শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

খাগড়াছড়ির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বন্যা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:০১:৪৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

২০০৭ সালের পর এ বছরে এসে আবারও স্মরণকালের বন্যা দেখা দিয়েছে খাগড়াছড়িতে। টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

চেঙ্গী নদীর দুই কুল উপচে পৌর এলাকার মুসলিমপাড়া, শান্তিনগর, বাঙ্গালকাটি, খবংপুড়য়া, রাজ্যমনিপাড়া, ফুটবিল, বটতলীসহ কয়েকটি এলাকার হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

শহরের পৌর বাস টার্মিনাল, নিচের বাজার ও আশপাশ এলাকা নিমজ্জিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

এছাড়া সদর উপজেলার কমলছড়ি ও গোলাবাড়ি ইউনিয়নের গঞ্জপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩০০ ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। রাস্তায় কোমর ও গলা সমান পানি থাকায় গ্রামবাসী গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন।

বিগত সময়গুলোতে টানা কয়েকদিনের বর্ষণে বন্যা হলেও এবার এক রাতের মুষলধারে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খাগড়াছড়ির অধিকাংশ এলাকা। সকালে নিচু এলাকা প্লাবিত হলেও দুপুরের পর থেকে অধিকাংশ এলাকা দ্রুত পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, বন্যায় পৌর এলাকার ৬-৭ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের জন্য ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া প্রত্যেকের জন্য খাবার ব্যবস্থা করছে পৌরসভা।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্গত ও পাহাড়ের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

খাগড়াছড়ির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বন্যা

আপডেট সময় : ১২:০১:৪৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩ আগস্ট ২০২৪

২০০৭ সালের পর এ বছরে এসে আবারও স্মরণকালের বন্যা দেখা দিয়েছে খাগড়াছড়িতে। টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

চেঙ্গী নদীর দুই কুল উপচে পৌর এলাকার মুসলিমপাড়া, শান্তিনগর, বাঙ্গালকাটি, খবংপুড়য়া, রাজ্যমনিপাড়া, ফুটবিল, বটতলীসহ কয়েকটি এলাকার হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

শহরের পৌর বাস টার্মিনাল, নিচের বাজার ও আশপাশ এলাকা নিমজ্জিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

এছাড়া সদর উপজেলার কমলছড়ি ও গোলাবাড়ি ইউনিয়নের গঞ্জপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩০০ ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। রাস্তায় কোমর ও গলা সমান পানি থাকায় গ্রামবাসী গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন।

বিগত সময়গুলোতে টানা কয়েকদিনের বর্ষণে বন্যা হলেও এবার এক রাতের মুষলধারে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খাগড়াছড়ির অধিকাংশ এলাকা। সকালে নিচু এলাকা প্লাবিত হলেও দুপুরের পর থেকে অধিকাংশ এলাকা দ্রুত পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, বন্যায় পৌর এলাকার ৬-৭ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের জন্য ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া প্রত্যেকের জন্য খাবার ব্যবস্থা করছে পৌরসভা।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্গত ও পাহাড়ের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।