শিরোনাম :
Logo তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইনসাফভিত্তিক মানবতাবাদী বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকারঃ মোশাররফ হোসেন মিয়াজী Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির বিশাল বিজয় র‌্যালি Logo জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিতে ইবিতে সংগ্রহশালা উদ্বোধন Logo ৫ ই আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কয়রা থানা বিএনপি’র বিজয় মিছিল Logo জুলাই শহীদদের রক্ত শুধু অতীত নয়, পথচলার অঙ্গীকার : জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন Logo গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন নতুন বাংলাদেশে নব্য ফ্যাসিবাদের ঠাঁই হবে না : হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে কচুয়ায় জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ Logo লস্কর সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তরুণ ও মেধাবী অভিনেতা জাহাঙ্গীর রাজু Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল Logo তালাকের ক্ষোভে জামাতার বিরুদ্ধে শাশুড়ির ধর্ষণ মামলা

‘ঘরে ঘরে গিয়ে রোগী খোঁজা হলেই স্বাস্থ্যবিধি মানবে মানুষ’

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:৩৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জন মারা গেছেন। নতুন করে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৮৯ জন। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে শনাক্ত চার লাখ ১৮ হাজার ৭৬৪। মারা গেলেন ছয় হাজার ৪৯ জন।

সামনে শীতের মৌসুম। আশঙ্কা দ্বিতীয় ঢেউয়ের। অথচ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আশঙ্কাজনক হারে কমেছে পরীক্ষার সংখ্যাও। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার শুরুতে যেসব ভুল হয়েছিল, এবার যেন সেটা না হয়।
৮ মার্চ তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মে’র মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই রোগী শনাক্তের হার চলে যায় ২০ শতাংশের ওপরে। চলতে থাকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে থাকে। প্রায় এক মাসের বেশি সময় থেকেই শনাক্তের হার ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে ছিল। তবে গত ২ নভেম্বর রোগী শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশে। এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
‘দেশে করোনা মহামারির নবম মাস শুরু হলো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আবারও লকডাউন দিয়েছে। আমাদেরও এপ্রিলের মতো লকডাউনে যেতে হবে। যত কষ্টই হোক না কেন। আরও কিছুদিন বাঁচার ইচ্ছে থাকলে এই কষ্টটুকু করতেই হবে।’ বললেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা।
সব জেলায় পরীক্ষাগার নেই ৮ মাসেও
মহামারির শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে এসেছে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক শর্ত ‘টেস্ট, টেস্ট এবং টেস্ট’। পরীক্ষা যত বেশি হবে আক্রান্তও তত শনাক্ত হবে। কিন্তু প্রাদুর্ভাবের আট মাস পরেও দেশের সব জেলায় নমুনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করা যায়নি। মাত্র ২৭টি জেলায় পরীক্ষা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে দেশে ১১৪টি পরীক্ষাগার থাকার কথা উল্লেখ করা হলেও অনেক ল্যাব বন্ধ থাকছে। গত ২৪ অক্টোবর ৩৪টি পরীক্ষাগারে কোনও পরীক্ষা হয়নি।
শুরু হয়নি অ্যান্টিবডি টেস্ট
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি একাধিকবার র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরুর সুপারিশ করেছে। সরকার অ্যান্টিবডি টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গত ২৪ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন। কিন্তু পাঁচ মাস পরও অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু হয়নি।
অ্যান্টিবডি টেস্ট কবে শুরু হবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কিট না আসলে কী করে হবে? সেগুলো আমদানি যখন হবে, তখন হবে।’
আইসোলেশন না হলে নিয়ন্ত্রণ হবে না
রোগী শনাক্ত করার পরের ধাপ হলো তাকে বিচ্ছিন্ন (আইসোলেশন) করে তার সংস্পর্শে আসা মানুষদের চিহ্নিত করা ও তাদের কোয়ারেন্টিন (সঙ্গনিরোধ) করা। গত কয়েক সপ্তাহে আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা কমেছে আশ্চর্যজনক হারে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন মাত্র ৪৬২ জন, আইসোলেশনে ১৩৯ জন।
কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’-এর কথা বলা হলেও তার প্রয়োগ বাড়েনি। দোকান মালিক সমিতি বলেছে, নো মাস্ক নো সেল। এগুলো সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা, তার কঠোর মনিটরিং দরকার।
ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ইউরোপসহ অনেক দেশে সেকেন্ড ওয়েভ চলছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অনেক ফ্লাইট চালু হবে। কিন্তু বিমানবন্দরগুলোতে যদি স্ক্রিনিং না করা হয়, বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টিন না করা হয়, তাহলে কী অবস্থা হবে, সেটা ভবিষ্যৎই বলে দেবে।
শুরুতে প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল বললেন আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক এবং তাত্ত্বিক প্রস্তুতি ছিল। এরকম মহামারির কথা মাথায় রেখে প্রশিক্ষণসহ অনেক কিছু হয়েছে। কিন্তু সে কাজে আইইডিসিআরসহ অভিজ্ঞদের জড়িয়ে যদি নানা ধরনের সম্পদের সমন্বয় ঘটানো যেতো তবে আরও ভালো কাজ হতো। কিন্তু সেভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। আইইডিসিআরের পক্ষে এত বড় বিষয় সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। তারা হলো কোর ফাংশনের কেন্দ্রীয় ইনস্টিটিউট। পরে এখানে যারা কমান্ড নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তারা সেটা ঠিকমতো করতে পারেননি।’
‘পেশাগতভাবে যারা প্রস্তুত নন, এ বিষয়ে অভিজ্ঞ নন, তারা একসময় মহামারির নিয়ন্ত্রণভার নিলেন। কিন্তু এখানে বিশেষজ্ঞদের রাখতে হবে কেন্দ্রে। মহামারির সময় যোগ্য নেতৃত্বকে সামনে আসতে হবে। তিনি মানুষকে অভয় দেবেন। কথা বলবেন। কিন্তু এখন সামনে কেউ নেই। কেবল একটা প্রেস রিলিজ দেওয়া হচ্ছে।’
ডা. মুশতাক আরও বললেন, ‘মানুষ যেন করোনার লক্ষণে ভুগলে নির্ভয়ে টেস্ট করতে আসতে পারে, সে পরিবেশ তৈরি করা যায়নি। গণমানুষকে এ কাজে সম্পৃক্ত করতে পারলে এবং ঘরে ঘরে গিয়ে রোগী খোঁজা হলেই স্বাস্থ্যবিধি মানবে মানুষ।’ যোগ করেন ডা. মুশতাক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইনসাফভিত্তিক মানবতাবাদী বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকারঃ মোশাররফ হোসেন মিয়াজী

‘ঘরে ঘরে গিয়ে রোগী খোঁজা হলেই স্বাস্থ্যবিধি মানবে মানুষ’

আপডেট সময় : ০১:৪৮:৩৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্ক:করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জন মারা গেছেন। নতুন করে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৮৯ জন। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে শনাক্ত চার লাখ ১৮ হাজার ৭৬৪। মারা গেলেন ছয় হাজার ৪৯ জন।

সামনে শীতের মৌসুম। আশঙ্কা দ্বিতীয় ঢেউয়ের। অথচ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আশঙ্কাজনক হারে কমেছে পরীক্ষার সংখ্যাও। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার শুরুতে যেসব ভুল হয়েছিল, এবার যেন সেটা না হয়।
৮ মার্চ তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মে’র মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই রোগী শনাক্তের হার চলে যায় ২০ শতাংশের ওপরে। চলতে থাকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে থাকে। প্রায় এক মাসের বেশি সময় থেকেই শনাক্তের হার ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে ছিল। তবে গত ২ নভেম্বর রোগী শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশে। এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
‘দেশে করোনা মহামারির নবম মাস শুরু হলো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আবারও লকডাউন দিয়েছে। আমাদেরও এপ্রিলের মতো লকডাউনে যেতে হবে। যত কষ্টই হোক না কেন। আরও কিছুদিন বাঁচার ইচ্ছে থাকলে এই কষ্টটুকু করতেই হবে।’ বললেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা।
সব জেলায় পরীক্ষাগার নেই ৮ মাসেও
মহামারির শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে এসেছে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক শর্ত ‘টেস্ট, টেস্ট এবং টেস্ট’। পরীক্ষা যত বেশি হবে আক্রান্তও তত শনাক্ত হবে। কিন্তু প্রাদুর্ভাবের আট মাস পরেও দেশের সব জেলায় নমুনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করা যায়নি। মাত্র ২৭টি জেলায় পরীক্ষা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে দেশে ১১৪টি পরীক্ষাগার থাকার কথা উল্লেখ করা হলেও অনেক ল্যাব বন্ধ থাকছে। গত ২৪ অক্টোবর ৩৪টি পরীক্ষাগারে কোনও পরীক্ষা হয়নি।
শুরু হয়নি অ্যান্টিবডি টেস্ট
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি একাধিকবার র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরুর সুপারিশ করেছে। সরকার অ্যান্টিবডি টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গত ২৪ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন। কিন্তু পাঁচ মাস পরও অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু হয়নি।
অ্যান্টিবডি টেস্ট কবে শুরু হবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কিট না আসলে কী করে হবে? সেগুলো আমদানি যখন হবে, তখন হবে।’
আইসোলেশন না হলে নিয়ন্ত্রণ হবে না
রোগী শনাক্ত করার পরের ধাপ হলো তাকে বিচ্ছিন্ন (আইসোলেশন) করে তার সংস্পর্শে আসা মানুষদের চিহ্নিত করা ও তাদের কোয়ারেন্টিন (সঙ্গনিরোধ) করা। গত কয়েক সপ্তাহে আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা কমেছে আশ্চর্যজনক হারে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন মাত্র ৪৬২ জন, আইসোলেশনে ১৩৯ জন।
কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’-এর কথা বলা হলেও তার প্রয়োগ বাড়েনি। দোকান মালিক সমিতি বলেছে, নো মাস্ক নো সেল। এগুলো সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা, তার কঠোর মনিটরিং দরকার।
ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ইউরোপসহ অনেক দেশে সেকেন্ড ওয়েভ চলছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অনেক ফ্লাইট চালু হবে। কিন্তু বিমানবন্দরগুলোতে যদি স্ক্রিনিং না করা হয়, বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টিন না করা হয়, তাহলে কী অবস্থা হবে, সেটা ভবিষ্যৎই বলে দেবে।
শুরুতে প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল বললেন আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক এবং তাত্ত্বিক প্রস্তুতি ছিল। এরকম মহামারির কথা মাথায় রেখে প্রশিক্ষণসহ অনেক কিছু হয়েছে। কিন্তু সে কাজে আইইডিসিআরসহ অভিজ্ঞদের জড়িয়ে যদি নানা ধরনের সম্পদের সমন্বয় ঘটানো যেতো তবে আরও ভালো কাজ হতো। কিন্তু সেভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। আইইডিসিআরের পক্ষে এত বড় বিষয় সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। তারা হলো কোর ফাংশনের কেন্দ্রীয় ইনস্টিটিউট। পরে এখানে যারা কমান্ড নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তারা সেটা ঠিকমতো করতে পারেননি।’
‘পেশাগতভাবে যারা প্রস্তুত নন, এ বিষয়ে অভিজ্ঞ নন, তারা একসময় মহামারির নিয়ন্ত্রণভার নিলেন। কিন্তু এখানে বিশেষজ্ঞদের রাখতে হবে কেন্দ্রে। মহামারির সময় যোগ্য নেতৃত্বকে সামনে আসতে হবে। তিনি মানুষকে অভয় দেবেন। কথা বলবেন। কিন্তু এখন সামনে কেউ নেই। কেবল একটা প্রেস রিলিজ দেওয়া হচ্ছে।’
ডা. মুশতাক আরও বললেন, ‘মানুষ যেন করোনার লক্ষণে ভুগলে নির্ভয়ে টেস্ট করতে আসতে পারে, সে পরিবেশ তৈরি করা যায়নি। গণমানুষকে এ কাজে সম্পৃক্ত করতে পারলে এবং ঘরে ঘরে গিয়ে রোগী খোঁজা হলেই স্বাস্থ্যবিধি মানবে মানুষ।’ যোগ করেন ডা. মুশতাক।