বৃহস্পতিবার | ৬ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা Logo ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ও বেরোবির মাঝে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত Logo চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে ২ রোহিঙ্গা নারী আটক Logo বাংলাদেশ থেকে শুভারম্ভন হলো ‘ফোবানার ৪০ তম বর্ষপূর্তি উৎসব আয়োজন Logo বাবার কবর জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জরুরী সভা! Logo শ্লীলতাহানির মামলা করে ফের শ্লীলতাহানির শিকার ঝিনাইদহের নারী Logo ঝিনাইদহে পিকাপের ধাক্কায় নসিমন ড্রাইভার নিহত Logo ইবিতে সাংবাদিক মারধর—তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার, নয়জনকে সতর্ক বার্তা Logo হাপানীয়া যুব সংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে ঝুড়ি বিতরণ

বাড়ি যাওয়া হলো না ফাঁসির আসামি মিন্নির

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৩:০৭:০৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বরগুনার রিফাত হত্যায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মিন্নি সহ ছয়জনকে ফাঁসির আদেশ দিলেও মুক্তি পায় আরো চারজন।

আজ বুধবার মিন্নি তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের সাথে সকাল পৌনে ৯টার দিকে আদালতে হাজির হন। এসময় মিন্নির মুখে সাদা মাস্ক ও সাদা থ্রিপিছ পরিহিত ছিলেন। প্রত্যেক দিন আদালত থেকে কাজ শেষ করে বাবার সাথে মোটরসাইকেলে চেপে বাড়ি গেলেও আজ ফাঁসির আসামি হয়ে পুলিশ ভ্যানে করে যেতে হচ্ছে জেলখানায়।

অন্যান্য দিন মিন্নিকে সাথে নিয়ে তার বাবা বের হলেও আজ মিন্নিকে ছাড়াই আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন তিনি। মিন্নি এতদিন তার আইনজীবীর হেফাজতে জামিনে ছিলেন। আজ তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে মানুষের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়।

ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা

বাড়ি যাওয়া হলো না ফাঁসির আসামি মিন্নির

আপডেট সময় : ০৩:০৭:০৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

বরগুনার রিফাত হত্যায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মিন্নি সহ ছয়জনকে ফাঁসির আদেশ দিলেও মুক্তি পায় আরো চারজন।

আজ বুধবার মিন্নি তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের সাথে সকাল পৌনে ৯টার দিকে আদালতে হাজির হন। এসময় মিন্নির মুখে সাদা মাস্ক ও সাদা থ্রিপিছ পরিহিত ছিলেন। প্রত্যেক দিন আদালত থেকে কাজ শেষ করে বাবার সাথে মোটরসাইকেলে চেপে বাড়ি গেলেও আজ ফাঁসির আসামি হয়ে পুলিশ ভ্যানে করে যেতে হচ্ছে জেলখানায়।

অন্যান্য দিন মিন্নিকে সাথে নিয়ে তার বাবা বের হলেও আজ মিন্নিকে ছাড়াই আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন তিনি। মিন্নি এতদিন তার আইনজীবীর হেফাজতে জামিনে ছিলেন। আজ তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে মানুষের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়।

ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।