সোমবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল Logo সুদানের আবেই শান্তিরক্ষা মিশনের ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্যের রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ীতে Logo ৪৭৫ কোটি টাকা ‘জলে’: খনন শেষ হতেই ভরাট সাতক্ষীরার নদী-খাল ​জলাবদ্ধতা কাটেনি, উল্টো সেচ সংকটে কৃষক ও ঘেরমালিকরা ​ Logo খুবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স ও পিএইচডি ভর্তি শুরু

যুদ্ধাপরাধীর জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ না করায় বিএনপির উপর আস্থা হারিয়েছে দেশের জনগণ

  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:৫৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ আগস্ট ২০২০
  • ৭৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

যুদ্ধাপরাধীর তকমা লাগা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ না করায় অনেক আগেই বিএনপির উপর আস্থা হারিয়েছে দেশের জনগণ। তবে জনসম্পৃক্ততার কথা চিন্তা না করে এরইমধ্যে জামায়াত ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বিএনপি নেতারা।

সম্প্রতি দলটির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

বিএনপির একটি পক্ষ মনে করছেন- ভোট ও রাজনীতির মাঠে জামায়াতের গুরুত্ব বিএনপির কাছে অনেক বেশি। আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির চেয়ে জামাত-শিবিরের সদস্যরা বেশি সক্রিয়। তাই জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করা বিএনপির একটি ভুল সিদ্ধান্ত হবে।

দলটির অপর অংশের নেতারা মনে করেন- যুদ্ধাপরাধীর তকমা থাকায় জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করলে জনগণ সেই আন্দোলনে সাড়া দেয় না। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে জোট করায় দেশের মানুষ বিএনপিকে ভালো চোখে দেখে না। ফলে যতদিন না পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীর তকমা গায়ে থেকে না সরবে ততদিন পর্যন্ত বিএনপি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে না। তাই সবার আগে বিএনপির উচিত জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে আন্দোলনের নামে জামায়াত-বিএনপি ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। জামায়াতের সেই বীভৎস কর্মকাণ্ড মানুষ এখনো ভুলেনি।

তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই জামায়াতের সঙ্গে থাকতে চান না। তবে তাদের সঙ্গে রাজনীতি করার মত বিএনপিতে অনেক লোক হয়েছে। যার ফলে এই ইস্যুতে এখন দলীয় নেতাদের মধ্যে এক প্রকার দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবী বলেন, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত জনসম্পৃক্ততা অর্জন করা। জনগণের ভাষা বোঝা।

তারা বলেন, যে দল জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে না, সে দল রাজনীতিতে বেশি দূর এগোতে পারে না। জনগণ চায় না বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে সখ্যতা রাখুক। দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের দল দেখতে চায় না। বিএনপির উচিত এখনই জামায়াত সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির

যুদ্ধাপরাধীর জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ না করায় বিএনপির উপর আস্থা হারিয়েছে দেশের জনগণ

আপডেট সময় : ১২:৪৩:৫৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

যুদ্ধাপরাধীর তকমা লাগা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ না করায় অনেক আগেই বিএনপির উপর আস্থা হারিয়েছে দেশের জনগণ। তবে জনসম্পৃক্ততার কথা চিন্তা না করে এরইমধ্যে জামায়াত ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বিএনপি নেতারা।

সম্প্রতি দলটির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

বিএনপির একটি পক্ষ মনে করছেন- ভোট ও রাজনীতির মাঠে জামায়াতের গুরুত্ব বিএনপির কাছে অনেক বেশি। আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির চেয়ে জামাত-শিবিরের সদস্যরা বেশি সক্রিয়। তাই জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করা বিএনপির একটি ভুল সিদ্ধান্ত হবে।

দলটির অপর অংশের নেতারা মনে করেন- যুদ্ধাপরাধীর তকমা থাকায় জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করলে জনগণ সেই আন্দোলনে সাড়া দেয় না। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে জোট করায় দেশের মানুষ বিএনপিকে ভালো চোখে দেখে না। ফলে যতদিন না পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীর তকমা গায়ে থেকে না সরবে ততদিন পর্যন্ত বিএনপি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে না। তাই সবার আগে বিএনপির উচিত জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে আন্দোলনের নামে জামায়াত-বিএনপি ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। জামায়াতের সেই বীভৎস কর্মকাণ্ড মানুষ এখনো ভুলেনি।

তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই জামায়াতের সঙ্গে থাকতে চান না। তবে তাদের সঙ্গে রাজনীতি করার মত বিএনপিতে অনেক লোক হয়েছে। যার ফলে এই ইস্যুতে এখন দলীয় নেতাদের মধ্যে এক প্রকার দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবী বলেন, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত জনসম্পৃক্ততা অর্জন করা। জনগণের ভাষা বোঝা।

তারা বলেন, যে দল জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে না, সে দল রাজনীতিতে বেশি দূর এগোতে পারে না। জনগণ চায় না বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে সখ্যতা রাখুক। দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের দল দেখতে চায় না। বিএনপির উচিত এখনই জামায়াত সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া।