শিরোনাম :
Logo ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo অছাত্র ও ছাত্রলীগের দোসর দিয়ে কমিটি গঠনের প্রতিবাদে শহিদ স্মৃতি কলেজে ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo বিচারহীনতার প্রতিবাদে ইবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মিছিল Logo নাব্যতা হারিয়ে ঝালকাঠির খরশ্রোতা বাসন্ডা নদী খালে পরিনত হচ্ছে, খননের দাবী এলাকাবাসীর Logo এফডিসির গেইটে রান্না করে গোয়ার সিনেমার প্রচার,নজির গড়লেন নায়ক রাসেল মিয়া Logo কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে প্যাপিরাস পাঠাগারের সাহিত্য আড্ডা Logo বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হলো জেনরা ফ্যাশন ওডিসি ২০২৫ Logo চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ৩১ বাংলাদেশী নারী-পুরুষ, শিশুকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ Logo বাংলাদেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিকে আইএমএফের প্রশংসা

শৈলকুপায় চেয়ারম্যানকে মারধরের ঘটনায় এসআই সাখাওয়াত প্রত্যাহার

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:০১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ বুধবার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। মারধরে অভিযুক্ত শৈলকুপা থানার এসআই সাখাওয়াত হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মাহমুদুল হাসান মামুন সারুটিয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি পরপর দুই বার নৌকা প্রতীক নিয়ে সারুটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ৬নং সারুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনের প্রতিপক্ষ জুলফিকার কাইসার টিপুর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল।

সোমবার রাতে মামুনের সমর্থক পুরাতন বাখরবা গ্রামের মিনান নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আহত করেন। তারা ওই রাতেই একই গ্রামের মওলার বাড়িতে হামলা করে বেশ কয়েকজনকে আহত করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর চেয়ারম্যান মামুন রাতে আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান। সেসময় শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে তার সঙ্গে থাকা কর্মী ও স্থানীয়দের পুলিশ ধরে গাড়িতে তোলে। চেয়ারম্যান মামুন এগিয়ে যাওয়া মাত্রই এসআই সাখাওয়াত তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন।

এ সময় এসআই রফিক ও এএসআই রেজওয়ানুলসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা লাথি-ঘুষি মেরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ধাক্কা দিয়ে চেয়ারম্যান মামুনকে তাদের গাড়িতে তোলে। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশ গাড়ি থেকে তাকে নামিয়ে দেয়। বাকিদেরকে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন অভিযোগ করে বলেন, আমার ওপর হামলাটা ঝড়ের মতো হয়েছে। নেতাকর্মীদর পুলিশ নিয়ে যাচ্ছিল, তখন সেখানে যেতেই পুলিশ আমাকে মারধর করলো।

এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। পুলিশের ভয়ে বর্তমানে আমি এলাকা ছাড়া। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পরপরই শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম আমাকে ফোন করে হুমকি-ধমকি দিয়ে বলেন-‘ আপনার কপাল ভালো আমি সেসময় সামনে ছিলাম না। যদি থাকতাম তাহলে সবার আগে আপনার হাতেই হাতকড়া পড়তো।’ যার কল রেকর্ডিং আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সহকারী এসপি (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার পরপরই এসপি স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত এসআই সাখাওয়াতকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি পাবলিক প্লেসে এমন ঘটনার জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত চলমান আছে। যেটি সরাসরি এসপি স্যার তদারকি করছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী

শৈলকুপায় চেয়ারম্যানকে মারধরের ঘটনায় এসআই সাখাওয়াত প্রত্যাহার

আপডেট সময় : ০৮:২৭:০১ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজ বুধবার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। মারধরে অভিযুক্ত শৈলকুপা থানার এসআই সাখাওয়াত হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মাহমুদুল হাসান মামুন সারুটিয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি পরপর দুই বার নৌকা প্রতীক নিয়ে সারুটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ৬নং সারুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনের প্রতিপক্ষ জুলফিকার কাইসার টিপুর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল।

সোমবার রাতে মামুনের সমর্থক পুরাতন বাখরবা গ্রামের মিনান নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আহত করেন। তারা ওই রাতেই একই গ্রামের মওলার বাড়িতে হামলা করে বেশ কয়েকজনকে আহত করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর চেয়ারম্যান মামুন রাতে আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান। সেসময় শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে তার সঙ্গে থাকা কর্মী ও স্থানীয়দের পুলিশ ধরে গাড়িতে তোলে। চেয়ারম্যান মামুন এগিয়ে যাওয়া মাত্রই এসআই সাখাওয়াত তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন।

এ সময় এসআই রফিক ও এএসআই রেজওয়ানুলসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা লাথি-ঘুষি মেরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ধাক্কা দিয়ে চেয়ারম্যান মামুনকে তাদের গাড়িতে তোলে। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশ গাড়ি থেকে তাকে নামিয়ে দেয়। বাকিদেরকে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন অভিযোগ করে বলেন, আমার ওপর হামলাটা ঝড়ের মতো হয়েছে। নেতাকর্মীদর পুলিশ নিয়ে যাচ্ছিল, তখন সেখানে যেতেই পুলিশ আমাকে মারধর করলো।

এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। পুলিশের ভয়ে বর্তমানে আমি এলাকা ছাড়া। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পরপরই শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম আমাকে ফোন করে হুমকি-ধমকি দিয়ে বলেন-‘ আপনার কপাল ভালো আমি সেসময় সামনে ছিলাম না। যদি থাকতাম তাহলে সবার আগে আপনার হাতেই হাতকড়া পড়তো।’ যার কল রেকর্ডিং আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সহকারী এসপি (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার পরপরই এসপি স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত এসআই সাখাওয়াতকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি পাবলিক প্লেসে এমন ঘটনার জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত চলমান আছে। যেটি সরাসরি এসপি স্যার তদারকি করছেন।