শরীয়তপুরের মীর মোহাম্মদ আল-আমীন। ১২ দিন পর তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ হাসপাতালের মর্গে খুঁজে পেয়েছেন স্বজনরা। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন, শহীদের তালিকায় নাম, পরিবারের ভরণপোষণ ও হত্যাকারীর বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের দক্ষিণ মগর এলাকার ইসমাইল মীর মালত ও জিয়াসমিন বেগমের  বড় ছেলে মীর মোহাম্মদ আল-আমীন (২৯)।

গত পাঁচ মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন তিনি। এরপর তিনি ঢাকাতেই থাকতেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর সাভার এলাকায় আনন্দ মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন আল-আমীন। এ সময় তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভ করছিলেন। হঠাৎ লাইভটি বন্ধ হওয়ার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। পরে বিভিন্ন হাসপাতালে খুঁজেও সন্ধানে মেলেনি তার। ১২ দিন পর শনিবার (১৭ আগস্ট) তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে খুঁজে পান স্বজনরা। পরে এ দিনই তাকে নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়।

নিহতের বন্ধু সরল বলেন, আমার বন্ধু প্রথম থেকেই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। এরপর গত ৫ আগস্ট বিজয়ে মিছিলে অংশ নিয়ে লাইভ করছিল। হঠাৎ লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে ওর কোনো সন্ধান পাইনি। অনেক হাসপাতালে ঘুরেছি। ১২ দিন পর ঢাকার একটি হাসপাতালের মর্গে ওর লাশ খুঁজে পাই। ওর কপালে গুলির ছিদ্র ছিল।

নিহতের ছোট বোন আফলান সিনথিয়া বলেন, আমার ভাই তো সশস্ত্র ছিল না। সে আনন্দে মিছিলে অংশ নিয়েছিল। আমার ভাইকে কেন এভাবে হত্যা করা হল। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। আমার ভাইকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হোক।