খুলনার কয়রা উপজেলার সুন্দরবন উপকূলবর্তী উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে অবস্থিত মডেল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে আছে। চিকিৎসক সংকট ও প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছেন।
এই পরিস্থিতি নিরসন এবং নিয়মিত চিকিৎসা সেবা চালুর দাবিতে সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উত্তর বেদকাশী মডেল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বেদকাশী ইয়ং ব্রাদার্স ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জি. এম. আফজাল, এবং পরিচালনা করেন সেক্রেটারি জহুরুল ইসলাম। এ সময় বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন রাতুল, বেদকাশী বাজার কমিটির কেশিয়ার আরিফুল ইসলাম, নমিতা মণ্ডল, সাবিনা খাতুন, মনিরুল ইসলাম ও মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ইউনিয়নে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও সেখানে চিকিৎসক ও ওষুধের তীব্র সংকট বিরাজ করছে। সরকারি তালিকায় বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণের কথা থাকলেও তা বাস্তবে কার্যকর নয়। ফলে বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্করা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন রাতুল বলেন,
আমাদের ইউনিয়নে একটি মডেল স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও কোনো কার্যকর সেবা পাওয়া যায় না। গর্ভবতী মায়েদের প্রেগন্যান্সি টেস্ট পর্যন্ত সঠিকভাবে হয় না, আর সরকারি তালিকায় থাকা ওষুধও আমরা পাই না।
এলাকাবাসী মানববন্ধন থেকে চার দফা দাবি তুলে ধরেন—
১️ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা।
২️ মা-শিশু ও বয়স্কদের সেবায় কার্যকর নজরদারি ও জবাবদিহিতা বাড়ানো।
৩️ প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার ও জনবল নিয়োগ দেওয়া।
৪️ ২৪ ঘণ্টা জরুরি চিকিৎসা সেবা ও নরমাল ডেলিভারি চালু রাখা।
বক্তারা বলেন, উত্তর বেদকাশীর মতো দুর্গম এলাকায় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যকর ভূমিকা অপরিহার্য। দাবি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তারা।
















































