শিরোনাম :
Logo জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা Logo দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদকের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ! Logo গল্লামারী মৎস্য খামার হস্তান্তরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খুবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি Logo ইবিতে হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি Logo খুবির আবাসন সংকট ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির সভাপতি নিতু, সাধারণ সম্পাদক রিদয় Logo ডাঃ আব্দুল হাই ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ৯৩ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি সনদ ও নগদ সহায়তা প্রদান Logo সিরাজগঞ্জে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল! প্রশাসনের তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ Logo আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জবির ফিন্যান্স ১৭তম ব্যাচের সহপাঠীদের বিবৃতি

যুদ্ধাপরাধীর জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ না করায় বিএনপির উপর আস্থা হারিয়েছে দেশের জনগণ

  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:৫৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ আগস্ট ২০২০
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

যুদ্ধাপরাধীর তকমা লাগা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ না করায় অনেক আগেই বিএনপির উপর আস্থা হারিয়েছে দেশের জনগণ। তবে জনসম্পৃক্ততার কথা চিন্তা না করে এরইমধ্যে জামায়াত ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বিএনপি নেতারা।

সম্প্রতি দলটির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

বিএনপির একটি পক্ষ মনে করছেন- ভোট ও রাজনীতির মাঠে জামায়াতের গুরুত্ব বিএনপির কাছে অনেক বেশি। আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির চেয়ে জামাত-শিবিরের সদস্যরা বেশি সক্রিয়। তাই জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করা বিএনপির একটি ভুল সিদ্ধান্ত হবে।

দলটির অপর অংশের নেতারা মনে করেন- যুদ্ধাপরাধীর তকমা থাকায় জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করলে জনগণ সেই আন্দোলনে সাড়া দেয় না। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে জোট করায় দেশের মানুষ বিএনপিকে ভালো চোখে দেখে না। ফলে যতদিন না পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীর তকমা গায়ে থেকে না সরবে ততদিন পর্যন্ত বিএনপি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে না। তাই সবার আগে বিএনপির উচিত জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে আন্দোলনের নামে জামায়াত-বিএনপি ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। জামায়াতের সেই বীভৎস কর্মকাণ্ড মানুষ এখনো ভুলেনি।

তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই জামায়াতের সঙ্গে থাকতে চান না। তবে তাদের সঙ্গে রাজনীতি করার মত বিএনপিতে অনেক লোক হয়েছে। যার ফলে এই ইস্যুতে এখন দলীয় নেতাদের মধ্যে এক প্রকার দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবী বলেন, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত জনসম্পৃক্ততা অর্জন করা। জনগণের ভাষা বোঝা।

তারা বলেন, যে দল জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে না, সে দল রাজনীতিতে বেশি দূর এগোতে পারে না। জনগণ চায় না বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে সখ্যতা রাখুক। দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের দল দেখতে চায় না। বিএনপির উচিত এখনই জামায়াত সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা

যুদ্ধাপরাধীর জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ না করায় বিএনপির উপর আস্থা হারিয়েছে দেশের জনগণ

আপডেট সময় : ১২:৪৩:৫৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

যুদ্ধাপরাধীর তকমা লাগা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ না করায় অনেক আগেই বিএনপির উপর আস্থা হারিয়েছে দেশের জনগণ। তবে জনসম্পৃক্ততার কথা চিন্তা না করে এরইমধ্যে জামায়াত ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বিএনপি নেতারা।

সম্প্রতি দলটির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

বিএনপির একটি পক্ষ মনে করছেন- ভোট ও রাজনীতির মাঠে জামায়াতের গুরুত্ব বিএনপির কাছে অনেক বেশি। আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির চেয়ে জামাত-শিবিরের সদস্যরা বেশি সক্রিয়। তাই জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করা বিএনপির একটি ভুল সিদ্ধান্ত হবে।

দলটির অপর অংশের নেতারা মনে করেন- যুদ্ধাপরাধীর তকমা থাকায় জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করলে জনগণ সেই আন্দোলনে সাড়া দেয় না। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে জোট করায় দেশের মানুষ বিএনপিকে ভালো চোখে দেখে না। ফলে যতদিন না পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীর তকমা গায়ে থেকে না সরবে ততদিন পর্যন্ত বিএনপি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে না। তাই সবার আগে বিএনপির উচিত জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে আন্দোলনের নামে জামায়াত-বিএনপি ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। জামায়াতের সেই বীভৎস কর্মকাণ্ড মানুষ এখনো ভুলেনি।

তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই জামায়াতের সঙ্গে থাকতে চান না। তবে তাদের সঙ্গে রাজনীতি করার মত বিএনপিতে অনেক লোক হয়েছে। যার ফলে এই ইস্যুতে এখন দলীয় নেতাদের মধ্যে এক প্রকার দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবী বলেন, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত জনসম্পৃক্ততা অর্জন করা। জনগণের ভাষা বোঝা।

তারা বলেন, যে দল জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে না, সে দল রাজনীতিতে বেশি দূর এগোতে পারে না। জনগণ চায় না বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে সখ্যতা রাখুক। দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের দল দেখতে চায় না। বিএনপির উচিত এখনই জামায়াত সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া।