শিরোনাম :
Logo দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছি না: জ্বালানি উপদেষ্টা Logo সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড ইংল্যান্ডের বেথেলের Logo ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ভালো কিছুই দেখছে না ইউক্রেনীয়রা Logo প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ে নির্বাচন হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মাদ্রাসাতুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান অনুষ্ঠান Logo ইবিতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমীর পূজা-অর্চনা সম্পন্ন Logo শেরপুরে লোকাল বাসের চাপায় প্রাণ গেলো বৃদ্ধের Logo ছাত্র সংসদের দাবিতে আমরন অনশনে বসতে যাচ্ছে বেরোবি শিক্ষার্থীরা Logo যবিপ্রবিতে নানা কর্মসূচীতে জন্মাষ্টমী পালন Logo পলাশবাড়ীতে জন্মাষ্টমী পালিত

ঠাকুরগাঁওয়ে অল্প বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠে থৈ থৈ পানি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:০৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

নীলকন্ঠ ডেক্সঃ

অল্প বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠ যেন হয়ে যায় পুকুর। পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোনো ব্যবস্থাও। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা। বলছিলাম ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি দ্রুত সময়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার। এদিকে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বলছেন নেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

যান যায়, ১৯০৪ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়টির বর্তমান মাঠের অবস্থা যেন বেহাল। স্কুলে গিয়ে শিশুরা পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা করার কথা থাকলেও জলাবদ্ধতায় তা যেন নিরব। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জেলার সবচেয়ে বড় এই বিদ্যাপিঠের সামনের মাঠ দেখতে অনেকটা পুকুরের মতোই মনে হচ্ছে।

সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অল্প বৃষ্টিতেই মাঠে থৈ থৈ পানি। দূর থেকে দেখে পুকুর বলে মনে হয়। জলাবদ্ধ সেই পানিতে শিক্ষার্থীরা কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসাচ্ছে। অনেকে আবার বাসকেটবল খেলার স্থানে ফুটবল খেললেও যখন তখন ফুটবলটি নোংড়া পানিতে পড়ছে।

ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চয়নমরতন ও সালমান মুজাহিদ বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই মাঠ তলিয়ে যায়। যার ফলে আমাদের খেলাধুলা ও চলাফেরার ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমাদের কাপড় কাঁদা লাগে যায়।

জয়নাল ও মোস্তাফা নামের দুইজন অভিভাবক বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম, বৃষ্টি হলেই এই বিদ্যালয়ের মাঠটা পুকুরের মতো হয়ে যায়। এটা আজ নতুন নয়, আগেও এটা দেখেছি। এভাবে মাঠ জলাবদ্ধ হয়ে থাকলে তো শিশুদের জন্য সমস্যা। তাই দ্রুত সময়ে এই সমস্যার সমাধানের জোড় দাবি জানাই।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক (ডে শিফ্ট) জুয়েল আলম বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য আমরা ইতোমধ্যে কাজ চলমান রেখেছি। এটা শুধু ছাত্রদের সমস্যা নয় আমাদের সকলের সমস্যা। আশা করি দু-এক দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁও জিলা স্কুল পৌরসভার অংশ এবং স্কুল কতৃপক্ষ পৌর কর প্রতিবছর পরিশোধ করে। এ বিষয়ে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের জন্য ঠাকুরগাঁও পৌর কতৃপক্ষকে আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছি না: জ্বালানি উপদেষ্টা

ঠাকুরগাঁওয়ে অল্প বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠে থৈ থৈ পানি

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:০৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

নীলকন্ঠ ডেক্সঃ

অল্প বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠ যেন হয়ে যায় পুকুর। পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোনো ব্যবস্থাও। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা। বলছিলাম ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি দ্রুত সময়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার। এদিকে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বলছেন নেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

যান যায়, ১৯০৪ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়টির বর্তমান মাঠের অবস্থা যেন বেহাল। স্কুলে গিয়ে শিশুরা পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা করার কথা থাকলেও জলাবদ্ধতায় তা যেন নিরব। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জেলার সবচেয়ে বড় এই বিদ্যাপিঠের সামনের মাঠ দেখতে অনেকটা পুকুরের মতোই মনে হচ্ছে।

সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অল্প বৃষ্টিতেই মাঠে থৈ থৈ পানি। দূর থেকে দেখে পুকুর বলে মনে হয়। জলাবদ্ধ সেই পানিতে শিক্ষার্থীরা কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসাচ্ছে। অনেকে আবার বাসকেটবল খেলার স্থানে ফুটবল খেললেও যখন তখন ফুটবলটি নোংড়া পানিতে পড়ছে।

ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চয়নমরতন ও সালমান মুজাহিদ বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই মাঠ তলিয়ে যায়। যার ফলে আমাদের খেলাধুলা ও চলাফেরার ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমাদের কাপড় কাঁদা লাগে যায়।

জয়নাল ও মোস্তাফা নামের দুইজন অভিভাবক বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম, বৃষ্টি হলেই এই বিদ্যালয়ের মাঠটা পুকুরের মতো হয়ে যায়। এটা আজ নতুন নয়, আগেও এটা দেখেছি। এভাবে মাঠ জলাবদ্ধ হয়ে থাকলে তো শিশুদের জন্য সমস্যা। তাই দ্রুত সময়ে এই সমস্যার সমাধানের জোড় দাবি জানাই।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক (ডে শিফ্ট) জুয়েল আলম বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য আমরা ইতোমধ্যে কাজ চলমান রেখেছি। এটা শুধু ছাত্রদের সমস্যা নয় আমাদের সকলের সমস্যা। আশা করি দু-এক দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁও জিলা স্কুল পৌরসভার অংশ এবং স্কুল কতৃপক্ষ পৌর কর প্রতিবছর পরিশোধ করে। এ বিষয়ে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের জন্য ঠাকুরগাঁও পৌর কতৃপক্ষকে আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।