শিরোনাম :
Logo ইবিতে তারুণ্যের তত্ত্বাবধানে নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার এসআই মো. মাসুদ রানা জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা Logo শেরপুরের উন্নয়ন দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন ১৫ মে Logo ৩২বিঘা জমি ও প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে খু*ন। Logo নজরুল ও হাফিজের সাহিত্য নিয়ে রাবিতে মানবতা বিষয়ক সেমিনার Logo ছাত্রদল নেতা সাম্য’র হত্যাকারীদের দ্রুত গ্ৰেফতারের দাবিতে রাবি ছাত্রদলের অবস্থান Logo দ্বিতীয়দিনে অনড় অবস্থানে জবি শিক্ষার্থীরা;দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন Logo চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে আটি, গুটি ও বোম্বাই আম সংগ্রহ শুরু Logo চুয়াডাঙ্গার মাটিতে কালো আঙুর চাষ করে বাজিমাত কলেজছাত্র শামিমের

ঘুম ভাঙলো দুদকের

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:১৯:৪০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • ৭২৯ বার পড়া হয়েছে

চারদিকে সমালোচনার মুখে হঠাৎ করেই দুদক বিগত সরকারের দুর্নীতিবাজদের ধরতে তৎপর হয়েছে। একইদিনে প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে পুলিশের প্রভাবশালী একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি।

তালিকায় রয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল কিংবা বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদসহ অন্যরা। যদিও এসব অভিযোগ দীর্ঘদিন দুদকের পড়ে থাকলেও টনক নড়েনি কমিশনের।

বছরখানেক আগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের লন্ডনে আড়াইশো’ বাড়ি- টিআইবির প্রতিবেদনের মাধ্যমে সন্ধান মিললেও দুদকের টনক নড়েনি। অবশেষ তার দুর্নীতির ফিরিস্তির খোঁজে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি।

এদিকে মাত্র দেড় বছরে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সাড়ে ৪ লাখের মতো লোক মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে অবৈধভাবে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কামাল-নিজাম হাজারী সিন্ডিকেট।

দুদক বলছে, মালয়েশিয়ায় জনপ্রতি সরকারি খরচ ছিল ৭৯ হাজার টাকা, অথচ এই মাফিয়া সিন্ডিকেট গ্রামের হতদরিদ্র নিরীহ মানুষ থেকে জনপ্রতি সাড়ে ৫ লাখ টাকা করে নেয়। আর এদের নেতৃত্বে ছিলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্ত্রী কাশমেরী কামাল, মেয়ে নাফিসা কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য লে জে অব. মাসউদ উদ্দিন চৌধুরী, নীজাম উদ্দিন হাজারি এবং বেনজীর আহমেদ।

একইসাথে আওয়ামী সরকারের বিরাগভাজন ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে যখন তখন নির্যাতন ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

তবে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলছেন, দুদকে এসব অভিযোগের আগে থেকেই যাচাই বাছাইয়ে ছিল। প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে তারুণ্যের তত্ত্বাবধানে নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা

ঘুম ভাঙলো দুদকের

আপডেট সময় : ০৬:১৯:৪০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪

চারদিকে সমালোচনার মুখে হঠাৎ করেই দুদক বিগত সরকারের দুর্নীতিবাজদের ধরতে তৎপর হয়েছে। একইদিনে প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে পুলিশের প্রভাবশালী একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি।

তালিকায় রয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল কিংবা বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদসহ অন্যরা। যদিও এসব অভিযোগ দীর্ঘদিন দুদকের পড়ে থাকলেও টনক নড়েনি কমিশনের।

বছরখানেক আগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের লন্ডনে আড়াইশো’ বাড়ি- টিআইবির প্রতিবেদনের মাধ্যমে সন্ধান মিললেও দুদকের টনক নড়েনি। অবশেষ তার দুর্নীতির ফিরিস্তির খোঁজে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি।

এদিকে মাত্র দেড় বছরে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সাড়ে ৪ লাখের মতো লোক মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে অবৈধভাবে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কামাল-নিজাম হাজারী সিন্ডিকেট।

দুদক বলছে, মালয়েশিয়ায় জনপ্রতি সরকারি খরচ ছিল ৭৯ হাজার টাকা, অথচ এই মাফিয়া সিন্ডিকেট গ্রামের হতদরিদ্র নিরীহ মানুষ থেকে জনপ্রতি সাড়ে ৫ লাখ টাকা করে নেয়। আর এদের নেতৃত্বে ছিলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্ত্রী কাশমেরী কামাল, মেয়ে নাফিসা কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য লে জে অব. মাসউদ উদ্দিন চৌধুরী, নীজাম উদ্দিন হাজারি এবং বেনজীর আহমেদ।

একইসাথে আওয়ামী সরকারের বিরাগভাজন ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে যখন তখন নির্যাতন ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

তবে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলছেন, দুদকে এসব অভিযোগের আগে থেকেই যাচাই বাছাইয়ে ছিল। প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।