বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল

সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে পেঁয়াজ, ডিমের দামও চড়া

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:০০:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • ৭৯১ বার পড়া হয়েছে

নীলকন্ঠ প্রতিবেদকঃ

বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিমের দাম এখন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। অথচ উৎপাদক খামারিদের কাছ থেকে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে ডিম কিনছেন পাইকাররা। সেই হিসাবে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমে দাম বেড়েছে ২৫ টাকা। বিষয়টিকে ‘অস্বাভাবিক’ উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বলেছে— পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই ডিমের দাম বাড়ছে।

এদিকে শতক ছাড়িয়েছে পেঁয়াজের দামে। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন— বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ভারত থেকে আমদানিও কমে গেছে। ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

অন্যদিকে শুধু ডিম-পেঁয়াজ নয়, বাজারে ঊর্ধ্বগতি অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও। যেমন- কাঁচা মরিচ। রান্নায় নিত্যদিনের এই অনুষঙ্গটির কেজি এখন ২৫০ টাকার বেশি। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে সবজির দামও।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, তালতলা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান— চলতি বছর পেঁয়াজের মৌসুম শুরুই হয়েছে উচ্চ দাম দিয়ে। ফেব্রুয়ারিতে মৌসুমের শুরু, সে সময় ঢাকায় নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়। মার্চে পেঁয়াজের দাম ছাড়িয়েছিল ১২০ টাকা। এপ্রিলে কিছুটা কমে আবার তা বাড়তে থাকে।

কোরবানি ঈদের সময় বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০-৯০ টাকা; যা এখন ১০০-১১০ টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ ১৫ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। এরমধ্যে শুধু গত তিন দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন— ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এ সময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। ফলে তুলনামূলক চাহিদা বেশ থাকায় একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজারে কোনো কারণে সরবরাহ কমলে; পণ্যের দাম বাড়তে পারে। তবে মূল সমস্যা মূল্যস্ফীতি। কারণ, উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে; কিন্তু আয় বাড়েনি। ফলে বাড়তি দামে পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এ জন্য মূল্যস্ফীতি কমানো ও মানুষের আয়-রোজগার বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে পেঁয়াজ, ডিমের দামও চড়া

আপডেট সময় : ০৩:০০:৪৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

নীলকন্ঠ প্রতিবেদকঃ

বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিমের দাম এখন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। অথচ উৎপাদক খামারিদের কাছ থেকে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে ডিম কিনছেন পাইকাররা। সেই হিসাবে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমে দাম বেড়েছে ২৫ টাকা। বিষয়টিকে ‘অস্বাভাবিক’ উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বলেছে— পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই ডিমের দাম বাড়ছে।

এদিকে শতক ছাড়িয়েছে পেঁয়াজের দামে। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন— বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ভারত থেকে আমদানিও কমে গেছে। ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

অন্যদিকে শুধু ডিম-পেঁয়াজ নয়, বাজারে ঊর্ধ্বগতি অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও। যেমন- কাঁচা মরিচ। রান্নায় নিত্যদিনের এই অনুষঙ্গটির কেজি এখন ২৫০ টাকার বেশি। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে সবজির দামও।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, তালতলা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান— চলতি বছর পেঁয়াজের মৌসুম শুরুই হয়েছে উচ্চ দাম দিয়ে। ফেব্রুয়ারিতে মৌসুমের শুরু, সে সময় ঢাকায় নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়। মার্চে পেঁয়াজের দাম ছাড়িয়েছিল ১২০ টাকা। এপ্রিলে কিছুটা কমে আবার তা বাড়তে থাকে।

কোরবানি ঈদের সময় বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০-৯০ টাকা; যা এখন ১০০-১১০ টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ ১৫ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। এরমধ্যে শুধু গত তিন দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন— ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এ সময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। ফলে তুলনামূলক চাহিদা বেশ থাকায় একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বাজারে কোনো কারণে সরবরাহ কমলে; পণ্যের দাম বাড়তে পারে। তবে মূল সমস্যা মূল্যস্ফীতি। কারণ, উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে; কিন্তু আয় বাড়েনি। ফলে বাড়তি দামে পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এ জন্য মূল্যস্ফীতি কমানো ও মানুষের আয়-রোজগার বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।