নিউজ ডেস্ক:
সম্প্রতি দলটির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
বিএনপির একটি পক্ষ মনে করছেন- ভোট ও রাজনীতির মাঠে জামায়াতের গুরুত্ব বিএনপির কাছে অনেক বেশি। আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির চেয়ে জামাত-শিবিরের সদস্যরা বেশি সক্রিয়। তাই জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করা বিএনপির একটি ভুল সিদ্ধান্ত হবে।
দলটির অপর অংশের নেতারা মনে করেন- যুদ্ধাপরাধীর তকমা থাকায় জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করলে জনগণ সেই আন্দোলনে সাড়া দেয় না। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে জোট করায় দেশের মানুষ বিএনপিকে ভালো চোখে দেখে না। ফলে যতদিন না পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীর তকমা গায়ে থেকে না সরবে ততদিন পর্যন্ত বিএনপি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে না। তাই সবার আগে বিএনপির উচিত জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির সিনিয়র দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে আন্দোলনের নামে জামায়াত-বিএনপি ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। জামায়াতের সেই বীভৎস কর্মকাণ্ড মানুষ এখনো ভুলেনি।
তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই জামায়াতের সঙ্গে থাকতে চান না। তবে তাদের সঙ্গে রাজনীতি করার মত বিএনপিতে অনেক লোক হয়েছে। যার ফলে এই ইস্যুতে এখন দলীয় নেতাদের মধ্যে এক প্রকার দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবী বলেন, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত জনসম্পৃক্ততা অর্জন করা। জনগণের ভাষা বোঝা।
তারা বলেন, যে দল জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে না, সে দল রাজনীতিতে বেশি দূর এগোতে পারে না। জনগণ চায় না বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে সখ্যতা রাখুক। দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের দল দেখতে চায় না। বিএনপির উচিত এখনই জামায়াত সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া।